'রোবট' নন মমিনুল

ছবি: ছবিঃ ক্রিকফ্রেঞ্জি

|| স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ||
সব কিছুতেই নিরাবেগ একটি ব্যাপার আছে মমিনুল হকের মধ্যে। মনের মধ্যে বয়ে চলা আনন্দ-হতাশা তার চেহারায় ফুটে থাকে সামান্যই। বাংলাদেশের টেস্ট ক্যাপ্টেনের যে কোনো সাফল্যের পর তার মুখ থেকে আকর্ষণীয় কিছু বের করাও তাই অনেক সময়ই প্রচারমাধ্যমের জন্য মুশকিল হয়ে যায়। সঙ্গত কারণেই মমিনুলকে কখনো কখনো 'যান্ত্রিক' বলে মনে করে থাকেন অনেকে। সে কথা হয়ত তার কানেও গিয়ে থাকবে। এজন্যই কিনা টাইগার কাপ্তানকে বলতে শোনা গেল, 'আমি তো মানুষ, রোবট নই।'
আসলে ভিন্ন প্রসঙ্গেই নিজেকে 'রোবট' নন বলে দাবি করেছেন কক্সবাজারের বঙ্গসন্তান। কভিড নাইন্টিনের কারণে একটা একটা করে সিরিজ স্থগিত হয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের। তাও আবার যেই সেই সিরিজ নয়। এর প্রতিটিই আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অন্তর্ভূক্ত। সবশেষ স্থগিত হল আগস্ট-সেপ্টেম্বরে ঘরের মাঠের দুই টেস্টের নিউজিল্যান্ড সিরিজ। জুনে দুই টেস্টের সিরিজে আমন্ত্রিত অস্ট্রেলিয়ার আসাও পিছিয়ে গেছে বহু আগেই।

এপ্রিলের শুরুতে পাকিস্তানে গিয়ে করাচী টেস্টও খেলা হয়নি। শ্রীলঙ্কায় তিন টেস্টের সিরিজ খেলতে যাবেই, সে কথাও কেউ জোর দিয়ে বলছে না এখনো। অর্থাৎ ৮ টেস্টের ৫টি তো এই বছর হচ্ছেই না, জোর সম্ভাবনা ৮টিরই স্থগিত হয়ে যাওয়ার। এই বছর ১০ টেস্টের ৮টিরই এমন পরিণতি যে কোনো বিচারেই বাংলাদেশের জন্য চরম হতাশাজনক।
টেস্ট কম খেলে অতৃপ্ত বাংলাদেশ যেবার তৃপ্তিদায়ক অনুভূতির কাছাকাছি, সেবারই পৃথিবীর বুকে নেমে এলো করোনা ঝড়। সেই ঝড়ে লণ্ডভণ্ড টেস্টে ধারাবাহিক পারফরম করার লক্ষ্যও। সিরিজের পর সিরিজ স্থগিত হওয়ার ঘটনায় টেস্ট কাপ্তান কতটা হতাশ, প্রচারমাধ্যম সে প্রশ্নই রেখেছিল মমিনুলকে।
এ প্রশ্নেই যান্ত্রিকতা ঝেড়ে ফেলতে চেয়েছেন তিনি, 'হতাশ অবশ্যই। আমি তো মানুষ, রোবট নই। হতাশা তাই থাকবেই।' তবে সেই হতাশাকে ফুলিয়ে-ফাপিয়ে বড় আকার দিতেও অনিচ্ছুক তিনি, "আমি আবার হতাশায় গা ভাসিয়ে দিতে রাজি না। হতাশা থাকবেই। এটিও আমাকে বুঝতে হবে যে এতে কারো হাত নেই। যৌক্তিক কারণেই সিরিজগুলো স্থগিত হল। আমি বরং চিন্তিত সামনের চ্যালেঞ্জ নিয়ে। খেলা শুরু হয়ে গেলে তখন আমাদের টানা খেলতে হবে। তখন যেন আমরা 'বোরড' না হয়ে যাই।"