promotional_ad

করোনা যে উপকার করেছে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের

ছবিঃ ক্রিকফ্রেঞ্জি
promotional_ad

|| স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ||


মাঠে খেলা নেই, মাঠে গিয়ে অনুশীলনও করার সুযোগ নেই। কাজ একটিই, আর তা বাসায় থেকে নিজেকে ফিট রাখার জন্য খেটে যাওয়া। সেই খাটুনির জন্য ঘরে যা যা থাকা দরকার, তা আবার বেশিরভাগ ক্রিকেটারের বাসায়ই নেই। রাখার প্রয়োজনও তেমন ছিল না। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের জিমনেসিয়াম থাকতে সেসবের কী দরকার? 


শারীরিক সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য সেখানে গিয়েই সবাই ঘাম ঝরাতেন। সেই দৃষ্টিকোণ থেকে করোনা ক্রিকেটারদের একটি উপকার অন্তত করে দিতে পেরেছে। ভবিষ্যতে নিজেকে ফিট রাখার জন্য আর ক্রিকেট বোর্ডের জিম ফ্যাসিলিটিজ ব্যবহারের অপেক্ষায় থাকতে হবে না। যার ঘরে কিছুই ছিল না, তার ঘরও তো এখন নিত্যনতুন ব্যয়ামের সামগ্রীতে ভরে উঠেছে কিংবা উঠতে শুরু করেছে। 


উদাহরণ হিসেবে সবার আগে আসতে পারে টেস্ট ক্যাপ্টেন মমিনুল হকের নামই। করোনায় ক্রিকেট বন্ধ হয়ে যেতেই এই ব্যাটসম্যান ঢাকার বসুন্ধরার বাসায় কিছুদিন বন্দী থাকার পর চলে যান নিজের শহর কক্সবাজারে।


promotional_ad

যদিও নিজের বাসা এবং পৈতৃক নিবাস, দুই জায়গাতেই ঘরে বসে সময় কাটছিল তার। বাসায় থেকে খুব একটা ফিটনেস ওয়ার্কও করতে পারছিলেন না। কারণ ঢাকায় কিংবা কক্সবাজারে, কোথাও তার কাছে কোনো ট্রেডমিল ছিল না।


সেই সময় পত্র-পত্রিকায় মমিনুলকে এই হাহ??কারও করতে শোনা গিয়েছে, ‘কেন যে একটি ট্রেডমিল কিনে রাখলাম না!’ তা থাকলে মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও তামিম ইকবালদের মতো ঘরেই দৌড়ে মেদ ঝরিয়ে শরীরকে ঝরঝরে রাখতে পারতেন। 


মুশফিক-রিয়াদরা ঘরে থেকে পরিশ্রমের ভিডিও আপলোড করে দারুণ সক্রিয় ছিলেন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমেও। ঘরে থাকা মমিনুলকে সেখানে নিষ্ক্রিয় থাকতে হচ্ছিল ট্রেডমিলের অভাবে। টুকটাক ব্যয়াম করার জিনিস ছিল তবে সেগুলো খুবই সাধারণ গোছের। সিরিয়াস ব্যয়ামের তেমন কোনো উপকরণই তার ছিল না বাসায়।
  
ঘরেই দৌড়ানোর জন্য তাই লকডাউনের মধ্যেও ইলেকট্রনিক ট্রেডমিল কেনার চেষ্টা শুরু করেন। অবশেষে সফলও হয়ে যান। একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্মে অর্ডার করে কেনেন ট্রেডমিল। তাতেই অন্য তারকা ক্রিকেটারদের মতো টেস্ট কাপ্তানও ঘরেই কঠোর অনুশীলন শুরু করতে পারেন। 


যেমনটি মুশফিক-রিয়াদরা করে থাকেন। ট্রেডমিলে ঘন্টায় ১৬ কিলোমিটার গতি তুলেও দৌড়াতে দেখা গেছে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে পোস্ট করা ভিডিওতে। তাদের দেখাদেখি মমিনুলই শুধু নন, আরো অনেক ক্রিকেটারই ট্রেডমিলসহ ব্যয়ামের নানা উপকরণ কেনায় উৎসাহী হয়েছেন। এবং সেসব কিনেও নিয়েছেন। 


বাংলাদেশের হয়ে মাত্র একটি টি-টোয়েন্টি ইন্টারন্যাশনাল খেলা রনি তালুকদারও সম্প্রতি ট্রেডমিল কিনে বাসায়ই দৌড়াতে শুরু করেছেন। করোনা এরকম আরো অনেক ক্রিকেটারেরই উপকার করেছে। তারা ঘরেই ‘জিম’ স্থাপনে মনোযোগী হয়েছেন।
 



আরো খবর

সম্পাদক এবং প্রকাশক: মোঃ কামাল হোসেন

বাংলাদেশের ক্রিকেট জগতে এক অপার আস্থার নাম ক্রিকফ্রেঞ্জি। সুদীর্ঘ ১০ বছর ধরে ক্রিকেট বিষয়ক সকল সংবাদ পরম দায়িত্ববোধের সঙ্গে প্রকাশ করে আসছে ক্রিকফ্রেঞ্জি। প্রথমে শুধুমাত্র সংবাদ দিয়ে শুরু করলেও বর্তমানে ক্রিকফ্রেঞ্জি একটি পরিপূর্ণ অনলাইন মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম।

মেইল: cricfrenzy@gmail.com
ফোন: +880 1305-271894
ঠিকানা: ২য় তলা , হাউজ ১৮, রোড-২
মোহাম্মাদিয়া হাউজিং সোসাইটি,
মোহাম্মাদপুর, ঢাকা
নিয়োগ ও বিজ্ঞপ্তি
বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ
নিয়ম ও শর্তাবলী
নীতিমালা
© ২০১৪-২০২৪ ক্রিকফ্রেঞ্জি । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
footer ball