সংসদ থেকেই কি সংক্রমিত হলেন মাশরাফি?

ছবি: ছবিঃ সংগৃহীত

|| স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ||
কোথা হতে করোনায় সংক্রমিত হলেন মাশরাফি বিন মর্তুজা? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজেই এখন হয়রান বাংলাদেশের 'মোস্ট সাকসেসফুল ক্যাপ্টেন'-এর ভক্ত-সমর্থক এবং শুভাকাঙ্খীরা। চলছে নানামুখী জল্পনা-কল্পনা ও গবেষণাও।
মিরপুরে নিজের বাসাতেই আইসোলেশনে থাকা সাবেক ক্যাপ্টেন বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলছেন না বলেই হয়তো তার সংক্রমণের উৎস নিয়ে নানা অনুমান ডালপালা মেলতে শুরু করেছে। তবে সবাই আবার আন্দাজেও ঢিল মারছেন না।

বিশেষ করে তাঁর কাছের মানুষরা যেসব উৎসের দিকে আঙুল তাক করছেন, হতে পারে সেখান থেকেও সংক্রমিত হয়ে থাকতে পারেন গত মার্চে ক্যাপ্টেন্সিকে বিদায় জানানো পেসার। রাজনীতির মাঠে মাশরাফির কাছের মানুষদের একজন সৌমেন বসু। নড়াইল জেলা আওয়ামী লীগের তরুণ এই নেতা সাবেক ক্যাপ্টেনের ঘনিষ্ঠ সহচরও।
সৌমেনের মতে, মাশরাফির করোনায় সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাব্য ঘটনাস্থল হতে পারে জাতীয় সংসদ ভবন। একেবারে নিশ্চিত নন তিনি। তবে নিজ এলাকার এমপির অসুস্থ্যতায় এছাড়া আপাতত অন্য কোনো উৎসও খুঁজে পাচ্ছেন না নিবেদিত প্রাণ আওয়ামী লীগার।
সৌমেন বলছিলেন, 'আমি যতদূর জানি, উনি যথেষ্ট সাবধানেই থাকেন। ঘর থেকেও একদমই বের হন না। গত ১০ দিনের মধ্যে বাসা থেকে বের হয়েছিলেন একবারই। গত ১১ জুন গিয়েছিলেন সংসদ অধিবেশনে যোগ দিতে। এরপর থেকে আছেন বাসাতেই। এমনও তো হতে পারে করোনার জীবাণু বয়ে এনেছেন সংসদ থেকেই।'
নিজের সন্দেহকে হেলায় উড়িয়েও দিতে পারছেন না সৌমেন। কারণ সংসদে সর্বোচ্চ সতর্কতার মধ্যেও অনেকেই আক্রান্ত হয়েছেন। সংক্রমণটা বেশি সংসদ সচিবালয়ের কর্মচারীদের মধ্যেই। সংক্রমিত ব্যক্তির সংখ্যাও সেঞ্চুরির পথে।
সেই পরিসংখ্যানই সৌমেনের সন্দেহের বীজ, 'সংসদের ৯৫ জন স্টাফ করোনায় আক্রান্ত এর মধ্যেই। আরো কতজন আছে কে জানে? হতে পারে অধিবেশনে যোগ দিতে গিয়ে এরকমই কারো সংস্পর্শে এসেছিলেন আমাদের এমপি।'
করোনাকালের মধ্যেই দুইবার নিজ নির্বাচনী এলাকায় গিয়েছিলেন মাশরাফি। তবে দুইবারই নড়াইল থেকে ফেরার পর ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন করেছেন। কিন্তু এবার সংসদ অধিবেশনে যোগ দেওয়ার দিন দশেকের মধ্যেই করোনা টেস্টে পজিটিভ হলেন মাশরাফি। জল্পনা-কল্পনার মধ্যে তার করোনা সংক্রমণের উৎস হিসেবে সবচেয়ে কাছাকাছি তাই থাকছে সংসদই।