মুলতানে ভাগ্য সাথে ছিল না: সুজন

ছবি: ছবিঃ সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
২০০৩ সালের ৬ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য ইতিহাস হয়ে থাকতে পারতো। ১৭ বছর আগে এদিন প্রথম টেস্ট জয় থেকে বঞ্চিত হয়েছিল বাংলাদেশ। কথায় আছে, সময় নাকি দুঃখ উপশম করে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের দুঃখগাথা চাপা পড়ে যায়।
যদিও সেই হারের দুঃখ এখনও ভুলতে পারেননি খালেদ মাহমুদ সুজন, হাবিবুল বাশাররা। রবিবার (১০ মে) তামিম ইকবালের সঙ্গে ফেসবুক লাইভের আড্ডায় সুজন জানিয়েছেন, সেদিন ভাগ্য সহায় ছিল না বাংলাদেশের।
এ প্রসঙ্গে সুজন বলেন, 'কাউকে দোষ দেব না, কিন্তু এতো বাজে আম্পায়ারিং সেই ম্যাচে হয়েছিল আর একটা আউটের ব্যাপারে, যেটা আউট হয়েও দেয়নি। রশিদ লতিফ পাঁচ ম্যাচ নিষিদ্ধ হয়, পরের আর ক্রিকেটই খেললো না। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করার পরও পারিনি। ফিল্ডিংয়ে মাশরাফি দারুণ করেছিল। দুইটা ক্যাচ ধরেছিল, মঞ্জুর বলে। এতো কাছে এসে আমরা একটা উইকেট ফেলতে পারলাম না, ৩-৪বল পেয়েছিলাম লাস্ট ব্যাটসম্যানকে, দুইটা বল স্টাম্পের একদম কাছ দিয়ে যায়। ভাগ্য সাথে ছিল না, দুঃখের একটা ম্যাচ ছিল। বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট জয় হতে পারতো।'

প্রথম দুই টেস্টে রাজিন সালেহ, জাভেদ ওমর, হাবিবুল বাশার, মাশরাফি বিন মুর্তজা, খালেদ মাহমুদরা দুর্দান্ত খেলে নিজেদের প্রমাণ করেছিলেন। করাচি টেস্টে সমানে-সমান লড়েও হার মানতে হয়েছিল পাকিস্তানের বিপক্ষে।
পেশোয়ার টেস্টে তিনদিন পাকিস্তানের সঙ্গে দুর্দান্ত লড়াই করেছিল বাংলাদেশ। এরপর শোয়েব আখতারের এক স্পেলে গুড়িয়ে যায় বাংলাদেশের প্রতিরোধ। মুলতান টেস্টেও একই পথে ছিল বাংলাদেশ। তবে এক উইকেটে হেরে সেই টেস্ট হয়ে যায় বাংলাদেশের দুঃখগাথার।
সেবারের পাকিস্তান সফরের বর্ণনা দিতে গিয়ে সুজন বলেন, 'আমরা তিনটা টেস্টই হারি। তবে প্রথম টেস্ট থেকেই আমরা ভালো খেলি, খেলা ৪ দিনে যায়। দুই ইনিংসেই ওরা ব্যাট করে, আমরাও করি। ওরা ৭ উইকেটে জিতে। এরপর পেশোয়ারে আমরা ১০৯ রানের মতো লিড নিয়েছিলাম। ওই ম্যাচে শোয়েব আখতারের দারুণ এক স্পেলে আমরা অল্প রানে অল আউট হয়ে যায়। ওইটা আমরা হারি ৮ উইকেটে।'
মুলতান টেস্টের প্রেক্ষাপট বলতে গিয়ে সুজন বলেন, 'মুলতান টেস্টের আগে ডেভ হোয়াটমোর বলেছিল মাশরাফির ইনজুরি, মুলতান অথবা পেশোয়ার, যে কোন একটা টেস্টে খেলবে। পেশোয়ারের উইকেট দেখার পর মাশরাফিকে বলি মুলতান টেস্টে খেলতে। তারপরও মাশরাফি খেলে এবং বলে যে ভালো খেললে আমাকে ড্রপ করবে না। পরের টেস্টে যখন ঘাসের উইকেট দেখে মাশরাফিকে চাই তখন তখন ডেভ ওকে খেলতে দেয়নি। পরেরটায় আমরা সবাই জানি, এতো কাছে গিয়েছিলাম যে, আমরা যে কতটা মুখিয়ে ছিলাম। কিন্তু ভাগ্য একদমই সঙ্গে ছিল না আমাদের।'
সেই ম্যাচে অলক কাপালির আউট নিয়ে পাকিস্তানের অধিনায়ক ও উইকেটরক্ষক রশিদ লতিফ আর ম্যাচের আম্পায়ার অশোকা ডি সিলভার বিরাট নাটক এখনও ভুলতে পারেননি বাংলাদেশের সমর্থকরা। তবে ইনজামাম-উল হকের দারুণ ব্যাটিংশৈলিতে সেদিন বাংলাদেশের হাত থেকে নিশ্চিত এক জয় কেড়ে নেয় পাকিস্তান।