মুশফিকের প্রস্তাবে বিসিবির 'না'

ছবি: ছবিঃ সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
করোনা পরিস্থিতিতে বন্ধ রয়েছে দেশের সকল ক্রিকেটীয় ইভেন্ট। সংক্রমণ ঠেকাতে গৃহবন্দী দিনযাপন করছেন ক্রিকেটাররা। বাড়িতেই চলছে ক্রিকেটারদের অনুশীলন, ফিটনেস নিয়ে কাজ আড্ডা সবকিছুই। কিন্তু লম্বা এমন ছুটি প্রভাব ফেলছে তাদের মনে।
যেখানে সারাদিন যেত খেলা, অনুশীলন, জিম করে, সেখানে এখন তাদের সময় কাটাতে হচ্ছে ঘরে বসে। স্বভাবতই দীর্ঘদিনের অভ্যাসে ভাঁটা পড়েছে গত দেড় মাসের লকডাউন। ফলে অনেক ক্রিকেটারই মরিয়া হয়ে উঠছেন মাঠে ফেরার জন্য।
ব্যতিক্রমী নন বাংলাদেশের উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিমও। বাসায় ফিটনেসের কাজ করে নিজেকে সন্তুষ্ট রাখতে পারছেন না তিনি। তাইতো মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে একক অনুশীলন করতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কাছে আবেদন করেছিলেন মুশফিক। কিন্তু তাকে নিরাশ করেছে বিসিবি। কেননা মুশফিকের এই আবেদনে সাড়া দেয়নি দেশের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক এই সংস্থাটি।

মুশফিকের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে তাকে সঠিক সময়ের জন্য অপেক্ষা করতে বলা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এমন বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা করতে নারাজ বোর্ড। এমনটাই জানিয়েছেন বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরি। সম্প্রতি বিডিনিউজ২৪-কে তিনি বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
নিজামউদ্দিন চৌধুরি বলেন, 'কাউকে একা অনুশীলনের অন???মতি দেওয়া মানে তো শুধু একার ব্যাপার নয়। মাঠ ও উইকেট প্রস্তুত করার লোক রাখতে হবে, সাহায্য করার জন্য কয়েকজন লাগবে, নেট বোলার লাগবে। আরও কিছু পারিপার্শ্বিকতা আছে। সব মিলিয়ে ব্যাপারটা ঝুঁকির হয়ে যায়। এটা আসলে অনুমতি না দেওয়ার ব্যাপার নয়। আমরা পরিস্থিতি তুলে ধরেছি, মুশফিক তো খুবই সেন্সিবল, সে ভালোভাবেই বুঝতে পেরেছে।'
'যখন সময় হবে, সবার জন্য একইরকম নিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টি করে অনুশীলনের ব্যবস্থা মুশফিক নিজেও জানালেন, পরিস্থিতির গুরুত্ব অনুধাবন করেই শেষ পর্যন্ত তিনি সরে এসেছেন অনুশীলন শুরুর ভাবনা থেকে।'
এদিকে মুশফিক নিজেও পরিস্থিতি বুঝতে পেরে সরে এসেছেন নিজের অবস্থান থেকে।
এ প্রসঙ্গে মুশফিক বলেন, 'মন তো মানে না, তাই নিজের মতোই প্র্যাকটিসের অ্যারেঞ্জমেন্ট করেছিলাম। কিন্তু উনারা বলার পর আমিও বুঝতে পেরেছি। মিরপুর এলাকার অবস্থা খুব ভালো নয়। মাঠকর্মীসহ আরও যারা থাকবেন অনুশীলনে, সবাইকে কোয়ারেন্টিনে রাখাও কঠিন হবে।'
'তাছাড়া আমাকে তো আবার বাসায় ফিরতে হবে অনুশীলন করে। পরিবারের সবার জন্যও ঝুঁকির হয়ে যায় সেটি। সব মিলিয়ে ভেবে দেখলাম, ব্যাপারটা এই মুহূর্তে হয়তো ঠিক হবে না। উনারা বলেছেন, সামনে পরিস্থিতি এলে সবকিছু জীবাণুমুক্ত করে, সবার টেস্ট করিয়ে অনুশীলন শুরুর ব্যবস্থা করা হবে। আপাতত আরও অপেক্ষা করি।'