বিশ্বকাপের সাফল্যে গর্বিত জয়

ছবি: ছবিঃ ক্রিকফ্রেঞ্জি

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||
কদিন আগেই অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের শিরোপা জিতেছে বাংলাদেশ। বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে দারুণ এক সেঞ্চুরি করেছিলেন মাহমুদুল হাসান জয়। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেই ম্যাচে ঠিক ১০০ রানের ইনিংস খেলেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। জয় জানিয়েছেন এমন পারফরম্যান্সের কারণে গর্বিত তিনি।
বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে যুব বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছিলেন জয়। ১২৭ বলে ১০০ রানের ইনিংস খেলে ৬ উইকেটের জয়ে বাংলাদেশকে প্রথমবারের মতো কোনো বিশ্ব আসরের ফাইনালে তুলেছিলেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান।
নিজের অনুভূতি জানিয়ে জয় বলেছেন, 'আমি নিজের অনুভূতি প্রকাশ করতে পারবো না। আমি যখন সেঞ্চুরিটির কথা চিন্তা করি গর্ব অনুভব হয়। বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে কোনো বাংলাদেশী ব্যাটসম্যান সেঞ্চুরি করেনি। সব মিলিয়ে এই মাইলফলকের কারণে আমি গর্বিত।'

বিশ্বকাপ সেমিফাইনাল হলেও কিউইদের বিপক্ষে চাপে ছিলেন না জয়। আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ২১১ রান করেছিল নিউজিল্যান্ড। সেই লক্ষ্যে খেলতে নেমে ৩২ রানে দুই উইকেট হারিয়েছিল বাংলাদেশ।
সেখান থেকে তৌহিদ হৃদয়ের সঙ্গে ৬৮ রানের জুটি গড়েন জয়। এরপর চতুর্থ উইকেটে শাহাদাত হোসেনকে নিয়ে আরও যোগ করেন ১০১ রান। আর তাতেই জয়ের ভিত পেয়ে যায় বাংলাদেশ।
সেই ম্যাচের স্মৃতিচারণ করে জয় বলেন, 'বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে কিছুটা চাপ থাকে। দুই উইকেট পড়ে যাওয়ার পরও আমি কোনো চাপ অনুভব করিনি। আমি ছোটো জুটি গড়তে চেয়েছিলাম। এটা লো স্কোরিং ম্যাচ ছিল এবং আমি জানতাম ৬০-৮০ রানের জুটি আমাদের ম্যাচটি জিততে সাহায্য করবে।'
দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে খেলার আগে বিদেশের মাটিতে বেশ কিছু সিরিজ খেলেছিল বাংলাদেশ। মূলত সেই অভিজ্ঞতা বিশ্বকাপে কাজে লাগিয়ে সফল হয়েছেন আকবর আলী-জয়রা। সাফল্যের ধারা ধরে রাখতে দেশের বাইরে আরও খেলতে চান জয়।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'আমাদের দলটি অনেকে সিরিজ খেলেছে। আমরা ইংল্যান্ড এবং নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেও খেলেছি। ভবিষ্যতেও আমরা এমন সফর করলে সামনে এগিয়ে যেতে পারবো। এই সফরগুলো আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল। সাব কন্টিনেন্টের উইকেট ইংল্যান্ড এবং দক্ষিণ আফ্রিকার চেয়ে অনেক আলাদা। এই দেশগুলোতে টুর্নামেন্ট খেললে আমরা দারুণ ভাবে উন্নতি করবো।'