পচা শামুকে পা কাঁটা যাবে না: নান্নু

ছবি: ছবিঃ সংগৃহীত

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||
করোনাভাইরাসের মহামারীর কারণে পিছিয়ে গিয়েছিল আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ সুপার লিগ। ৩০ জুলাই ইংল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ডের মধ্যকার তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডের মধ্য দিয়ে শুরু হচ্ছে আইসিসির এই নতুন লিগ।
বিশ্বকাপ সুপার লিগে আইসিসি র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ ১২ দলের সঙ্গে ২০১৫-১৭ মৌসুমে সুপার লিগের চ্যাম্পিয়ন দল নেদারল্যান্ডস খেলবে। লিগের প্রতিটি দল হোম এবং অ্যাওয়ে ভিত্তিতে ৪টি করে মোট ৮টি তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলবে।
২০২৩ বিশ্বকাপে সরাসরি খেলবে আয়োজক দেশ ভারত। তবে সরাসরি মূল পর্বে জায়গা করে নিতে না পারা পাঁচ দলসহ সহযোগী পাঁচ সদস্য দল খেলবে বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে। সেখান থেকে মূল টুর্নামেন্টে সুযোগ পাবে দুই দল। এরপর মোট ১০ দলের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হবে বিশ্বকাপ।

২০১৯ বিশ্বকাপের মতোই অনুষ্ঠিত হবে ২০২৩ বিশ্বকাপ। গেল বিশ্বকাপে বাছাই পর্ব বাঁধা পার করে মূল পর্বে জায়গা করে নিয়েছিল আফগানিস্তান এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এবারও থাকছে একই নিয়ম, তবে এটা হবে সুপার লিগ পদ্ধতিতে।
বিশ্বকাপে সরাসরি খেলতে হলে বাংলাদেশকে তাই থাকতে হবে সুপার লিগের সেরা আট দলের মধ্যে। কারণ ভারত সরাসরি খেলার সুযোগ পাচ্ছে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু অবশ্য এটাকে কঠিন ভাবে দেখছেন না।
গেল বিশ্বকাপেও সেরা ৮ দলের মধ্যে থেকেই মূল পর্বে খেলেছিল বাংলাদেশ। প্রধান নির্বাচক আশাবাদী আগামীবারও তাই হবে। তবে ছোট দলগুলোর সঙ্গে এক্ষেত্রে বাড়তি সতর্ক থাকতে হবে বাংলাদেশকে। তাঁদের বিপক্ষে ম্যাচ হেরে যাওয়া মানে, পচা শামুকে পা কাঁটার মতো।
ক্রিকফ্রেঞ্জিকে মিনহাজুল আবেদীন বলেন, 'এটা কিন্তু নতুন নিয়ম না, এর আগেও এরকম একটা নিয়ম ছিল। সুপার লিগের একটা মোড়কে এই জিনিষটা দেয়া হয়েছে। গতবারও কিন্তু ওয়েস্ট ইন্ডিজ-আফগানিস্তান বাছাই পর্ব খেলেই বিশ্বকাপে আসছিল। আমাদের জন্য সবচেয়ে বড় বিষয় যেটা হবে সেটা হল, পচা শামুক পা কাঁটা যাবে না। আমরা যদি নিচু সারির দলের সঙ্গে খেলি আমাদের প্রত্যেকটা সুযোগ লুফে নিতে হবে।'
'বড় দলের সঙ্গে জিততে থাকতে হবে, নিচু সারির দল আমাদের হারিয়ে দলে তখন ঝামেলা হবে। আমরা কিন্তু র্যাঙ্কিংয়ে ৭ নম্বরে আছি, তাই বিশ্বাস করতেই পারি যে বিশ্বকাপ খেলবো। করোনার কারণে একটু পিছিয়ে গেছি, কিন্তু সব নতুন করে শুরু করতে হবে যেন আমরা সেরা ৮ দলের মধ্যে থাকি। কোন দুর্ঘটনা যেন না হয় এটা খেয়াল রাখতে হবে', আরও যোগ করেন তিনি।
২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাংলাদেশ দল ওয়ানডে খেলবে মোট ৩৬টি। কারণ সে বছরের মার্চে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল ওয়ানডে বিশ্বকাপ। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে ভারতে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপটি পিছিয়ে গেছে ৬ মাস।
আইসিসির এফটিপিতে ২০২৩ সালের ফেবরুয়ারি পর্যন্ত সব দলের ওয়ানডে টেস্ট এবং টি-টোয়েন্টি সিরিজের সূচি দেয়া আছে। ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে একটি ওয়ানডেও নেই টাইগারদের।পচা শামুকে পা কাঁটা যাবে নাঃ নান্নু