ভাড়া কমিয়েও ভাড়াটে রাখতে পারছেন না মিনহাজুল

ছবি: ছবিঃ ক্রিকফ্রেঞ্জি

|| স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ||
কাজ নেই, কাজ থাকলেও হয় না বেতন। বেতন হলেও নিয়োগ কর্তা দুঃসময়ের দোহাই দিয়ে কেটে রাখছেন বড় অংশ। কোভিড নাইনটিন বিশাল এক সংকটের মুখেই ফেলেছে রাজধানী ঢাকার বৃহৎ এক জনগোষ্ঠীকে। অর্থের টানাটানিতে দলে দলে মানুষ ঢাকা ছাড়তে শুরু করেছে। যে কারণে বাসা খালি হয়ে যাওয়ার হিড়িক পড়েছে পুরো রাজধানীজুড়েই। এর সূত্র ধরে হাহাকার বাড়ছে বাড়ীওয়ালাদেরও। ভুক্তভোগী বাড়ীর মালিকদের তালিকায় আছেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের চিফ সিলেক্টর মিনহাজুল আবেদীন নান্নুও।
খেলোয়াড়ী জীবনে জমানো টাকায় বহু আগেই রাজধানীর মোহাম্মদপুরের নবোদয় হাউজিং সোসাইটিতে বহুতল বাড়ী তুলেছেন এই সাবেক ক্রিকেটার। বেশ অবস্থাসম্পন্ন এই সাবেক অধিনায়কের বাড়ী ভাড়া থেকেও আয় কম নয়।

এই করোনার সময়ে ভাড়াটিয়াদের সঙ্গে যথেষ্ট মানবিকও হওয়ার চেষ্টা করেছেন তিনি। দুঃসময়ে তাদের পাশে থেকেছেন। যাদের অবস্থা একটু খারাপ মনে হয়েছে, তাদেরই বাড়ী ভাড়া কমিয়ে দিয়েছেন মিনহাজুল। কিন্তু ভাড়া কমিয়েও ভাড়াটে রাখতে পারছেন না চিফ সিলেক্টর। তার বাসা থেকেও একে একে চলে যাচ্ছেন ভাড়াটিয়ারা।
কমানোর পরও অনেকের ভাড়া দেওয়ার সঙ্গতি নেই বলেই বাসা ছেড়েছেন কয়েক গৃহকর্তা। ভাড়াটিয়া হারিয়েছেন বলে নয়, মিনহাজুল একটু বেশিই ব্যথিত এই সময়ে মানুষের অসহায়ত্ব দেখে।
গতকাল ক্রিকফেঞ্জিকে বললেন নিজের দুঃখের কথাই, ‘খুব খারাপ লাগছে মানুষের অবস্থা দেখে। আমার না হয় বাড়ী আছে বলে টিকে যাচ্ছি। কিন্তু ভাড়া করা বাসায় থাকা লোকদের টিকে থাকাই মুশকিল হয়ে গেছে। এই মাসেই আমার তিন-তিনটি ফ্ল্যাট খালি হয়ে গেছে। সম্ভবত তারা গ্রামের দিকে চলে গিয়েছেন।’
ভাড়া কমিয়ে হলেও তাদের কাউকে কাউকে এই শহরে রাখতে চেয়েছেন মিনহাজুল, ‘এই সময়ে চলা কত কষ্ট, সেটি আমি বুঝি। বুঝি বলেই আমি ভাড়াটিয়াদের ভাড়া কমিয়ে দিয়েছিলাম। তারপরও দেখুন তিনটি ফ্ল্যাট খালি হয়ে গেল। কষ্টই লাগছে এসব দেখতে।’
এই অবস্থা থেকে দ্রুত মুক্তির জন্য প্রার্থনাও করলেন তিনি, ‘দোয়া করি, আল্লাহ যেন এই অবস্থা থেকে আমাদের দ্রুত বের করে নেন। কত মানুষের খারাপ অবস্থা। এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে আরো বেশি মানুষ বিপদে পড়বে। চাই না এই সময়টি আর দীর্ঘ হোক। সবাই ভালো থাকুক। সবার মঙ্গল কামনা করছি।’