গ্রিন জোনে তামিম-মুশফিকদের জন্য বরাদ্ধ তিনটি ড্রেসিংরুম

ছবি: ছবি- ক্রিকফ্রেঞ্জি, তানভিন তামিম

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||
করোনাকালে স্বাস্থ্যবিধি মেনে গত ১৯ জুলাই ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন ভেন্যুতে ক্রিকেটারদের অনুশীলনের ব্যবস্থা করে দেয় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। লম্বা সময় ধরে তামিম ইকবাল-মুশফিকুর রহিমরা নিয়মিত অনুশীলন চালালেও, ৪ সেপ্টেম্বর সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয় মিরপুর স্টেডিয়ামের অনুশীলন।
ক্রিকেটারদের এই ব্যক্তিগত অনুশীলনে অংশ নেওয়া বেশ কয়েকজন সাপোর্ট স্টাফের মধ্যে করোনার লক্ষণ দেখা দিলে এই সিদ্ধান্ত নেয় বোর্ড। এদের মধ্যে এক ট্রেইনার করোনা পরীক্ষায় পজিটিভও হয়েছেন। এই অবস্থায় অনুশীলন শুরুতে তিনদিনের জন্য বন্ধ করা হলেও তা মঙ্গলবার পর্যন্ত বাড়ানো হয়।
সাময়িকভাবে বন্ধ থাকার পর বাড়তি সতর্কতা নিয়ে ৯ সেপ্টেম্বর (বুধবার) থেকে শুরু হয়েছে ক্রিকেটারদের অনুশীলন। আগেই জানা ছিল অনুশীলন শুরুর আগে মিরপুরকে ভাগ করা হবে দুই ভাগে। রেড জোন এবং গ্রিন জোন। যা বহাল থাকবে জাতীয় দলের শ্রীলঙ্কা সফরের আগে পর্যন্ত।
গ্রিন জোনের জন্য আরোপ করা হবে বিধি-নিষেধ। ক্রিকেটাররা যেসব স্থানে যাবেন বা অনুশীলন করবেন সেখান পর্যন্ত থাকবে এই জোনের সীমানা। ড্রেসিংরুম, মাঠ, ইনডোর, জিমনেসিয়াম, মেডিকেল রুম এসব স্থানকে রাখা হবে গ্রিন জোনের আওতায়। এমনকি খেলোয়াড়দের জন্যও থাকবে বিশেষ প্রবেশপত্র।

আর রেড জোনে রাখা হয়েছে যাদের ক্রিকেটারদের সঙ্গে কোন ধরণের যোগাযোগের প্রয়োজন নেই তাঁদেরকে। অর্থাৎ যারা শুধুই বিসিবির দাপ্তরিক কাজের অন্তর্ভুক্ত। এছাড়া ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা থেকে শুরু করে নিরাপত্তারক্ষীরাও এই জোনের আওতায় পড়বেন।
বুধবার এই জোন মেনেই অনুশীলন করেছেন ক্রিকেটাররা। তামিম-মুশফিকরা এতোদিন একটি ড্রেসিংরুম ব্যবহার করলেও এখন তাঁদের জন্য রাখা হয়েছে ৩টি ড্রেসিংরুম। করোনার সময় ক্রিকেটারদের নিরাপত্তা এবং দূরত্ব নিশ্চিত করতেই এই সিদ্ধান্ত।
বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী বিষয়টি ক্রিকফ্রেঞ্জিকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, 'এখন তিনটা ড্রেসিংরুম ব্যবহার করছে ক্রিকেটাররা। চারটা ড্রেসিংরুম আছে। এর মাঝে তিনটাই ব্যবহার হচ্ছে এখন।'
এদিকে শ্রীলঙ্কা সফরের আগে আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে তিন দফায় জাতীয় দল ও হাই পারফরম্যান্স দলের (এইচপি) ক্রিকেটারদের করোনা পরীক্ষা শুরুর কথা ছিল। তবে এর আগেই বাড়তি সতর্কতা হিসেবে ক্রিকেটারদের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে সোমবার এবং বুধবার।
মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ-মুশফিকুর রহিমদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে করোনা পরীক্ষা করেছিল বিসিবি। প্রথম দিন সাপোর্ট স্টাফ সহ ২৪জনের পরীক্ষায় সাইফ হাসান এবং ট্রেইনার নিক লির করোনা পজিটিভ আসে। সেকারণে সাইফ অনুশীলনে ছিলেন না।
ক্রিকেটারদের বাকি তিনটি পরীক্ষা হবে আগামী ১৮, ২১ এবং ২৪ সেপ্টেম্বর। শেষ পরীক্ষাটি হবে শ্রীলঙ্কার উদ্দেশে বিমানে চড়ার ৭২ ঘণ্টা আগে। ২১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে দলীয় অনুশীলন। মিরপুর স্টেডিয়ামে কয়েকদিন অনুশীলনের পর ২৭ সেপ্টেম্বর শ্রীলঙ্কার উদ্দেশে রওনা দেবে জাতীয় দল ও হাই পারফরম্যান্স দল।
এই সফরে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিনটি টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ। প্রথম দুটি টেস্ট ক্যান্ডিতে এবং শেষ টেস্ট কলম্বোতে অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে হাই পারফরম্যান্স দলের বিপক্ষে কয়েকটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে জাতীয় দল। যদিও শ্রীলঙ্কা এখনও সিরিজের চূড়ান্ত সূচি ঘোষণা করেনি।