promotional_ad

৫-১০ বছরের জন্য নিষিদ্ধ হতে পারতাম: সাকিব

ছবিঃ সংগৃহীত
promotional_ad

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক ||


জুয়াড়ির কাছ থেকে তিন দফায় ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পেয়েও তা গোপন করায় গত বছর ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ হন সাকিব আল হাসান। এক বছরের স্থগিত নিষেধাজ্ঞাসহ দুই বছরের জন্য সব রকমের ক্রিকেটীয় কার্যক্রম থেকে নিষিদ্ধ হন এই অলরাউন্ডার। তবে সাকিব মনে করেন, এই শাস্তি আরও বড় হতে পারত।  


ক্রিকেট বিষয়ক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজের সঙ্গে আলাপকালে তিনি জানিয়েছেন, আইসিসি দুর্নীতি দমন কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা হওয়ার পর নিজে বিস্তারিত সবকিছু জানিয়ে দেওয়ার কারণেই বড় শাস্তি এড়াতে পেরেছেন। নিজের ভুল থেকে বড় শিক্ষা নেয়া এই অলরাউন্ডার মনে করেন, তিনি ৫-১০ বছরের নিষেধাজ্ঞাও পেতে পারতেন। 


জুয়াড়ির সঙ্গে কথোপকথনকে তিনি যথেষ্ট গুরুত্ব দেননি। সেই ভুল বুঝতে পেরেছেন পরে। সাকিব বলেন, 'আমার মনে হয়, আমি এটা একটু বেশিই হালকাভাবে (ক্যাজুয়ালি) নিয়েছিলাম। অবশ্যই আমি এই প্ল্যাটফর্মে বিস্তারিত সবকিছু আলোচনা করতে চাই না।'আমি যখন দুর্নীতি দমন কর্মকর্তার সঙ্গে দেখা করলাম এবং বললাম, তারা সবকিছু জানে, সব প্রমাণ দিলাম, ভেতরে-বাইরের সবকিছু তারা খুঁটিনাটি সব জানে, সত্যি কথা বলতে, এই কারণেই মাত্র ১ বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছি। 


promotional_ad

'নইলে ৫-১০ বছরের জন্য নিষিদ্ধ হতে পারতাম। আমার মনে হয়, বোকার মতো ভুল করেছিলাম। কারণ যে অভিজ্ঞতা আমার আছে, যে পরিমাণ আন্তর্জাতিক ম্যাচ আমি খেলেছি এবং দুর্নীতি দমন ধারা নিয়ে যতগুলি ক্লাস করেছি, আমার ওই ভুল করা উচিত হয়নি। সেটা নিয়ে আমি অনুতপ্ত।'


সাকিব তারকা ক্রিকেটার হওয়ায় অসংখ্য মানুষের সংস্পর্শে আসেন নানাভাবে। মূলত এই কারণেই জুয়াড়ির কাছ থেকে প্রস্তব পাওয়ার কথা ভুলে গিয়েছিলেন বলে দাবি করেছেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার।


সাকিব বলেন, 'দেখুন, আমরা হাজারও ফোনকল পাই, ম্যাসেজ পাই, কয়টা আর মনে থাকে! একটা উদাহরণ আমি দিতে পারি, ওই লোকটি যখন শেষবার ম্যাসেজ পাঠিয়েছিল, আমি জবাব দিয়েছিলাম, ‘সরি, কার সঙ্গে কথা বলছি?’ তার মানে, আমার মনেও ছিল না, কার সঙ্গে কথা বলছি। তার সঙ্গে আগে কথা বলেছি ২-৩ বছর আগের। ওই সময় আমি জানতামও না লোকটা কে। ওই সময় তার নম্বরও আমার কাছে ছিল না।'


'যাহোক, তারা যখন (আইসিসি দুর্নীতি দমন বিভাগ) তদন্ত করেছে, এসব তারা জানত এবং পরিস্থিতি বুঝেছে। তবে সত্যি, কারও উচিত নয় এসব হালকাভাবে নেওয়া। ওই ধরনের ম্যাসেজ বা কল কারও হালকাভাবে নেওয়া উচিত নয় বা ওভাবেই ফেলে রাখা উচিত নয়। দুর্নীতি দমন কর্তাদের জানানো উচিত নিরাপদে থাকতে হলে। এই শিক্ষা আমি পেয়েছি, বড় শিক্ষা এটি।' আরও যোগ করেন তিনি।


নিজের ওপর বাড়তি আত্মবিশ্বাসই কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে সাকিবের জন্য। তিনি আরও বলেন, 'যেহেতু সবসময় বেশির ভাগ ব্যাপারই ঠিক করেছি, কখনও কখনও সেই বোধ পেয়ে বসতে পারে। মনে হতে পারে, কী আর হবে। কিছুই হবে না। আমি তো ভুল কিছু করছি না। কিন্তু কেতাবি হিসেবে তো ভুল হচ্ছে। হয়তো নৈতিকতার দিক থেকে ভুল হচ্ছে না, কিন্তু আইন বা নিয়মের দিক থেকে ভুল হচ্ছে। অনেক সময় এটি মনে থাকে না। এটা আমার ক্ষেত্রে হয়েছিল। আমি কখনোই ভাবতে পারিনি। মাথায়ই আসেনি যে ভুল করতে পারি। পাত্তা দিতে চাইনি। সেই ভুলই আমি করেছি।'



আরো খবর

সম্পাদক এবং প্রকাশক: মোঃ কামাল হোসেন

বাংলাদেশের ক্রিকেট জগতে এক অপার আস্থার নাম ক্রিকফ্রেঞ্জি। সুদীর্ঘ ১০ বছর ধরে ক্রিকেট বিষয়ক সকল সংবাদ পরম দায়িত্ববোধের সঙ্গে প্রকাশ করে আসছে ক্রিকফ্রেঞ্জি। প্রথমে শুধুমাত্র সংবাদ দিয়ে শুরু করলেও বর্তমানে ক্রিকফ্রেঞ্জি একটি পরিপূর্ণ অনলাইন মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম।

মেইল: cricfrenzy@gmail.com
ফোন: +880 1305-271894
ঠিকানা: ২য় তলা , হাউজ ১৮, রোড-২
মোহাম্মাদিয়া হাউজিং সোসাইটি,
মোহাম্মাদপুর, ঢাকা
নিয়োগ ও বিজ্ঞপ্তি
বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ
নিয়ম ও শর্তাবলী
নীতিমালা
© ২০১৪-২০২৪ ক্রিকফ্রেঞ্জি । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
footer ball