promotional_ad

রংপুরের গর্ভবতী মায়েরা পাচ্ছেন তামিমের উপহার

ছবিঃ সংগৃহীত
promotional_ad

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||


গর্ভবতী মায়েদের পাশে দাঁড়িয়েছেন রংপুরের নারী ক্রিকেটার আরিফা জাহান বিথি। তাঁর এই মহৎ উদ্যোগে পাশে দাঁড়িয়েছেন তামিম ইকবাল। বাংলাদেশের ওয়ানডে দলপতি ছাড়াও রুবেল হোসেনের সাহায্য পেয়েছেন রংপুরের গর্ভবতী মায়েরা।


করোনাভাইরাস বাংলাদেশে আঘাত হানার পর থেকেই মানুষকে সাহায্য করে যাচ্ছেন বিথি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে যার যাত্রা শুরু। মহামারীর মাঝে পুরো রংপুর জেলায় অটোতে করে একাই খাবার পৌঁছে দেয়ার উদ্যোগ দেন ২২ বছর বয়সী এই তরুণী।


বড় বোনের পরামর্শে এরপর গর্ভবতী মায়েদের পাশে দাঁড়ানোর উদ্যোগ নেন আরিফা। এপ্রিল মাসের ৩০ তারিখ থেকে প্রতিনিয়ত এভাবেই কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। নিজের সব অর্থ দিয়ে সহায়তা করার পর এবার ওয়ানডে দলপতির উপহার বুঝে পেয়েছেন রংপুরের এই ক্রিকেটার।


ক্রিকফ্রেঞ্জিকে আরিফা বলেন, 'করোনা শুরুর পর আমি ফেসবুকে একটা স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম, যদি এমন কেউ থাকেন খাবার পাচ্ছে না, কিন্তু কাউকে বলতে পারছেন না, তাহলে আমাকে জানাতে পারেন। এরপর আমার ফেসবুক ফ্রেন্ডদের অনেকে ফোন করেছেন, তাঁদের এলাকায় বা গ্রামে অনেকেই আছে এটা বলতে। এরপর থেকেই সবাইকে সাহায্য করছি। এখনও চলমান এটা।'



promotional_ad

'এরপর একজন গর্ভবতী মা আমাকে ফোন করেন, এই সময় কাজে যেতে পারছেন না, তাঁর কষ্ট হচ্ছে অনেক। এরপর আমার বড় বোনকে পুরো ব্যাপারটা জানাই। তিনি আমাকে বলেন, গর্ভবতী মায়েদের পাশে দাঁড়াতে। কারণ এদের নিয়ে তো কেউ চিন্তা করছে না। এরপর ফেসবুক স্ট্যাটাস দেই, এখনই পৌঁছে যাবে গর্ভবতী মায়েদের কাছে খাবার। এটাতেও অনেক সাড়া পাই। তাঁদের নাম নাম্বার নিয়ে সমস্যা কথা শুনি। এরপর থেকে অটোতে করে প্রতিদিন আমি তাঁদের কাছে খাবার পৌঁছে দেই। পুরো রংপুর বিভাগেই আমি কাজ করছি। ইতোমধ্যে তামিম ভাই আমাকে সাহায্য করেছেন। আরও করবেন বলেছেন। রুবেল ভাইও সাহায্য করেছেন অনেক। রোজার সময় উনি আমাকে সাহায্য করেছিলেন।'


ছোট থেকেই ক্রিকেটের প্রতি ঝোঁক ছিল আরিফার। জাতীয় দলে খেলার স্বপ্ন নিয়েই বড় হয়েছেন। কিন্তু ২০ বছর বয়সে শারীরিক প্রতিবন্ধকতার কারণে ক্রিকেট ছেড়ে দিতে হয় তাঁকে। প্রথম বিভাগ ক্রিকেট পর্যন্ত খেলার পর আর মাঠে নামতে পারবেন না এই তরুণী।


তারপরও ক্রিকেটের প্রতি ভালোবাসা ছাড়তে পারেননি আরিফা। ২২ বছর বয়সেই ঢুকে গিয়েছেন কোচিং পেশায়। নিজের স্বপ্ন পূরণ করতে না পারলেও হাজারো নারীর স্বপ্ন পূরণের কারিগর হতে চান রংপুরের এই ক্রিকেটার। নিজস্ব ক্রিকেট একাডেমিও খুলেছেন, যেখানে নারীদের বিনা মূল্যে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।


আরিফা আরও বলেন, 'আমি ইন্টার স্কুল টুর্নামেন্ট খেলার পর রংপুর জেলা দলে খেলি। সেখান থেকে ঢাকা প্রিমিয়ার এরপর ঢাকা প্রথম বিভাগ। এভাবেই শুরু হয়েছে আরকি। নাকের ইনজুরির কারণে ২০১৭ সালে খেলা বন্ধ করে দিয়েছি। ধুলাবালি থেকে এই সমস্যার শুরু। এরপর নাক দিয়ে রক্ত পড়ত, ধুলাবালি বা রোদে গেলে। মূলত ইনফেকশন হয়েছিল। এখনও ক্রিকেটের সঙ্গে আছি। বিভিন্ন ক্লাবে ট্রেইনার হিসেবে কোচিং করাচ্ছি। রংপুরে এনসিএলে সহকারী কোচ হিসেবে ছিলাম। রংপুরে আমার নিজস্ব ক্রিকেট একাডেমি আছে, মেয়েদের।'


