করোনার মাঝেও আকবরদের 'অনুপ্রেরণা' দিয়ে যাচ্ছেন স্টনিয়ার

ছবি: ছবিঃ সংগৃহীত

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||
বাংলাদেশ যুব দলের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ের নেপথ্যের কারিগর ছিলেন ফিটনেস কোচ রিচার্ড স্টনিয়ার। দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপ জুড়েই দলকে চাঙ্গা রেখেছেন এই ইংলিশ ট্রেনার। কখনো ডাগ আউট থেকে, কখনো অনুশীলনে কঠিন কঠিন শরীর চর্চা করিয়ে আকবর আলীদের মনোবল বাড়িয়েছেন।
করোনার তাণ্ডবের কারণে বিশ্বকাপের পর থেকে যুব দলের ক্রিকেটারদের সঙ্গে খুব বেশি কাজ করার সুযোগ হয়নি স্টনিয়ারের। ইংল্যান্ড থেকেই অনলাইনে শীষ্যদের ফিটনেস ক্লাস করাচ্ছেন তিনি। প্রথমে ইনস্টাগ্রাম লাইভ দিয়ে শুরু করলেও ক্রিকেটারদের সুবিধার্থে ইউটিউবে নিয়মিত ফিটনেস সেশন করাচ্ছেন তিনি।

অনেক ক্রিকেটার ইন্টারনেট সংযোগের কারণে শুরুতে সব সেশনে অংশগ্রহণ করতে না পারলেও, এখন ইউটিউবের কল্যাণে নিয়মিত তারা স্টনিয়ারের ফিটনেস ক্লাসে অংশ নিতে পারছে।
এ প্রসঙ্গে ক্রিকফ্রেঞ্জিকে স্টনিয়ার বলেছেন, 'বিশ্বকাপ থেকে ফিরে আসার পর আমি সব খেলয়াড়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। ওয়াইফাই ইন্টারনেট সংযোগ না থাকায় অনেক খেলোয়াড়ের কিছু অসুবিধা হয়েছে। এরপরও বেশ কিছু খেলোয়াড় প্রতিটি লাইভ সেশনে যোগ দিতে সক্ষম হয়েছে। এটি কেবল একটি চলমান প্রক্রিয়া এবং এটা ছেলেদের জন্য অনুপ্রেরণা দায়ক ছিল। তারা আমাকে দেখতে পারে এবং নতুন ট্যাকনিক আয়ত্ব করতে পারে, বিভিন্ন ধরনের অনুশীলন করতে পারে এবং আমি অত্যন্ত আশ্বস্ত হয়েছি যে তারা এটি উপভোগ করছে এবং ভালোবাসছে।'
স্টনিয়ারের মতে ক্রিকেট তো শুধুই শারীরিক ফিটনেসের খেলা নয়, মানসিকও। তিনি ক্রিকেটারদের মানসিকভাবে চাঙ্গা করতে পেরেই আনন্দিত তিনি। এই ইংলিশ ট্রেনারের মতে, লকডাউন কিছুটা শিথিল হলে তারা এই অনুশীলন বাড়ির বাইরেও করতে পারে।
স্টনিয়ারের ভাষ্য, 'আমি ২০ মিনিটের জন্য ইউটিউব লাইভে যাচ্ছি। প্রত্যেকে মোবাইল ফোন, ট্যাবলেট, আইপড বা এমনকি টেলিভিশনের স্ক্রিনের মাধ্যমেও ইউটিউবে ওয়ার্কআউট দেখতে পারে। এটি খুব ভাল এবং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আমরা যখন ওয়েব ক্যাম সেট আপ পাবো এটা দ্রুত গতির হবে এবং আরও ভালো হবে। এখন সম্পূর্ণ লকডাউন চলছে এমন নয় যে এই সময় আপনি অনুশীলন করতে পারবেন না। যুক্তরাজ্যেও লকডাউন কিছুটা শিথিল হচ্ছে। তাই আমারা বাইরে যেতে পারবো এবং এগুলো করতে পারবো।'