নিজের বোলিং মেশিন একাডেমিতে দান নাফীসের
ছবি: ফাইল ফটো

|| স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ||
জাতীয় দলের বিবেচনায় শাহরিয়ার নাফীস নেই বহুদিন। তবে ক্রিকেট বোর্ডের সুযোগ-সুবিধা ব্যবহারে কোনো বাধা নেই। তবে সবসময় সবকিছু পাওয়াও যায় না। এর মধ্যে একটি হল বোলিং মেশিন। এটি ব্যবহারে জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা অগ্রাধিকার পান বলে 'সিরিয়াল' পেতে লম্বা সময় অপেক্ষা করা ছাড়া কোনো উপায় থাকত না নাফীসের।
এই বিড়ম্বনা আর পোহাতে চান না বলেই নিজের টাকায় বোলিং মেশিনই কিনে ফেলেছিলেন ২০০৬ সালে ফতুল্লা টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সেঞ্চুরি করা এই ব্যাটসম্যান। উত্তরা ফ্রেন্ডস ক্লাবের মাঠে ওই বোলিং মেশিনে অনুশীলনও করতেন তিনি।

লাখ তিনেক টাকা ব্যয়ে কেনা বড্ড প্রয়োজনীয় সেই বোলিং মেশিনটিই কিনা এখন নাফীসের কাছে নেই। নাহ, ওটা হারায়নি বা চুরি হয়নি। এই বাঁহাতি ওপেনার বোলিং মেশিনটি একটি একাডেমিতে দান করে দিয়েছেন।
ওই একাডেমির খুঁদে ক্রিকেটাররা এখন ওই বোলিং মেশিনেই জোরে বল খেলার অভ্যাস রপ্ত করছে। নিজের কাছে না রেখে নাফীস ওটা দিয়েছেন একটি ক্লাব দলের একাডেমিতে, 'আমি মাঝখানে এক মৌসুম অগ্রণী ব্যাংকে খেলেছিলাম।
ওই দলেরই একটি একাডেমি আছে রাজধানীর শাহবাগে। খুব ছোট জায়গার মধ্যে বেশ কিছু নেট টানানো আছে। বাচ্চা বাচ্চা ছেলেরা ওখানেই আমার বোলিং মেশিনটি ব্যবহার করছে।'
একাডেমিতে জিনিসটি দিয়ে দেওয়ার নানা কারণ। এর একটি এরকম, 'শুধু থাকলেই হয় না, এটা রক্ষণাবেক্ষণের পেছনেও অনেক সময় দিতে হয়। আমার পক্ষে তা মুশকিলই ছিল। তাই ভাবলাম একাডেমিতে থাকলে এটা ব্যবহারও হবে, ঠিকঠাক হবে রক্ষণাবেক্ষণও।'
তাছাড়া বোলিং মেশিনের চেয়েও বেশি কার্যকর অনুশীলন পদ্ধতিও এখন জানা নাফীসের, 'প্লাস্টিকের হাতা দিয়ে বল ছুঁড়ে অনুশীলন করানো হয় এখন। আমার কাছে মনে হয়েছে এতে করে জোরে বল খেলার প্রস্তুতিটা বোলিং মেশিনের চেয়েও ভালো হয়।'