আমি বাদে কোহলি সবাইকে স্লেজিং করেছে: ইমরুল

ছবি: ছবিঃ সংগৃহীত

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে ভারতের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ শেষে ইমরুল কায়েস ভারতের অধিনায়ক বিরাট কোহলির সঙ্গে একটি ছবি পোস্ট করেছিলেন নিজের ফেসবুকে। সেখানে ইমরুল লিখেছিলেন '১৩ বছরের বন্ধুত্ব, জীবন্ত কিংবদন্তী কোহলি।'
কোহলি আর ইমরুলের বন্ধুত্বের বিস্তারিত সে সময় জানা যায়নি। তবে ক্রিকফ্রেঞ্জির লকডাউন লাইভ সেশনে মন খুলে কথা বলেছেন বাংলাদেশের বাঁহাতি এই ওপেনার। খোলাসা করেছেন কোহলির সঙ্গে তাঁর বন্ধুত্ব নিয়েও। সেখানেই উঠে এসেছে দুই দেশের দুই ক্রিকেটারের অজানা বন্ধুত্বের গল্প।

কোহলির সঙ্গে প্রথম পরিচয়ের কথা জানিয়ে ইমরুল বলেন, '২০০৭ সালে আমি স্কলার্শীপ পেয়ে অস্ট্রেলিয়ায় গিয়েছিলাম। সেখানে একটি দলের সঙ্গে অনুশীলনের সুযোগ পেয়েছিলাম। ওরা চার-পাঁচজন গিয়েছিল। অনূর্ধ্ব-১৯ চ্যাম্পিয়ন হয়েই ওরা ওখানে যায়। ওইখানে প্রায় একমাস আমরা এক সঙ্গে অনুশীলন করতাম। একসঙ্গে গল্প হতো। আমরা দুজনই পাশের দেশের মানুষ। অস্ট্রেলিয়ার মতো জায়গায় গিয়ে আমরা অনুশীলন করেছি।'
অস্ট্রেলিয়ায় অনুশীলন করলেও পেয়েও ইমরুল-কোহলিরা বেশকিছু সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছিলেন। এ প্রসঙ্গে ইমরুল বলেন, 'অস্ট্রেলিয়ানরা আমাদের এশিয়ানদের একটু অন্য চোখে দেখে। ওইখানে প্র্যাক্টিস করলে ওরা আমাদের ঠিক মতো ব্যাটিং দিত না। আমি আর বিরাট একটা পেয়ার ছিলাম। মেশিনে যখন ব্যাটিং করতাম আমাকে আর ওকে পার্টনার দিয়ে দিত ওখানকার কোচ। তখন ও বলতো, আমরা এখানে এতো দূর থেকে এসেছি ওদের বোলারদের খেলতে। মেশিন খেলতে আসিনি। আমাদের দেশে বহুত মেশিন আছে। এরকম ভাবে আমাদের আলোচনা হতো।'
২০১১ সালে আন্তর্জাতিক ম্যাচে প্রথমবারের মতো কোহলির মোকাবেলা করেন ইমরুল। সে সময় বাংলাদেশের এই ওপেনারকে স্লেজিং করতে ছাড়েননি কোহলি। তামিম ইকবালের হতক্ষেপে কোহলিকে সেদিন থামিয়েছিলেন ইমরুল। এরপর আর কখনও ইমরুলকে স্লেজিং করেননি কোহলি। দেখা হলে এরপর নিজে থেকেই কথা বলতে এগিয়ে এসেছেন তিনি।
এই ঘটনা জানিয়ে ইমরুল বলেন, 'ফতুল্লাতে যখন খেলা হয় টেস্ট ম্যাচ অলমোস্ট সবাইকে সে স্লেজিং করেছে। আমাকে একটা কথাও বলেনি। এবার আমরা যখন ভারতে টেস্ট সিরিজ খেলতে গেলাম ও কম বেশি সবাইকেই কিন্তু গালি গালাজ করেছে। আমাকে একটা কথাও বলেনি। ও ওর লেভেলে। ও লিজেন্ড প্লেয়ার, ওর সাথে আমাদের এমন করলে হবে না। একটা জিনিস ভালো লাগে, এতো বড় প্লেয়ার হয়েও আমাদের মনে রাখে এখনও। নিজে থেকে এসেই কথা বলে।'