promotional_ad

'বৈধ টেম্পারিংকে' স্বাগত জানাচ্ছেন রাহি-এবাদতরা

ছবি- সংগৃহীত
promotional_ad

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||


বিশ্ব ক্রিকেটে বলের একপাশ চকচকে রাখতে লালার ব্যবহার অতিপ্রাচীন। করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে সেটাই এখন স্বাস্থ্য ঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমন অবস্থায় লালার ব্যবহার নিষিদ্ধ করার কথা ভাবছে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। 


বিশেষ করে টেস্ট ক্রিকেটে বল একটু পুরনো হওয়ার পর সুইংয়ের সুবিধার্থে বলের একপাশ চকচকে রাখতে লালার ব্যবহারের জুড়ি নেই। এর ব্যবহার নিষিদ্ধ হলেও বলের একপাশ উজ্জ্বল করার জন্য কৃত্রিম উপাদান বা উপকরণ ব্যবহার বৈধ করে দেওয়ার কথা ভাবছে আইসিসি। এমনটাই জানিয়েছে ক্রিকইনফো।


সেক্ষেত্রে লেদার ময়েশ্চারাইজার ও শু পলিশের মতো বস্তুকে ছাড়পত্র দিতে পারে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। যদিও নিকট অতীতে এসব বস্তু ক্রিকেটে নিষিদ্ধই ছিল। তাই হুট করে এগুলোর ব্যবহার অনেকেই কটু চোখে দেখছেন। বাংলাদেশের পেসাররা অবশ্য স্বাগতই জানাচ্ছেন বিষয়টিকে।



promotional_ad

বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞ টেস্ট পেসার আবু জায়েদ রাহি জানিয়েছেন, স্বাস্থ্য ঝুকির কথা চিন্তা করে লালার ব্যবহার বন্ধ করাই উচিত। সেই সঙ্গে যদি শু পলিশের ব্যবহারকে অনুমোদন দেয়া হয় বলে এটাকে তিনি স্বাগত বলে জানাবেন। তাঁর বিশ্বাস নতুন নিয়মে কোনো সমস্যা হবে না।


এ প্রসঙ্গে ক্রিকফ্রেঞ্জিকে রাহি বলেছেন, 'অবশ্যই ভালো। কারণ হলো নিরাপত্তা সবার আগে। আমি অবশ্যই সম্মতি জানাই কারণ  নিরাপত্তা আগে। এখন যদি এমন অবস্থা হয় যে বলে থুতু লাগানো হয় তারপর যদি একজনের ভাইরাস অন্যদিকে যায়। আমার আসলে মনে হয় এটায় (নতুন নিয়মে) কোনো সমস্যা হবে না। ক্রিকেটের আগে তো সেফটি আগে। বিকল্প তো ওরা বলছে শু পলিশের কথা। এখন তাঁরা বিকল্পতো একটা রাখতে বলছে যে শু পলিশ অথবা ভ্যাস্লিন অনুমোদন দেবে। এটা হলেও খারাপ না, অবশ্যই ভালো।'


আরেক পেসার এবাদত হোসেন জানিয়েছেন, ভ্যাসলিন জাতীয় কিছু ব্যবহার করার অনুমোদন পেলে বল চকচকে করা তাদের জন্য আরও সহজ হয়ে যাবে। এটাকে নিজেদের জন্য সুখবর হিসেবেই ভাবছেন এবাদত। বলের একপাশ চকচকে থাকলে সেই বল খেলা ব্যাটসম্যানদের জন্য অনেক কঠিন হয়ে যাবে বলেও ধারণা এই পেসারের।


এবাদত বলেছেন, 'এগুলো বল শাইনিংয়ে হেল্প করবে। এগুলো আগে নরমালি আমরা করতে পারতাম না। থুতু দিয়েই আমাদের সব করতে হতো। এখন যদি ভ্যস্লিন বা ওই জাতীয় কিছু ব্যবহার করতে দেয় তাহলে সেটা তো আমাদের জন্য অনেক সহজ। সহজ বলতে বল শাইন করতে যেই কষ্টটা হত সেটা আমরা এখন অনেক সহজেই করতে পারবো। যত বল শাইনিং করতে পারবো ততো আমাদের সাপোর্ট ভালো থাকবে। এটা আমাদের জন্য অনেক ভালো একটা ব্যপার। সুখবর আমি যেটা মনে করি।'



বল চকচকে রাখতে কৃত্রিম উপকরণ ব্যবহার নিষিদ্ধ থাকলেও অনেকেই এর ব্যবহার করে আইসিসির শাস্তির মুখে পড়েছেন। ২০১৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে কেপটাউন টেস্টে শিরিষ কাগজ দিয়ে বল চকচকে করতে গিয়ে স্টিভেন স্মিথ-ডেভিড ওয়ার্নাররা ‘স্যান্ড-পেপার’ কেলেঙ্কারি করেন। এর ফলে দুজনই এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ হন।


সেই সঙ্গে ক্যামেরন ব্যানক্রফটকে নিষিদ্ধ করা হয় ৬ মাসের জন্য। তিনজনই নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরেছেন। এরা ছাড়াও অনেক কীর্তিমান ক্রিকেটাররাও খেলা ছাড়ার পর স্বীকার করেছেন তারাও বল চকচকে রাখতে অবৈধ পন্থা অবলম্বন করেছেন। সেই তালিকায় আছেন, ডেনিস লিলি, শোয়েব আখতাররা।



আরো খবর

সম্পাদক এবং প্রকাশক: মোঃ কামাল হোসেন

বাংলাদেশের ক্রিকেট জগতে এক অপার আস্থার নাম ক্রিকফ্রেঞ্জি। সুদীর্ঘ ১০ বছর ধরে ক্রিকেট বিষয়ক সকল সংবাদ পরম দায়িত্ববোধের সঙ্গে প্রকাশ করে আসছে ক্রিকফ্রেঞ্জি। প্রথমে শুধুমাত্র সংবাদ দিয়ে শুরু করলেও বর্তমানে ক্রিকফ্রেঞ্জি একটি পরিপূর্ণ অনলাইন মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম।

মেইল: cricfrenzy@gmail.com
ফোন: +880 1305-271894
ঠিকানা: ২য় তলা , হাউজ ১৮, রোড-২
মোহাম্মাদিয়া হাউজিং সোসাইটি,
মোহাম্মাদপুর, ঢাকা
নিয়োগ ও বিজ্ঞপ্তি
বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ
নিয়ম ও শর্তাবলী
নীতিমালা
© ২০১৪-২০২৪ ক্রিকফ্রেঞ্জি । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
footer ball