৩৩ ক্রিকেটারের সঙ্গে ৮ বিদেশিও

ছবি: ছবিঃ- বিসিবি

|| স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ||
দেশি আর ভিনদেশিদের এক মিলনমেলাই যেন। যদিও এই করোনাকালে সেটি কিন্তু প্রকাশ্যে হয়নি, হয়েছে ভার্চুয়ালি। বিশ্বজুড়েই এখন আড্ডা থেকে শুরু করে অফিস করা, ব্যবসায়িক আলাপ, ভাব বিনিময় - সবই চলছে ভিডিও কলে। দেশি আর ভিনদেশিদের এক সঙ্গে হওয়াও 'জুম' নামের এক ভিডিও কল অ্যাপ ব্যবহার করেই। এতে বাংলাদেশের ৩৩ জন ক্রিকেটারের সঙ্গে বসেছিলেন ৮ জন বিদেশিও। এরা সবাই নানা পদে কর্মরত বিদেশি কোচ।
যাদের নেতৃত্বে আছেন হেড কোচ রাসেল ক্রেইগ ডমিঙ্গো। মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহে ছুটি কাটাতে দেশে গিয়েই আটকে যান এই সাউথ আফ্রিকান। ঘরে বন্দী হয়ে যান বাংলাদেশের ক্রিকেটাররাও। করোনার ছোবলে গুরু-শিষ্যের সরাসরি দেখা না হওয়ার কালও পেরিয়ে গেছে তিন মাস। এর মধ্যে কারো কারো সঙ্গে ডমিঙ্গোর কথাও যে খুব বেশি হয়েছে, এমন নয়।

বরং খুদে বার্তা আদান-প্রদানের মাধ্যমেই যোগাযোগটি হয়েছে বেশি। মূলত হোয়াটসঅ্যাপেই তারা লিখিত আকারে কুশল ও পরামর্শ বিনিময় করে এসেছেন এতদিন। বড়জোর পাঠিয়েছেন ভয়েস নোট।
লম্বা সময় তাই বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটারদের সঙ্গে একধরনের বিচ্ছিন্নতাই তৈরি হয়েছিল হেড কোচের। শুধু একা তার সঙ্গে নয়, অন্য বিদেশি কোচদের সঙ্গেও। সবই ঘুচে গেল দুই দিনের দুই ভিডিও কলে।
প্রথম ভিডিও কনফারেন্স হয় ১৬ জুন। সেদিন ২১ জন ক্রিকেটারের সঙ্গে বসেন ডমিঙ্গো। ১৮ জুন কথা বলেন আরো ১২ ক্রিকেটারের সঙ্গে। তিনি বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মাশরাফি বিন মর্তুজা, ওডিআই ক্যাপ্টেন তামিম ইকবাল ও টি-টোয়েন্টি ক্যাপ্টেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদদের সঙ্গে যুক্ত করেছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেটে বিভিন্ন পদে কাজ করা বিদেশিদেরও।
এদের কেউ বিশেষজ্ঞ কোচ, কেউ আবার ফিজিও-ট্রেনার। বাদ যাননি কম্পিউটার অ্যানালিস্টও। এই দুই ভিডিও কনফারেন্সে সবাই সবার পরিবারের সদস্যদের খোঁজখবর নেওয়ার চেষ্টা করেছেন। করোনার লক্ষণ দেখা দিলে কী করতে হবে, কথা বলেছেন তা নিয়েও।
তবে মাঠে কবে ফেরা যাবে, তা নিয়ে আলোচনা এগুতে পারেনি বেশিদূর। কারো নির্দিষ্ট কোনো দিনক্ষণ জানা থাকলেই না তা নিয়ে কথা বাড়তো। খেলা শুরুর সময়ই যখন অনির্দিষ্ট, তখন দুইবারের ভিডিও কল যেন দেশি ক্রিকেটার আর ভিনদেশি কোচদের এক মিলনমেলাতেই পরিণত হয়ে গেল।