হার্শা ভোগলের দশকসেরা টেস্ট একাদশে সাকিব

ছবি: সংগৃহিত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
ডিপিএল থেকে নিজের নাম সরিয়ে নিলেন সাকিব
১৩ ঘন্টা আগে
২০২০ এর শেষ, একটি বছরের সমাপ্তি একই সঙ্গে একটি দশকেরও। সাধারণত বছর শেষে কাগজের কোণায় সেরা একাদশ বাছাই করতে পছন্দ করেন আপনি বা আমি। ক্রিকেট বিশ্লেষক কিংবা ক্রিকেট বোদ্ধারাও কম যান না। ভারতের জনপ্রিয় ধারাভাষ্যকার ও ক্রীড়া সাংবাদিক হার্শা ভোগলে তাঁর পছন্দের দশক সেরা টেস্ট একাদশ নির্বাচন করেছেন। যেখানে জায়গা পেয়েছেন বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান।
হার্শার সেরা একাদশে উইকেটরক্ষক হবার দৌড়ে এগিয়ে ছিলেন মুশফিকুর রহিম। এই দশকে তিনটি ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকানো বাংলাদেশের এই সেরা উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যানকে হার্শার একাদশে জায়গা করে দিত। কিন্তু শ্রীলঙ্কার কিংবদন্তী উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান কুমার সাঙ্গাকারা এবং দক্ষিণ আফ্রিকার উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান এবি ডি ভিলিয়ার্স থাকায় জায়গা হয়নি মুশফিকের।
জানুয়ারী ২০১১ থেকে ২৫ ডিসেম্বর ২০২০ সময়কালে টেস্ট ফরম্যাটে ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্স বিবেচনা করে এই একাদশ তৈরী করেছেন হার্শা। একাদশে ৬ জন ব্যাটসম্যান, ১ জন করে অলরাউন্ডার ও স্পিনার এবং ৩ জন পেসার রেখেছেন তিনি। উদ্বোধনী জুটিতে হার্শা রেখেছেন দুই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান ইংল্যান্ডের অ্যালেস্টার কুক এবং অস্ট্রেলিয়ার ডেভিড ওয়ার্নারকে। ১৭৭ ইনিংসে ৪৪.৮৩ গড়ে কুকের সংগ্রহ ৭৫৩২ রান, অন্যদিকে ওয়ার্নার ১৫৫ ইনিংসে ৪৮.৯৫ গড়ে করেছেন ৭২৪৪ রান।

নিউজিল্যান্ডের টম লাথাম, দক্ষিণ আফ্রিকার ডিন এলগার এবং শ্রীলঙ্কার ডিমুথ কারুণারত্নের থেকেও দশক জুড়ে অসাধারণ ব্যাটিং পারফরম্যান্স কুক এবং ওয়ার্নরকে এই একাদশে জায়গা করে নিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। হার্শার একাদশে তিন নম্বর ব্যাটিং পজিশনে আছেন সাঙ্গাকারা। ৭৭ ইনিংসে ৫৭.৭২ গড়ে ৪১৫৬ রান সংগ্রহ করেছেন তিনি। চার ও পাঁচ নম্বরে যথারীতি বর্তমান সময়ের দুই সেরা ব্যাটসম্যান ভারতের বিরাট কোহলি এবং অস্ট্রেলিয়ার স্টিভেন স্মিথ।
কোহলি ১৭৭ ইনিংসে ৫৩.৪১ গড়ে করেছেন ৭৩১৮ রান, অন্যদিকে ১২৫ ইনিংসে ৬৫.২০ গড়ে স্মিথের ব্যাট থেকে এসেছে ৭০৪২ রান। হার্শা ছয় নম্বর ব্যাটিং পজিশনে রেখেছেন এবি ডি ভিলিয়ার্সকে। একই সঙ্গে একাদশের উইকেটরক্ষক হিসেবেও এই ৩৬০ ডিগ্রি ক্রিকেটারকে বেছে নিয়েছেন তিনি। যদিও সাঙ্গাকারা এই দশকে খুব বেশি উইকেট কিপিং করেননি তাছাড়া একাদশে এই দুজন থাকায় বাড়তি কোন স্পেশালিস্ট উইকেটরক্ষককেও রাখেননি হর্শা। যে কারণে জায়গা হয়নি মুশফিকের।
অলরাউন্ডার হিসেবে তাঁর একাদশে জায়গা পেয়েছেন সাকিব। যেখানে সাকিবের শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে ছিলেন ভারতের রবীন্দ্র জাদেজা। ৩৫ ম্যাচে ১৩৫ উইকেট নেয়ার পাশাপাশি সাকিব ব্যাট হাতে ৪৪.৭১ গড়ে করেছেন ২৬৮৩ রান। জাদেজা ৪৯ ম্যাচে নিয়েছেন ২১৩ উইকেট এবং ৩৫.২৬ গড়ে করেছেন ১৮৬৯ রান। একাদশে ব্যাটিং শক্তি বাড়াতেই জাদেজার চেয়ে সাকিবকেই বেশি পছন্দ হার্শার। ব্যাটিং এবং বোলিং গড়ও যে সাকিবের পক্ষেই কথা বলছে।
অস্ট্রেলিয়ার নাথান লায়ন, পাকিস্তানের ইয়াসির শাহ এবং ভারতের রবিচন্দন অশ্বিন। এই তিনজন স্পিনারের মধ্যে হার্শার একাদশে শুধু মাত্র অশ্বিনই জায়গা পেয়েছেন। এই দুজনের থেকে যে এই অফ স্পিনার বোলিং গড় সবচেয়ে ভালো। ৭২ ম্যাচে ২৫.৭৬ গড়ে ৩৭০ উইকেট অশ্বিনের যেখানে ৯৭ ম্যাচে ৩১.৬৮ গড়ে ৩৯১ উইকেট লায়নের। অপরদিকে ইয়াসির ৪২ ম্যাচে ৩০.৬৬ গড়ে নিয়েছেন ২২৪ উইকেট।
হার্শার দশক সেরা টেস্ট একাদশে তিন পেসার হলেন ইংল্যান্ডের জেমস এন্ডারসন, দক্ষিণ আফ্রিকার ডেল স্টেইন এবং অস্ট্রেলিয়ার প্যাট কামিন্স। দশকের সেরা দশ জন পেসারের মধ্যে থেকে এই তিনজনকে বেছে নিয়েছেন তিনি। কেননা ১০০ ম্যাচে ২৪.৩২ গড়ে ৩৯৫ উইকেট শিকার করেছেন এন্ডারসন অন্যদিকে মাত্র ৩১ ম্যাচে ২১.২৬ গড়ে কামিন্স নিয়েছেন ১৫০ উইকেট। যা তাদের স্টুয়ার্ট ব্রড, কাগিসো রাবাদা, নিল ওয়েগনারের থেকেও এগিয়ে রেখেছে।