বেঙ্গালুরুকে ১৪ কোটির প্রতিদান দিতে প্রস্তুত ম্যাক্সওয়েল

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
২০১৩ সাল থেকে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) নিয়মিত মুখ গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। কিন্ত ২০১৪ এবং ২০১৭ মৌসুম ছাড়া কোনো আসরেই সামর্থ্যের প্রতিদান দিতে পারেননি অস্ট্রেলিয়ার এই অলরাউন্ডার। তারপরও নিলামের টেবিলে ম্যাক্সওয়েলকে নিয়ে কাড়াকাড়ি লেগে যায়, বিক্রি হন চড়া দামেও।
২০২০ এবং ২০২১ আইপিএলের নিলামে তো ম্যাক্সওয়েলকে ১০ কোটির ওপর অর্থ খরচ করেছে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব এবং রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু। গেল মৌসুমে বড় অংক পেয়ে করেছেন মাত্র ১০৫ রান। এই মৌসুমেও কি এর পুনরাবৃত্তি ঘটবে?
পারিশ্রমিক আকাশছোঁয়া তাই ম্যাক্সওয়েলের ওপর প্রত্যাশাও বেশি। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার এই অলরাউন্ডার এসবের তোয়াক্কা করছেন না। জানিয়েছেন, চাপমুক্ত থেকে দলে ইতিবাচক প্রভাব রাখা। সেই সঙ্গে এবারের আসরের জন্য নির্দিষ্ট কোনো লক্ষ্য ঠিক করেননি এই হার্ডহিটিং অলরাউন্ডার।

ঙ্গালোরের ইউটিউব চ্যানেলে সাক্ষাৎকারে ম্যাক্সওয়েল বলেন, 'আমি সম্ভবত লক্ষ্য ঠিক করি না। নিজেকে নিয়ে ভাবি, দলে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে চাই। সেটা পারফরম্যান্স দিয়ে হতে পারে, আচরণ দিয়ে হতে পারে, এমনকি ফিল্ডিং অনুশীলন দিয়েও সাহায্য করতে পারি যেন পুরো স্কোয়াডের, দল হিসেবে উন্নতি দেখা যায়।'
'অবশ্যই আমরা টুর্নামেন্ট জিতে চাই। তবে আমি চাই, যা কিছুই করি না কেন, দলে যেন ইতিবাচক প্রভাব পড়ে। আমি তাই খুব চিন্তিত নই (পারফরম্যান্স নিয়ে)। পারফরম্যান্স আপনাআপনিই হবে' যোগ করেন অস্ট্রেলিয়ার এই অলরাউন্ডার।
আইপিএলে বরাবরই তারকাবহুল ও বড় বাজেটের দল গড়েও এখনও শিরোপার জিততে পারেনি ব্যাঙ্গালুরু। বিরাট কোহলি, এবি ডি ভিলিয়ার্সদের দল ব্যাটিংয়ের আগ্রাসন আরও বাড়িয়েছে এবার ম্যাক্সওয়েলকে নিয়ে। সঙ্গে ১৫ কোটি রুপিতে তারা দলে নিয়েছে নিউ জিল্যান্ডের পেসার কাইল জেমিসনকে।
আরসিবি তারকাতে ঠাসা দল সাজালেও ম্যাক্সওয়েলের চাওয়া নানাভাবে দলে অবদান রাখা। নিজের অভিজ্ঞতা তরুণদের সঙ্গে ভাগাভাগি করতে চান তিনি। ভারতে এটি তার ??২তম সফর হলেও, প্রথমবারের মত আসা জেমিসনকে কন্ডিশনের সঙ্গে থিতু হতে সাহায্যও করছেন তিনি।
ম্যাক্সওয়েল আরও বলেন, 'খেলাটায় আরও অনেক কিছু (পারফরম্যান্স ছাড়াও) আছে। সম্ভবত ভারতে এটা আমার ২২তম সফর। আমার যা অভিজ্ঞতা, দলে অন্যদের সাহায্য করতে পারা উচিত আমার।'
'কাইল জেমিসনের যেমন প্রথম ভারত সফর, আমি তাই তার খাবারসহ সবকিছুতে মানিয়ে নেওয়ায় সহায়তা করতে পারি আগের অভিজ্ঞতা থেকে। সিনিয়রদের দায়িত্ব অন্যদের সাহায্য করা' আরও যোগ করেন তিনি।