এ যেন ভুতের মুখে রাম নাম!

ছবি: ছবি- সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
কথায় আছে 'ভুতের মুখে রাম নাম।' বহুল প্রচলিত এই প্রবাদটিরই সার্থকতা যেন প্রমাণ করলেন সেলিম মালিক। পাকিস্তানের সাবেক এই ক্রিকেটার সম্প্রতি ম্যাচ পাতানোর দায়ে অভিযুক্ত খেলোয়াড়দের বিচার দাবি করেছেন!
অথচ এই সেলিম মালিকই ম্যাচ পাতানোয় জড়িত থাকার সন্দেহে আজীবন ক্রিকেট থেকে নিষেধাজ্ঞা পান। ১৯৯৫ সালে শেন ওয়ার্ন, টিম মে এবং মার্ক ওয়াহকে ম্যাচ পাতানোর প্রস্তাব দেন ডানহাতি ব্যাটসম্যান সেলিম মালিক। ঘরের মাটিতে অনুষ্ঠিত সেই সিরিজে অস্ট্রেলিয়ার এই তিন ক্রিকেটারকে বাজে পারফরম্যান্স করতে প্রলোভন দেখান তিনি।

মালিকের সেই প্রস্তাবে রাজি হননি ওয়ার্ন, মে এবং ওয়াহ। উল্টো আইসিসির কাছে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন তাঁরা। দীর্ঘ তদন্তের পর ২০০০ সালে সেলিমের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ প্রমাণিত হলে আজীবনের জন্য তাঁকে নিষিদ্ধ করে আইসিসি এবং পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। তবে এবার নাকি নিজের ভুল বুঝতে পেরেছেন মালিক। আর সেই কারণেই আইসিসি এবং পিসিবিকে সহযোগিতা করতে (ম্যাচ পাতানো নিয়ে) প্রস্তুত তিনি।
সেলিম মালিক বলেছেন, ‘আট বছর বয়সে শুরু করেছিলাম ক্রিকেট খেলতে। এ ছাড়া আর কিছুই করিনি। সারা জীবন ধরে ক্রিকেট খেলে গিয়েছি। এটাই আমার রুটি-রুজি ছিল। আবেদন করছি, মানবাধিকার আইনে যাঁরা ম্যাচ ফিক্সিংয়ে যুক্ত, তাঁদের যেন বিচার হয়। আর আইসিসি ও পিসিবির যা নিয়ম, তার সঙ্গে সহযোগিতা করতে আমি প্রস্তুত।’
কয়েকদিন আগে এক ভিডিও বার্তায় ক্রিকেটে ফেরার (কোচ হিসেবে) ইচ্ছা প্রকাশ করেন সেলিম মালিক। অবশ্য ফিরতে হলে সাবেক এই ক্রিকেটারকে জবাবদিহিতা (ম্যাচ পাতানো নিয়ে) করতে হতো পিসিবির কাছে। কিন্তু বোর্ড থেকে তাঁকে একাধিকবার এই ব্যাপারে ফোন দেয়া হলেও আমলে নেননি তিনি। অবশেষে দীর্ঘ দিন পর নিরবতা ভাঙলেন সেলিম মালিক।