|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

কথা দিয়েও কথা রাখেনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। গত বছরের অক্টোবরে নিজেদের ন্যায্য দাবিতে আন্দোলনে গিয়েছিলেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। তাদের দাবি ছিল ১১ দফা।

এর মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য একটি দাবি ছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কেন্দ্রীয় চুক্তিতে অন্তত ৩০ জন ক্রিকেটারকে রাখতে হবে। বিসিবি ক্রিকেটারদের সেই দাবি মেনে নেয়ারও আশ্বাস দিয়েছিল। সেই আশ্বাসই পূরণে ব্যর্থ হয়েছে তারা।

রবিবার (৮ মার্চ) মাত্র ১৬ জন চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটারের নাম প্রকাশ করে। যদিও নির্বাচকরা প্রাথমিক ভাবে ২৪ জন ক্রিকেটারের নাম জমা দিয়েছিলেন। বিসিবির বোর্ড সভায় সেখান থেকেই ১৬ জন ক্রিকেটারের নাম চুড়ান্ত করা হয়।

অথচ কিছুদিন আগেই বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলেছিলেন এবারের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে বেশ কিছু নতুন মুখ আনতে চান তারা। যদিও এর কিছুই হয়নি।

কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে বাদ পড়েন মাশরাফি বিন মুর্তজা, সাকিব আল হাসান, ইমরুল কায়েস, রুবেল হোসেন, আবু হায়দার রনি, খালেদ আহমেদ এবং সাদমান ইসলাম। চুক্তিতে রাখা হয়নি সৌম্য সরকারকেও। যদিও বিষয়টিকে নিছক 'ভুল' হিশেবেই দায় স্বীকার করে বিসিবি। সৌম্যকে চুক্তিতে অন্তর্ভুক্ত করার কথা জানায় তারা।

এদিকে নতুন করে চুক্তিভুক্ত করা হয়েছে নাজমুল হোসেন শান্ত, মোহাম্মদ মিঠুন, এবাদত হোসেন, আফিফ হোসেন ধ্রুব এবং নাঈম শেখকে। এদের মাঝে শান্ত এবং মিঠুনকে রাখা হয়েছে তিন ফরম্যাটের ক্রিকেটেই।  

তবে শুধু টেস্ট ফরম্যাটের জন্য চুক্তিভুক্ত করা হয়েছে মুমিনুল হক, নাঈম হাসান, আবু জায়েদ রাহি এবং এবাদত হোসেনকে।

আর শুধুমাত্র ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের জন্য মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, মুস্তাফিজুর রহমান, আফিফ হোসেন ধ্রুব এবং নাঈম শেখকে চুক্তির আওতায় এনেছে বিসিবি।

খালেদ আহমেদ, সাদমান ইসলামদের মতো শফিউল ইসলাম , আল আমিন হোসেন, সাইফ হাসান, আমিনুল ইসলাম বিপ্লব ও মেহেদী হাসানরা সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন সিরিজে ডাক পাচ্ছেন, যদিও কেন্দ্রীয় চুক্তির বেলায় অবহেলিত হতে হয়েছে তাদের।