promotional_ad

রাত ৩টা পর্যন্ত চিৎকার করে কেঁদেছিলেন কোহলি

ছবিঃ সংগৃহীত
promotional_ad

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||


আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকের পর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি বিরাট কোহলিকে। ব্যাটিং কৌশল, শক্ত মানসিকতা এবং নেতৃত্বগুন দিয়ে নিজেকে নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্ছতায়। অথচ ভারতের এই ওয়ানডে অধিনায়ক এক সময় দলে সুযোগ না পেয়ে সারারাত কেঁদেছিলেন!
 
করোনাভাইরাসের কারণে স্থবির হয়ে আছে পুরো বিশ্ব। মাঠের খেলা বন্ধ হওয়ার ঘরে বসেই সময় পার করছেন ক্রিকেটাররা। বিরাট কোহলিও স্ত্রী আনুশকা শর্মাকে নিয়ে ঘরেই জীবনযাপন করছেন। এসবের মাঝে অনলাইনে সেশনে শিক্ষার্থীদের অনুপ্রেরণা যোগাতে ব্যস্ত এই দুজন।


সেখানেই শিক্ষার্থীদের অনুপ্রেরণা যোগাতে জীবনের এই গল্প বলেছেন ভারতের অধিনায়ক। ক্রিকেট জীবনের শুরুর দিকে রাজ্য দলে সুযোগ না পেয়ে মন ভেঙে গিয়েছিল কোহলির। সেই অবস্থা থেকে কিভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছিলেন এই গল্পই বলেছেন ৩১ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যান।


কোহলি বলেন, 'রাজ্য দলে প্রথমবার যখন জায়গা হলো না, মনে আছে অনেক রাত পর্যন্ত আমি শুধু কেঁদেছিলাম। রাত ৩টা পর্যন্ত আমি চিৎকার করে কেঁদেছি। বিশ্বাসই করতে পারছিলাম না। কারণ আমি রান করছিলাম, সবকিছুই নিখুঁতভাবে করছিলাম। পারফর্ম করেই ওই পর্যায়ে গিয়েছিলাম, কিন্তু সুযোগ দেওয়া হলো না।



promotional_ad

আমার কোচকে আমি টানা দুই ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞেস করে গেছি, ‘কেন সুযোগ পেলাম না?’ আমি কোনো যুক্তিই খুঁজে পাচ্ছিলাম না। কিন্তু যদি প্রবল অনুরাগ আর নিবেদন থাকে, নিজের ভেতর আবার ঠিকই প্রেরণা খুঁজে পাওয়া যায়।'


দলে সুযোগ না পেলেও হার মানেননি কোহলি। পরিশ্রম করে ২০০৬ সালে জায়গা করে নেন দিল্লি দলে। সুযোগ পান অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ খেলার। তাঁর নেতৃত্বে শিরোপা যেতে ভারত। সে বছরের আগস্টে শ্রীলংকার বিপক্ষে ওয়ানডে অভিষেক হয় কোহলির।


২০১৭ সালে আনুশকার সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন এই ব্যাটসম্যান। কোহলি জানালেন, বলিউড তারকা স্ত্রীর কাছ থেকেও অনেক কিছু শিখেছেন তিনি, যা সাহায্য করছে তার ক্রিকেটে।


কোহলি বলেন, 'সত্যি বলতে, আনুশকা ও আমি পরস্পরের সঙ্গে দেখা হওয়ার পর ধৈর্য ব্যাপারটি খুব ভালোভাবে শিখেছি। আগে আমি খুব অধৈর্য ছিলাম। ওর ব্যক্তিত্বের দিকে তাকিয়ে, বিভিন্ন পরিস্থিতিতে ওর স্থৈর্য সত্যিই আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে প্রতিকূলতার সঙ্গে লড়াই করতে।



অনেক সময়ই কঠিন পরিস্থিতিতে নিজের অহংবোধ হজম করে ফেলতে হয়, প্রতিবন্ধকতার সঙ্গে লড়াই করে পথ খোঁজার টেষ্টা করতে হয়। তাহলে উপায় মিলবেই। আমি ওকে এটিই করতে দেখিছি ও ওকে দেখে শিখেছি। কখনও কখনও টেস্ট ম্যাচে এমন হবে, দুই ঘণ্টা ক্রিজ আঁকড়ে রেখে ২০ রান করতে হবে। দলের যখন যা প্রয়োজন, তখন তা করতে হবে।'



আরো খবর

সম্পাদক এবং প্রকাশক: মোঃ কামাল হোসেন

বাংলাদেশের ক্রিকেট জগতে এক অপার আস্থার নাম ক্রিকফ্রেঞ্জি। সুদীর্ঘ ১০ বছর ধরে ক্রিকেট বিষয়ক সকল সংবাদ পরম দায়িত্ববোধের সঙ্গে প্রকাশ করে আসছে ক্রিকফ্রেঞ্জি। প্রথমে শুধুমাত্র সংবাদ দিয়ে শুরু করলেও বর্তমানে ক্রিকফ্রেঞ্জি একটি পরিপূর্ণ অনলাইন মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম।

মেইল: cricfrenzy@gmail.com
ফোন: +880 1305-271894
ঠিকানা: ২য় তলা , হাউজ ১৮, রোড-২
মোহাম্মাদিয়া হাউজিং সোসাইটি,
মোহাম্মাদপুর, ঢাকা
নিয়োগ ও বিজ্ঞপ্তি
বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ
নিয়ম ও শর্তাবলী
নীতিমালা
© ২০১৪-২০২৪ ক্রিকফ্রেঞ্জি । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
footer ball