বিপিএলে তামিমের সিদ্ধান্তে অবাক হয়েছিলেন আফ্রিদি

ছবি: ছবিঃ সংগৃহীত

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||
২০১৮-১৯ মৌসুমের বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। সেই আসরে কুমিল্লাকে দ্বিতীয় বিপিএল শিরোপা জেতাতে বড় ভূমিকা রেখেছিলেন তামিম ইকবাল। এছাড়া শহীদ আফ্রিদি, ওয়াহাব রিয়াজ, থিসারারা পেরেরাদের মতো তারকারাও কুমিল্লার হয়ে খেলেছিলেন সে আসরে।
দেশীয়দের মধ্যে ইমরুল কায়েস, আনামুল হক বিজয়, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনরা ছিলেন সেই দলে। ফাইনালে ১৪১ রানের অসাধারণ ইনিংস খেলে দলকে একাই শিরোপা জিতিয়েছিলেন অধিনায়ক তামিম।

পুরো আসরে দারুণ অধিনায়কত্ব করেছিলেন তিনি। তবে ঢাকা ডাইনামাইটসের বিপক্ষে আসরের ২৬তম ম্যাচে অধিনায়ক তামিমের একটি সিদ্ধান্ত অবাক করে দিয়েছিল আফ্রিদিকে। কারণ শেষ ওভারে অভিজ্ঞ ওয়াহাব রিয়াজকে বল তুলে না দিয়ে সাইফউদ্দিনের ওপর ভরসা রেখেছিলেন কুমিল্লা দলপতি।
তামিমের আস্থার প্রতিদানও দিয়েছিলেন তরুণ এই অলরাউন্ডার। জয়ের জন্য ঢাকাকে ১৫৪ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দেয় কুমিল্লা। ম্যাচটিতে সাইফউদ্দিনের শেষ ওভারে দুর্দান্ত বোলিংয়ে ৭ রানের জয় পায় বিপিএলের ষষ্ঠ আসরের চ্যাম্পিয়নরা। ৪ ওভারে ৩৮ রান দিয়ে ১ উইকেট তুলে নেন তিনি।
এছাড়া বিপিএলের ৩৯ তম ম্যাচে একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে শেষ ওভারে সাইফউদ্দিনের ওপর আস্থা রাখেন তামিম। সেই ম্যাচে আঙ্গুলে চোট পাওয়া সত্ত্বেও দলকে ১ রানের জয় উপহার দেন এই তরুণ। ৪ ওভারে ২২ রান খরচায় ৪ উইকেট তুলে নেন সাইফউদ্দিন।
বিপিএলের সেই দুটি ম্যাচের স্মৃতিচারণ করে সাইফউদ্দিন ক্রিকফ্রেঞ্জির লাইভে বলেন, 'ঢাকার বিপক্ষে খেলা হলে তামিম ভাইর মধ্যে বাড়তি উত্তেজনা কাজ করে। আমার ক্ষেত্রেও একই। ঢাকার সাথে ম্যাচের দিন আমি দুইবার জিম করি। সকালে আর ম্যাচের আগে। ওদের সাথে ভালো করতেই হবে। এটা আমার মধ্যে গেঁথে গেছে। ঢাকা জয়ের জন্য দরকার ছিল ১৩ রান। রাসেল ব্যাটিং করছিল, এর আগের ওভারে আঙ্গুলে চোট পেয়ে আমি উঠে যাই। বোলিংয়ে এসে পঞ্চম বলে ওয়াইড ইয়র্কার করলে ছক্কা মেরে দেয় রাসেল।'
'শেষ বলে তামিম ভাই আমার কাঁধে হাত দিয়ে বলেন, তুই পারবি, আমার বিশ্বাস। ম্যাচ হারলে প্রথম দুই বলেই হেরে যেতাম। এ কথা শোনার পর জীবনএর সেরা বলটা আমি করি। ম্যাচটা আমরা এক রানের জিতি। আবার একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে শেষ ওভার করতে তামিম ভাইকে আফ্রিদি ওয়াহাব রিয়াজকে বল দিতে বলেন। কিন্তু তামিম ভাই আমাকে বল তুলে দেন। বলেন যে আমার দলের সেরা বোলার ও। তখন আফ্রিদি অবাক হয়ে যায়। বলে যে, ১০-১২ বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা এক বোলারকে বোলিং না দিয়ে তরুন একজনকে বল দিচ্ছ? তামিম ভাই বিশ্বাস রেখেছিলেন বলেই সফল হয়েছিলাম।' আরও যোগ করেন এই পেসার।