ঈদের পর মাঠে ফিরছেন সাদমান-মৃত্যুঞ্জয়

ছবি: ছবি- ক্রিকফ্রেঞ্জি

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||
চলতি বছরের মার্চে অস্ট্রেলিয়াতে অস্ত্রোপচার হয়েছিল সাদমান ইসলাম ও মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীর। দুজনেরই অস্ত্রোপচার করেন অস্ট্রেলীয় শল্যবিদ গ্রেগ হয়ে। সফল অস্ত্রোপচার শেষে তারা এক সপ্তাহ পরই দেশে ফিরে আসেন।
করোনা পরিস্থিতির কারণে দেশে ফিরে ১৪দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হয়েছিল সাদমান এবং মৃত্যুঞ্জয়কে। বাঁহাতি ওপেনার সাদমান ইসলামের চোট কব্জিতে। চোটের কারণে পাকিস্তান এবং জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে খেলতে পারেননি এই ওপেনার।
পেস বোলিং অলরাউন্ডার মৃত্যুঞ্জয়ের চোট কাঁধে। যুব বিশ্বকাপে খেলার সময় চোট পাওয়ায় টুর্নামেন্টের মাঝেই দেশে ফিরতে হয় তাঁকে। ১১ মার্চ তাদের অস্ত্রোপচার হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে।

অস্ত্রোপচারের পর সময় পেরিয়ে গেছে প্রায় সাড়ে ৫ মাস। আপাতত পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন সাদমান এবং মৃত্যুঞ্জয়।। ঈদের পর দুজনই ব্যাটিং-বোলিং শুরু করতে পারবেন বলে আশাবাদী বিসিবির ফিজিও সানি মাজেদ এবং বায়েজিদ উল ইসলাম।
বায়েজিদ ইসলামের অধীনে পুনর্বাসন চলছে সাদমানের। ক্রিকফ্রেঞ্জিকে তিনি বলেন, 'সাদমানের অবস্থা এখন আগের তুলনায় অনেক ভালো। রিহ্যাব শুরু হয়েছে। আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) সে মিরপুর আসবে। এরপর ওকে আমরা দেখবো। আশা করছি ঈদের পর ব্যাটিং শুরু করতে পারবে।'
বুধবার বিসিবিতে এসেছিলেন মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী। চোটের অবস্থা দেখতেই এই তরুণকে আসতে বলা হয়েছিল। ঈদের পর ধীরে ধীরে বোলিং শুরু হবে তাঁর। আপাতত ভালো অবস্থায় আছেন এই তরুণ জানিয়েছেন সানি মাজেদ।
ক্রিকফ্রেঞ্জিকে সানি বলেন, 'ওর তো অপারেশন হয়েছিল। ওকে আজকে বিসিবিতে আনা হয়েছিল কি অবস্থা দেখতে। হয়তো ঈদের আগে দুইটা সেশন দেখে এরপর ছেড়ে দিব। ওকে যে কাজগুলো দিয়েছিল সেগুলো করেছে। বেশ ভালো উন্নতি হয়েছে। ওর রিয়াব চলছে, এর যে ধাপগুলো ছিল সেগুলো মোটামোটি শেষ। এখন ওকে দেখার জন্য এনেছিলাম। এখন ভালো আছে।'
'বোলিং শুরু করতে মোটামোটি ৬ মাসের মতো লাগে। ওর ৪ মাস হয়েছে। আশা করছি ঈদের পর বোলিং শুরু করবে। কিন্তু ধীরে ধীরে শুরু করতে হবে। আমরা যেভাবে আগাই সেভাবে আগাব। একবারে বেশি ভার দেয়া হয় না। এই স্টেজগুলা শুরু হবে ঈদের পর', আরও যোগ করেন তিনি।