মিরপুর 'লাল অঞ্চলের' আওতায় থাকলে এখনই ফিরছে না ক্রিকেট

ছবি: ছবি- ক্রিকফ্রেঞ্জি

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||
চলমান করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের মাত্রার ওপর ভিত্তি করে সারা দেশকে রেড, ইয়েলো ও গ্রিন- এ তিন অঞ্চলে ভাগ করা হবে। পহেলা জুন এমনটা জানিয়েছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. জাহিদ মালেক। বর্তমানে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর ও চট্টগ্রামে সবচেয়ে বেশি করোনার ঝুঁকিতে রয়েছে।
এ সকল এলাকাকে লাল অঞ্চলের আওতায় ফেলা হতে পারে বলে জানিয়েছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী। ধানমন্ত্রীর পরামর্শ অনুযায়ী বৈঠক হলেও এখনও চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে সরকারের লাল অঞ্চলের তালিকায় পড়তে পারে মিরপুর এবং মোহাম্মদপুরও। কারণ এই দুই এলাকাতেও অনেক করোনা রোগী আছেন।

সরকার জোন ভাগ করে দেয়ার পরই মিরপুরে ক্রিকেট ফেরানোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। বিসিবির নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু ক্রিকফ্রেঞ্জিকে এমনটা জানিয়েছেন। যে কারণে এখনই কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না তারা।
মরণব্যাধি করোনাভাইরাসের কারণে দুই মাসের ওপর ধরে বন্ধ রয়েছে সব ধরণের স্পোর্টিং ইভেন্ট। সরকার লকডাউন তুলে নিয়ে সীমিত আকারে সবকিছু চালু করার চেষ্টা করছে। এমন অবস্থায় ক্রিকেট কবে নাগাদ মাঠে ফিরছে সে প্রশ্ন সকলেরই।
মিনহাজুল আবেদীন বলেন, 'আমাদের সরকারের সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। মিরপুরকে কোন অঞ্চলের মধ্যে ফেলা হয় সেটাও একটা বিষয়। তাই এই মুহূর্তে কোন সিদ্ধান্ত নিচ্ছি না। পরে দেখা গেল মিরপুর লাল অঞ্চলের মধ্যে।'
সরকারের রোগতত্ব, রোগনির্ণয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) সর্বশেষ প্রকাশিত তালিকা থেকে দেখা গেছে, রাজধানীতে করোনায় আক্রান্ত শীর্ষ তিন এলাকা মহাখালী, মিরপুর ও যাত্রাবাড়ী। রাজধানী শীর্ষ ২০ এলাকার মধ্যে এখন পর্যন্ত মিরপুরে ৩৬৯ জন করোনা আক্রান্ত।
যেসব এলাকায় বেশি সংক্রমিত হবে, তা কয়েক দিনের জন্য বন্ধ রাখা (লকডাউন) হতে পারে। তবে বিশেষজ্ঞরা যেভাবে পরামর্শ দেবেন, সেভাবেই কাজ করা হবে। যে কারণে এখনই খেলা মাঠে ফেরানোর ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না বিসিবি।