এক মাসেই ক্যারিয়ার বদলে ফেলেছিলেন তামিম

ছবি: ছবিঃ সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
তামিম ইকবালের সবচেয়ে বড় পরিচয় এখন তিনি বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক। যদিও পারফরম্যান্সের বিচারে তিনি বাংলাদেশের সর্বকালের সেরা ব্যাটসম্যানও বটে। এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান জানিয়েছেন বাবার প্রেরণাতেই ক্রিকেটে হাতেখরি হয়েছিল তাঁর।
এরপর কোনো সময়ও পারফরম্যান্সজনিত কারণে কোনো সময় দল থেকে বাদ পড়েননি তিনি। ২০০৭ সালে জাতীয় দলে অভিষেকের আগেই অবশ্য একবার দল থেকে বাদ পড়ার অভিজ্ঞতা হয়েছিল তাঁর। সেটাই বদলে দিয়েছিল তামিমকে।
জনপ্রিয় ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকইনফোর সঙ্গে এক ভিডিওকাস্টে নিজের খেলোয়াড়ি জীবন শুরুর ঘটনা জানিয়েছেন তামিম। সেখানেই ২০০৬ সালে বাদ পড়ার স্মৃতিচারণ করেছেন তামিম। সেই সঙ্গে নিজের ক্যারিয়ারের বিভিন্ন দিক নিয়ে কথা বলেছেন এই বাঁহাতি ওপেনার।

এ প্রসঙ্গে তামিম বলেছেন, ‘আমার বাবা (প্রয়াত ইকবাল খান) সবসময় চাইতেন, আমি যেন ক্রিকেটার হই। সত্যি বলতে, আমি আমার বাবার খুব ঘনিষ্ঠ ছিলাম। এর আগেও অনেকবার বলেছি, আমি আমার বাবার স্বপ্ন পূরণের জন্যই সবকিছু করে যাচ্ছি। আমি ক্রিকেট খেলছি কারণ আমাকে আমার বাবার স্বপ্ন পূরণ করতে হবে। এভাবেই আসলে সবকিছুর শুরু।’
যুব দলের পর জাতীয় দলে আসার স্বপ্নযাত্রা নিয়ে তামিম বলেন, 'ধীরে ধীরে অনূর্ধ্ব-১৩, ১৫, ১৭ ও ১৯...আমি সব প্রক্রিয়া অনুসরণ করার চেষ্টা করেছি। ২০০৬ সাল আমার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তখন আমার বয়স ১৬-১৭’র মতো হবে, অনেক বন্ধুবান্ধব। তাদের সঙ্গে আড্ডাবাজির কারণে ক্রিকেট থেকে খানিক দূরে সরে গিয়েছিলাম। এমন না যে বাজে অভ্যাস ছিল কোন। এমনি কিশোর বয়সে যা হয়, তেমনই করতাম বন্ধুরা মিলে... ঘোরাঘুরি, আড্ডাবাজি- এসব।’
বাদ পড়ার ঘটনা প্রসঙ্গে তামিম বলেন, ‘তবে আমি এখনো একবারের জন্যও কোন দল থেকে বাদ পড়িনি। বয়সভিত্তিক হোক কিংবা জাতীয় দল। একবার বাদ পড়েছিলাম, তখন বাংলাদেশে এইচপি দল গঠন করা হয়েছিল। তখন আমি বাদ পড়েছিলাম। এখনও বাদ পড়ার কারণ জানি না অবশ্য। কারণ আমি সেবার ঘরোয়া ক্রিকেটেও বেশ ভালো করেছিলাম।’
তামিম আরও বলেন, ‘আমি এটা বললাম, কারণ আমার মনে হয় বাদ পড়ার সেই এক মাস আমার পুরো ক্রিকেট জীবনই বদলে দিয়েছে। সেই এইচপি দল পাকিস্তানে একটি সিরিজ খেলতে গিয়েছিল এবং আমরা ছয়জন ঢাকায় রয়ে গেছিলাম। আমাদের দেখার জন্য সেখানে কোচই ছিলেন ১২ জন।’
‘ঐ এক মাস খুবই খারাপ লেগেছে। মূল দলের ব্যাটসম্যানরা এসে ব্যাটিং করতো আর আমাদের বসে থাকতে হতো তাদের শেষ হওয়ার জন্য। এসব জিনিস আমার সকল চিন্তাভাবনা বদলে দিয়েছিল। তখন আমি ভালোভাবে ফিরে আসি, ঘরোয়াতে ভালো করি এবং জাতীয় দলে সুযোগ পেয়ে যাই।’