আইসিসির চেয়ারম্যান হওয়ার সম্ভাবনা কমে গেল সৌরভের?

ছবি: ছবিঃ- বিসিসিআই

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
আইসিসি'র চেয়ারম্যান পদের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে সৌরভ গাঙ্গুলি মনোনয়ন পত্র জমা দেবেন কিনা, সেটা জানা যেতে পারে আইসিসির বৃহস্পতিবারের বোর্ড সভায়। যদিও এই রাস্তায় কিছুটা পিছিয়ে গেছেন সৌরভ, এমন সংবাদ প্রকাশ করছে ভারতের শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমগুলো।
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) চেয়ারম্যান এহসান মানি যখন এই প্রতিযোগিতা থেকে সরে যান তখন মনে হচ্ছিল করোনা পরবর্তী সময়ের ক্রিকেট সামলানোর দায়িত্ব সৌরভের কাঁধেই বর্তাবে।
যদিও এখন জানা গেছে, শশাঙ্ক মনোহরের পর আইসিসি'র পরবর্তী চেয়ারম্যান হওয়ার দৌড়ে অনেকটাই এগিয়ে গেছেন ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান কলিন গ্রেভস।

আরেকটি সুত্র জানায়, বিসিসিআই নাকি নিজ থেকে এই ব্যাপারে পিছপা হচ্ছে। শশাঙ্কের পর আবারও ভারতীয় কাউকে আইসিসির শীর্ষ পদে দেখতে চাইবে না কেউ, এমনটাও লিখছে ভারতের গণমাধ্যমগুলো।
বোর্ডের সাবেক এক কর্তার বরাত দিয়ে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস লিখেছে, 'একজন ভারতীয়র পরে আবারও বোর্ড সদস্যরা আরেক ভারতীয়কে মেনে নেবে এটা হওয়ার সম্ভাবনা কম। সব দেশের বোর্ডগুলোর সুসম্পর্ক ছাড়া এটা সম্ভব নয়।
বিসিসিআইয়ের জন্য এটা এক দিক দিয়ে ভালো। বর্তমানে বিসিসিআই কর্মকর্তারা নতুন। আইসিসি যখন পরবর্তী চেয়ারম্যান নিযুক্ত করবে তখন তারা আরও অভিজ্ঞ হয়ে উঠবে।'
অবশ্য সৌরভ মনোনয়ন পত্র জমা দেয়ার পর ১৭ জন বোর্ড সদস্যের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট মহারাজের দিকে চলে আসতে পারে বলে ধারণা করে নিচ্ছে কিছু কিছু গণমাধ্যম।
কেননা ইতোমধ্যেই সৌরভকে আইসিসি চেয়ারম্যান পদে দেখতে চেয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান গ্রায়েম স্মিথ। একই মত দেন ইংল্যান্ডের কিংবদন্তি অধিনায়ক ডেভিড গাওয়ার ও পাকিস্তানের প্রাক্তন লেগ স্পিনার দানিশ কানেরিয়া।
আইসিসি'র চেয়ারম্যান পদের নির্বাচনে লড়তে গেলে যে যোগ্যতা লাগে তা বেশ ভালোভাবেই আছে সৌরভের। গত অক্টোবরে বিসিসিআইয়ের সভাপতি নির্বাচিত হন মহারাজ।
এর আগে মোট পাঁচ বছর তিনি ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গলের (সিএবি) সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া বিসিসিআইয়ের প্রতিনিধি হিসেবে আইসিসির বোর্ড সভায়ও অংশ নেন সৌরভ।