আগেই করোনার আশঙ্কা করেছিলেন আফ্রিদি

ছবি: ছবিঃ সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
করোনাভাইরাস থেকে অনেকখানি সুস্থ হয়ে উঠেছেন শহীদ আফ্রিদি। বুধবার ফেসবুক লাইভে এসে নিজেই এই তথ্য জানিয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক এই অধিনায়ক। তবে করোনাকালে সবার পাশে থাকা এই ক্রিকেটার আগেই বুঝে গেছিলেন যে তিনি এই রোগে আক্রান্ত হতে যাচ্ছেন।
করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর এই সময়টা কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন আফ্রিদি। নিজেদের স্ত্রী-সন্তানদের কাছে যেতে পারেননি, যা এই পরিস্থিতিতে সবচেয়ে কঠিন ছিল সাবেক এই অলরাউন্ডারের জন্য। শুরুর ২-৩দিন অনেক কষ্টে কাটলেও এখন অনেকখানি সুস্থ হয়ে উঠেছেন আফ্রিদি।
১৩জুন করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবরটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিশ্চিত করেন খোদ আফ্রিদি। যদিও এর আগেই তিনি এই রোগ বাসা বেঁধেছিল তাঁর শরীরে। কিন্তু বিগত কয়েকদিনে মিডিয়াতে অনেক আলোচনা হয়েছে দেখে লাইভে এসে নিজের শারীরিক অবস্থার কথা জানিয়েছেন আফ্রিদি।

লাইভে আফ্রিদি বলেন, 'আমি আপনাদের সামনে এসেছি কারণ গতকাল থেকে মিডিয়াতে অনেক কিছু শুনেছি নিজের শরীরের ব্যাপারে। এখন ভালো আছি আমি, শুরুর দুই-তিন দিন অনেক কষ্টের ছিল, কিন্তু যত দিন গিয়েছে শরীর ভালোর দিকে গিয়েছে। এটাকে নিয়ে এতো মাতামাতি বা মাথায় উঠানোর দরকার নেই যে কোন রোগের সঙ্গে আপনি যতক্ষণ লড়াই করছেন ততক্ষন তা আপনাকে হারাতে পারবে না।'
'আমার জন্যও কঠিন ছিল সময়গুলো। এই ৮-৯দিন বাচ্চাদের কাছে যেতে পারিনি বা বুকে নিতে পারিনি। ছোট বাচ্চাটাকে অনেক মিস করেছি, তবে দূরে থাকাই উত্তম ছিল। আমি জানতাম এই রোগটা হতে পারে কারণ আমি অনেক জায়গায় গিয়েছি। কিন্তু আল্লাহকে শুক্রিয়া যে শুরুতে হয়নি তাহলে এতো মানুষকে সাহায্য করতে পারতাম না।' আরও যোগ করেন পাকিস্তানের সাবেক এই অধিনায়ক।
করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর সকলের কাছ থেকে পাওয়া ভালোবাসা এবং দোয়ার কথাও জানিয়েছেন আফ্রিদি। পুরো পাকিস্তান থেকে বার্তা পেয়েছেন তিনি। যা এই পরিস্থিতিতে তাঁকে সাহস দিয়েছে।
আফ্রিদি আরও বলেন, 'সবাই আমার জন্য অনেক দোয়া করেছেন, শুভকামনা দিয়েছে এ জন্য সবাইকে শুক্রিয়া। পুরো পাকিস্তানের সব জায়গা থেকে আমি বার্তা-দোয়া পেয়েছি, খুব ভালো লেগেছে। সবাই অনেক সাপোর্ট করেছে আমাকে।'
করোনার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার শুরু থেকেই এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন আফ্রিদি। নিজের ফাউন্ডেশন থেকে বিভিন্নভাবে দেশের মানুষকে সাহায্য করে যাচ্ছেন। করোনাকালে পরক্ষভাবে বাংলাদেশের মানুষের পাশেও দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছেন আফ্রিদি।
নিলামে মুশফিকুর রহিমের তোলা ব্যাট বাংলাদেশের করোনায় আক্রান্তদের সাহায্যের জন্য প্রায় ১৭ লাখ টাকায় কিনে নিয়েছিল আফ্রিদির ফাউন্ডেশন। সাধারণ মানুষকে করোনার সংক্রমণ থেকে দূরে সরিয়ে রাখার চেষ্টা করে যাওয়া আফ্রিদি এবার নিজেই আক্রান্ত হন জুনের প্রথম সপ্তাহ শেষে।