মুশফিকের সেঞ্চুরি, সাইফউদ্দিনের ঝড়ে আবাহনীর বড় পুঁজি

ছবি: ছবি- ক্রিকফ্রেঞ্জি

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক ||
পর্দা উঠেছে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল)। উদ্বোধনী দিন মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয়েছে আবাহনী লিমিটেড এবং পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাব। আবাহনীর জার্সিতে এদিন প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেই সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন মুশফিকুর রহিম। তাঁর ১২৪ বলে ১২৭ রানের ইনিংসের ওপর ভর করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ২৮৯ রানের পুঁজি পায় বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
২৮৯ রানের পুঁজি পেলেও ইনিংসের শুরুটা ভালো হয়নি আবাহনীর। জিম্বাবুয়ে সিরিজে দুর্দান্ত ফর্মে থাকলেও ডিপিএলের প্রথম ম্যাচে সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারেননি লিটন দাস। স্কোরবোর্ডে শুরুতে ৬ রান যোগ করলেও তা এসেছে লেগ বাই এবং ওয়াইডে। প্রথম ওভারের শেষ বলে রনি হোসেনের বলে বোল্ড হন লিটন।
খাতা খোলার আগেই ফিরে যান তিনি। এরপরের ওভারের প্রথম বলেই জয়নাল ইসলামের বলে উইকেটরক্ষক ধিমান ঘোষের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন নাঈম শেখ। প্রথম বলেই বিদায় নেন এই ওপেনারও। দুই ওপেনার ফিরে গেলেও অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম এবং নাজমুল হোসেন শান্ত মিলে হাল ধরার চেষ্টা করেন।

দলীয় ২৭ রানে জয়নাল ইসলামের দ্বিতীয় শিকার হয়ে ফেরেন শান্ত। ১৫ রান আসে তার ব্যাট থেকে। খানিক পর শাহবাজ চৌহানের বলে বিদায় নেন আমিনুল ইসলাম বিপ্লব। ১৪ রান করে ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান বিদায় নেয়ার আরেকটু পর আফিফ হোসেনকেও সাজঘরে পাঠায় পারটেক্স। ৩ রান করে অধিনায়ক তাসামুল হকের বলে উইকেট ছুঁড়ে দেন তিনি।
১০০'র আগে ৫ উইকেট হারানো আবাহনীকে বিপদমুক্ত করেন মুশফিক এবং মোসাদ্দেক হোসেন। জুটি গড়ে দলকে ১০০ রানের পুঁজি এনে দেন তাঁরা। মুশফিক তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরি। মাইলফলকে পৌঁছে থেমে যাননি আবাহনীর এই অধিনায়ক।
পারটেক্সের বোলারদের দেখে শুনে খেলে ১১১তম বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে সেঞ্চুরি তুলে নেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। ৮ চার এবং ৩ ছক্কার সাহায্যে সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। তবে ব্যক্তিগত ১২৭ রানে থামেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। ১১টি চার এবং ৪টি ছক্কা হাঁকান তিনি।
মুশফিকের বিদায়ের আগে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন মোসাদ্দেক। ৬১ রানে তাসামুল হকের দ্বিতীয় শিকার হয়ে ফেরেন তিনি। শেষের দিকে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন এবং তাইজুল ইসলাম মিলে দলকে ২৫০'র ওপর নিয়ে যান। সাইফউদ্দিনের ১৫ বলে ৩৯ রানের ক্যামিওতে ৭ উইকেটে ২৮৯ রানের পুঁজি পায় আবাহনী।
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
আবাহনীঃ ২৮৯/৭ (৫০ ওভার) (মোসাদ্দেক ৬১, মুশফিক ১২৭) (জয়নাল ৩/২৮)