কোচদের হাজিরা ভিডিও কনফারেন্সে, মিলছে বেতনও

ছবি: ছবি - ক্রিকফ্রেঞ্জি

|| স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ||
করোনায় বিশ্বজুড়ে চাকরি হারানোর আতঙ্ক। চাকরি বাঁচলেও আছে বেতন কাটার ভয়। এই যখন অবস্থা, তখন কর্মস্থলে হাজিরা না দিয়েই বাসায় বসে পুরো বেতন পাওয়া চাকরীজীবিদের ভাগ্যবানই বলতে হয়।
সেই সৌভাগ্যবানদের তালিকায় আছেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের বিদেশি কোচদের অনেকেই। সবাই নন, কারণ সবার চুক্তি একরকমও নয়। কারো কারো চুক্তির ধরন 'নো ওয়ার্ক, নো পে'। অর্থাৎ দিনভিত্তিক চুক্তিতে যে কয়দিন কাজ করবেন, সেই কয়দিনের টাকা। তবে মাসিক বেতনের চুক্তিতেও আছেন অনেকে। তাদের পুরো বেতনও দিচ্ছে বাংলাদেশের ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিসিবি। এর বিনিময়ে আপাতত তাদের দিয়ে যা করিয়ে নিতে পারছে, তা হল ভিডিও কনফারেন্সে এই বিদেশি কোচদের হাজিরা নিশ্চিত করা।

তাও আবার প্রতিদিন নয়। সপ্তাহে একদিন করে হাজিরা দিলেই হচ্ছে। অর্থাৎ এই কোভিড নাইন্টিনের সময়ে মাসে মাত্র চারবার ভিডিও কনফারেন্সে হাজিরা দিয়েই পুরো মাসের বেতন বুঝে পাচ্ছেন জাতীয় দলের হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গো, ফাস্ট বোলিং কোচ ওটিস গিবসন থেকে শুরু করে ফিজিও জুলিয়ান ক্যালেফাতোর মতো মাসিক বেতনের চাকুরেরা। কাজ করার কোনো সুযোগই নেই তবু যার যার ঠিকানায় বসে ভিডিও কনফারেন্সে হাজিরা দেওয়াই হয়ে উঠেছে তাদের একমাত্র কাজ। এইটুকু কাজেই মিলছে পুরো মাসের বেতনও।
ভিডিও কনফারেন্সের জন্য সপ্তাহের একটি দিন আগে থেকেই নির্দিষ্ট করা থাকে। সেই দিন তারা একে অন্যের সঙ্গে যুক্ত হন। ভিডিও সভায় কখনো কখনো তাদের সঙ্গে মত বিনিময় করেন বিসিবি সিইও নিজামউদ্দিন চৌধুরীও। তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, 'সব বন্ধ থাকার এই সময়ে কোচদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছি আমরা। সপ্তাহে অন্তত একদিন ভিডিও কনফারেন্স করা হচ্ছে। তাদের সঙ্গে নানাধরনের আইডিয়ার আদান-প্রদান চলছে। তারা যে যার মতো করে খেলোয়াড়দের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে এবং প্রয়োজনীয় পরামর্শও দিচ্ছে।'
হেড কোচ ডমিঙ্গোও হোয়াটসঅ্যাপ বার্তায় যথাসাধ্য ফিটনেস ধরে রাখার কথা বলছেন জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের। যিনি এখন বন্দী দক্ষিণ আফ্রিকার পোর্ট এলিজাবেথে নিজের বাসায়। মাঠের খাটুনির তুলনায় সামান্য শ্রমেই বুঝে নিচ্ছেন পুরো মাসের বেতন। ট্যাক্স কাটার পর যা দাড়ায় ১২ হাজার ডলারের মতো। ওটিস গিবসনের মাসিক বেতনও ১০ হাজার ডলারের কাছাকাছি। অবশ্য স্পিন বোলিং কনসালটেন্ট ডেনিয়েল ভেট্টোরি, ফিল্ডিং কোচ রায়ান কুক ও ব্যাটিং নেইল ম্যাকেন্জিদের ক্ষেত্রে বিষয়টি মোটেও সেরকম নয়। দিনভিত্তিক চুক্তি তাদের। এখন কাজ নেই বলে পারিশ্রমিকও পাচ্ছেন না।