'বাংলাদেশের প্রথম নারী ক্রিকেট একাডেমি। সম্পূর্ণ বিনা মূল্যে তাঁদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। ক্রিকেটের সঙ্গে থাকতে হলে এছাড়া আর কোন উপায় নেই। আমার জন্য সিদ্ধান্তটা অনেক কঠিন ছিল। কারণ কল্পনাও করতে পারিনি যে আমি একজন ক্রিকেটার হব বা প্রিমিয়ারে খেলব। স্কুলে খেলার পর এমন একটা সুযোগ পেয়েছি। এরপর ইনজুরির কারণে ক্রিকেট বন্ধ হয়ে গেছে যা অনেক কষ্টের। একজন ক্রিকেটারই বুঝে এটা কতটা কষ্টের। ক্রিকেটকে ভালোবাসি, ক্রিকেটের সঙ্গেই থাকতে চাই। এই জন্যই কোচিং পেশায় আসা।' আরও যোগ করেন এই তরুণী।



করোনা ভাইরাস প্রভাব বিস্তারের শুরু থেকেই দেশের অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোতে সক্রিয় ভূমিকা ছিল তামিম ইকবালের। ওয়ানডে অধিনায়ক ২৭ জন ক্রিকেটারকে নিয়ে নিজেদের বেতনের অর্ধেক করে দিয়ে বড় অঙ্কের তহবিল অনুদান দিয়েছেন।


করোনায় কর্মহীন হয়ে পড়া জুনিয়র এক অ্যাথলেটের পরিবারের তিনমাসের খরচ বহন করেছেন। নারায়ণগঞ্জে ক্রিকেটার নাজমুল ইসলাম অপুর ত্রান বিতরণ কার্যক্রমে অংশ হওয়া থেকে সামাজিক সংগ???ন ফুট স্টেপকে বড় অঙ্কের অনুদান দিয়েছেন। এছাড়া টিম বয় এবং ম্যাসাজম্যানদের সাহায্যার্থে সাকিব, মাশরাফি, মুশফিক, রিয়াদদের সাথে ১ লাখ টাকার অনুদান দিয়েছেন এই ওপেনার।


একজন বাংলাদেশ নামে স্বেচ্ছাসেবক প্রতিষ্ঠানকেও সহায়তা করেছেন তামিম। এর আগে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের সঙ্গে সম্মিলিতভাবে বেতন থেকে করোনায় বিপর্যস্তদের অনুদানের জন্য দেন তামিম। পাশে দাঁড়ান সুবিধাবঞ্চিত অ্যাথলেটদের। নাফিসা খান নামক একজন সমাজসেবীর সঙ্গে যুক্ত হয়ে মানবতার হাত বাড়িয়ে দেন খেতে খাওয়া মানুষদের প্রতি।


আর কিছুদিন আগে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের পক্ষ থেকে ঘূর্ণিঝড় আম্পানে ক্ষতিগ্রস্থদের পুনর্বাসন ও সুপেয় খাবার পানি দিয়েছেন টাইগারদের ওয়ানডে অধিনায়ক। আর সম্প্রতি চট্টগ্রামের ৫০ জন ক্রিকেট কোচকে আর্থিক সহায়তা করেছেন দেশ সেরা এই ওপেনার।



আরো খবর

সম্পাদক এবং প্রকাশক: মোঃ কামাল হোসেন

বাংলাদেশের ক্রিকেট জগতে এক অপার আস্থার নাম ক্রিকফ্রেঞ্জি। সুদীর্ঘ ১০ বছর ধরে ক্রিকেট বিষয়ক সকল সংবাদ পরম দায়িত্ববোধের সঙ্গে প্রকাশ করে আসছে ক্রিকফ্রেঞ্জি। প্রথমে শুধুমাত্র সংবাদ দিয়ে শুরু করলেও বর্তমানে ক্রিকফ্রেঞ্জি একটি পরিপূর্ণ অনলাইন মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম।

মেইল: cricfrenzy@gmail.com
ফোন: +880 1305-271894
ঠিকানা: ২য় তলা , হাউজ ১৮, রোড-২
মোহাম্মাদিয়া হাউজিং সোসাইটি,
মোহাম্মাদপুর, ঢাকা
নিয়োগ ও বিজ্ঞপ্তি
বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ
নিয়ম ও শর্তাবলী
নীতিমালা
© ২০১৪-২০২৪ ক্রিকফ্রেঞ্জি । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
footer ball