বেকারত্বের বেড়াজালে তুষার-লিখনরা

ছবি: ছবি- সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সবচাইতে বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তির বাইরে থাকা প্রায় ৬০ ক্রিকেটার। কারণ এই প্রিমিয়ার লিগের উপার্জন থেকেই সারা বছর চলতে হয় তাদের।
মরণঘাতী করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে এরই মধ্যে সবধরনের ক্রিকেট বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে দেশের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিসিবি। এর ফলে বিপাকে পড়েছেন তুষার ইমরান, জুবায়ের হোসেন লিখনদের মতো ক্রিকেটাররা। খেলা না থাকায় অনেকটা বেকার হয়ে পড়েছেন তারা।

৩৬ বছর বয়সী ডানহাতি ব্যাটসম্যান তুষার ইমরানের প্রত্যাশা এক্ষেত্রে চুক্তির বাইরে থাকা ক্রিকেটারদের পাশে দাঁড়াবে বিসিবি। একই সঙ্গে আগামী এপ্রিলে প্রিমিয়ার লিগ মাঠে গড়াবে বলে আশা প্রকাশ করেন ঘরোয়া ক্রিকেটের নিয়মিত এই পারফর্মার।
ক্রিকেট বিষয়ক ওয়েবসাইট ক্রিকইনফোকে তুষার বলেন, 'যদি লিগটি না হয় তাহলে আমিসহ অনেক ক্রিকেটারই নিয়মিত আয় থেকে বঞ্চিত হবে। আমরা আশা করি বিসিবি এক্ষেত্রে এগিয়ে আসবে এবং আমাদের সাহায্য করবে। যারা জাতীয় দল কিংবা প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ নয়। আমাদেরকে এপ্রিলের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। লিগটি হয়তো এরপরে আয়োজন করা হতে পারে। তবে এটা উদ্বেগের ব্যাপার প্রত্যেকের জন্য।'
লেগ স্পিনার জুবায়ের লিখনও প্রিমিয়ার লিগ বন্ধে বেশ হতাশ। পারটেক্সের হয়ে খেলা এই ক্রিকেটার গত কয়েক আসরে অনেকেটা খেলেছেন বিনামূল্যে। এবার আশায় ছিলেন নিজেকে প্রমাণ করে আর্থিক সীমাবদ্ধতা ঘোচানোর। কিন্তু সে আশাও গুঁড়ে বালি আপাতত।
ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টারকে লিখন বলেন, 'আমি গত কয়েক বছর ধরে ভালোভাবে দল পাচ্ছি না। এমনকি দল পেলেও আমাকে ফ্রিতে খেলতে হয়েছে। এবার আমি পারটেক্সে যোগ দিয়েছি এবং আমার ম্যাচও খেলতে হতো। কিন্তু কিছু হওয়ার আগেই লিগটি থেমে গেল করোনাভাইরাসের কারণে। আমি নিজেকে প্রমাণ করারও সুযোগ পেলাম না। এরচেয়েও বড় কথা এখানে অর্থনৈতিক সীমাবদ্ধতা আছে। আমি আশা করি বিসিবি জাতীয় দলের বাইরে থাকা ক্রিকেটারদের জন্য ব্যবস্থা নিবে।'
করোনাভাইরাসের কারণে আগামী ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত প্রিমিয়ার লিগসহ সকল ধরণের ক্রিকেট মুলতবি রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিসিবি। তবে এই স্থগিতাদেশের মেয়াদ আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।