আমাকে কোনো দলই নিচ্ছিলো না: বুলবুল

ছবি: ছবিঃ সংগৃহীত

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||
ক্রিকেট থেকে একটা সময় ক্রিকেটারদের বিদায় নিতে হয়। বিদায় জানাতে হয় ২২ গজকে। আর সেই বিদায়টা যদি হয় ঐতিহাসিক কোনো ক্রিকেটারের তাহলে তো তাঁর অবসরকে নিয়ে এলাহীকাণ্ড হয়ে যায়। কিন্তু সবার ভাগ্যে তা জোটে না। ২২ গজকে অনেকটা অবহেলিত হয়েই বিদায় জানাতে হয় অনেককে। দেশের ক্রিকেটে ঐতিহাসিক পারফরম্যান্স করার পরও তাদের বিদায়টা হয় একেবারের নীরবে নিভৃতে।
যেমনটি ঘটেছিল বাংলাদেশের অভিষেক টেস্টের সেঞ্চুরিয়ান এবং সাবেক অধিনায়ক আমিনুল ইসলাম বুলবুলের সঙ্গে। বাংলাদেশের প্রথম টেস্টেই বুলবুল দেশকে এনে দিয়েছিলেন দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি। বিশ্বের কাছে চিনিয়েছিলেন বাংলাদেশকে। কিন্তু তারপরও এক প্রকারে মানসিকভাবে লাঞ্চিত হয়ে ক্রিকেটকে বিদায় জানাতে হয়েছিল সাবেক এই অধিনায়ককে।

সম্প্রতি ক্রিকেফ্রেঞ্জিকে দেয়া এক লাইভ সাক্ষাৎকারে ??ে ঘটনারই স্মৃতিচারণ করেন বুলবুল। তিনি জানান, দেশের ক্রিকেটকে নিজের সবকিছু বিলিয়ে দিয়ে শেষদিকে এসে জাতীয় দলের থেকে লাঞ্চনার পাশাপাশি ক্লাবগুলো থেকেও মিলেছে তাঁর বঞ্চনা।
বুলবুল বলেন, 'আমার ক্ষেত্রে বিষয়টি একেবারেই ভিন্ন। যখন ২০০১ সালে জাতীয় দল থেকে বাদ পড়লাম, তখনো অবসর নেইনি। কেননা ভেবেছিলাম হয়তো সুযোগ আসবে। আমাকে বলাও হয়েছিল একটা টেস্ট ম্যাচ খেলে আমাকে বিদায় দেয়া হবে। কিন্তু আমার সেই সুযোগটাও হয়নি।'
'এক পর্যায়ে আমাকে কোনো দলই নিচ্ছিলো না। সেই বছর আমি বিমানের হয়ে ৭টি অর্ধশতক হাঁকিয়েছিলাম। তারপরও আমাকে কেউ নিচ্ছিলো না। এমনও হয়েছিল যে শান্ত আমাকে বলেছিল যে ভাই চলেন আপনি কলেজ ক্রিকেট খেলবেন ময়মনসিংহে। কিন্তু সেখানেও আমাকে কেউ দলে নিচ্ছিলো না।'
মূলত এ কারণেই ক্রিকেট থেকে অবসরের চিন্তা মাথায় এনেছিলেন সাবেক এই অধিনায়ক।
এ প্রসঙ্গে আমিনুল ইসলাম বুলবুল বলেন, 'এসব দেখে আমি ভাবলাম যে ছেড়ে দেয়াটাই আমার জন্য উপযুক্ত হবে। চলে যেতে হবে আমাকে। এই যে ক্লাব ক্রিকেট, জাতীয় দল, কোথাও নেই হঠাৎ করে, সেই আড়াইটা বছর আমার অস্ট্রেলিয়াতে কেটেছে বেশ কঠিনভাবে।'