|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

ক্রিকেটারদের অনুশীলনে ফেরাতে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) পরিকল্পনায় বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে করোনাভাইরাস। আগামী সপ্তাহে অনুশীলন শুরুর করেছিল দেশটির ক্রিকেট বোর্ড। কিন্তু আপাতত সেটা বাস্তবায়ন হচ্ছে না। 

দেশটির জাতীয় ক্রিকেট একাডেমি (এনসিএ) কর্তৃপক্ষের দেয়া তথ্য মতে, জীবাণুমুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে আরও সময় লাগবে তাঁদের। তাই ক্রিকেটারদের স্বাস্থ্য ঝুঁকির কথা ভেবে এখন অনুশীলন করা সম্ভব হচ্ছে না। যদিও দেশটির মেডিকেল প্যানেল নিয়ন্ত্রিত পরিবশে সম্পর্কে ক্রিকেটার ও টিম ম্যানেজমেন্টকে ইতোমধ্যে নিজেদের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে।

জুনের শুরুতেই ২৫-৩০ জন ক্রিকেটার নিয়ে লাহোরের জাতীয় ক্রিকেট একাডেমিতে জোড়ায় জোড়ায় ট্রেনিং করার পরিকল্পনা সাজিয়েছিল পিসিবি। এরপর এখান থেকে লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে তিন সপ্তাহের জন্য অনুশীলন করতে যাওয়ার কথা ছিল আজহার আলী-বাবর আজমদের।

এই ক্রিকেটারদের মধ্য থেকেই ইংল্যান্ড সফরের জন্য দল চূড়ান্ত করার পরিকল্পনাও করেছিল পিসিবি। কিন্তু রুম সল্পতার কারণে এই পরিকল্পনা আপতত বাস্তবায়ন হচ্ছে না। কারণ এনসিএ ভবনে মোট ২১টি রুম বরাদ্দ আছে। সামাজিক দূরত্ব বজার রাখার জন্য রুম প্রয়োজন ৪০টি। এছাড়া ট্রেনিং চলাকালীন কেউই ভবনের ভেতরে কিংবা বাইরে যেতে-আসতে পারবে না।

পিসিবি অবশ্য এখনও হাল ছেঁড়ে দেয়নি। ট্রেনিং শুরুর ব্যাপারে আশাবাদী তাঁরা।দুটি স্টেডিয়ামে ভাগ করে ট্রেনিং করার কথাও ভাবছে দেশটির ক্রিকেট বোর্ড।তবে কোচিং স্টাফরা অনেকেই দেশের বাইরে থাকায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না পিসিবি।

বোলিং কোচ ওয়াকার ইউনুস অস্ট্রেলিয়াতে অবস্থান করছেন। ফিজিওথেরাপিস্ট ক্লিফ ডিকন আছেন দক্ষিণ আফ্রিকায়। তবে ইতোমধ্যে নির্বাচক কমিটি ক্রিটোরদের তালিকা চূড়ান্ত করেছে। শুধু মাত্র করোনা টেস্টে নেগেটিভদেরকেই এই তালিকায় রাখা হয়েছে।

পিসিবি মেডিকেল কমিটির প্রধান ডাক্তার সোহেল সালিম ইতোমধ্যে ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডকে (ইসিবি) জানিয়ে দিয়েছেন, কিভাবে এই ক্যাম্প পরিচালিত করবেন তাঁরা। আইসিসির নির্দেশিকাগুলিও এই পরিকল্পনাগুলিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। যার একটি চূড়ান্ত খসড়া আইসিসির কাছে পর্যালোচনার জন্য জমা দেওয়া হবে বলে জানা গেছে।