আবেদন না করেই সাত মিনিটের সাক্ষাতকারে কোচের চাকরি!

ছবি: ছবিঃ সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
ভারতের কোচের পদে আবেদন না করেই চাকরি পেয়ে গিয়েছিলেন গ্যারি কার্স্টেন। ২০০৭ সালে গ্রেগ চ্যাপেলের স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন এই প্রোটিয়া। তাঁর অধীনেই ২০০৯ সালে টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে উঠে ভারত। এমনকি কার্স্টেনের কোচিংয়েই ২০১১ সালে ২৮ বছর পর বিশ্বকাপও জিতে মহেন্দ্র সিং ধোনির দল।
ভারতকে বিশ্বকাপ শিরোপা জেতানোর পর চুক্তি নবায়ন করেননি সাবেক এই প্রোটিয়া ওপেনার। এরপর দায়িত্ব পালন করেছেন নিজ দেশের প্রধান কোচের। এছাড়া আইপিএলেও বিভিন্ন ভূমিকায় দেখে গেছে কার্স্টেনকে।
ভারতের কোচ হওয়ার আগে এই পদে কোন অভিজ্ঞতা ছিল না দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক এই ক্রিকেটারের। জানিয়েছেন, আবেদন না করেই ৭ মিনিটে চাকরি পেয়ে গিয়েছিলেন তিনি। এমনকি চুক্তিনামায় সইয়ের সময় নাম ছিল গ্রেগ চ্যাপেলের।

কার্স্টেন বলেন, 'তখনকার কোচিং সিলেকশন প্যানেলের সদস্য সুনিল গাভাস্কারের কাছ থেকে একদিন মেইল পাই। আমি ভারতের কোচ হতে আগ্রহী কিনা সে জানতে চেয়েছিল। ভেবেছি কেউ মজা করছে, তাই উত্তর দেইনি। এরপর আরেকটা মেইল আসে, তুমি কি সাক্ষাতকার দিতে আসবে? এরপর আমার স্ত্রীকে দেখালে সেও বলে ভুলে আমাকে পাঠিয়েছে হয়তো।'
'এরপর সাক্ষাতকার দিতে গেলে তখনকার ভারতের টেস্ট দলপতি অনিল কুম্বলের সঙ্গে দেখা হয়। সে আমাকে জিজ্ঞেস করে তুমি এখানে? উত্তরে আমি জানাই কেন এসেছি। দুজনই এটা নিয়ে হাসাহাসি করি। দুজনের কাছেই ব্যাপাররা মজার লেগেছিল।' আরও যোগ করেন তিনি।
সাক্ষাতকারের সময় ভারতীয় বোর্ড কার্স্টেনের কাছে জানতে চেয়েছিল, ভারতীয় দলের ভবিষ্যত নিয়ে কি ভাবছেন তিনি। এই প্রসঙ্গে ভারতের 'বিশ্বকাপ জয়ী কোচ বলেন, দশ মিনিট পর আমি মিটিং রুমে যাই, সেখানে আমার কাছে ভবিষ্যত পরিকল্পনা জানতে চায়, উত্তরে আমি বলি আমার কোন ভাবনা নেই আপাতত।'
৭ মিনিটের মাথায় চাকরি নিশ্চিত হওয়ার প্রসঙ্গে কার্স্টেন বলেন, 'রবি শাস্ত্রী কমিটির সদস্য ছিলেন, সে আমাকে জিজ্ঞেস করে ভারতকে হারাতে হলে দক্ষিণ আফ্রিকা কি চিন্তাভাবনা করে? এরপর আমার ৭মিনিটের মতো সাক্ষাতকার নেয়া হয়। সবাই মনে হয় মুগ্ধ হয়েছিল।'
'চুক্তিনামায় স্বাক্ষর করতে গিয়ে দেখি আমার নাম নেই, গ্রেগ চ্যাপেলের নাম। এরপর আমি তাঁদের বিষয়টি জানালে, তারা পকেট থেকে কলম বের করে চ্যাপেলের নাম কেটে আমার নাম লিখে। চুক্তি করার সময় আমি বেতন সম্পর্কে কিছুই জানতাম না। কোন ধারনাই ছিল না, এরপরও চ্যাপেলের প্যাকেজটা দেখে মনে হয়েছিল যা দিচ্ছে তাতে আমি খুশি।' আরও যোগ করেন কার্স্টেন।
শুরুতে ২ বছরের জন্য নিয়োগ দেয়া হয়েছিল কার্স্টেনকে। ২০১০ সালে বিশ্বকাপ পর্যন্ত চুক্তি নবায়ন করা হয় এই প্রোটিয়ার। এরপরই তাঁর অধীনে সবচেয়ে বড় সাফল্য পায় ভারত।