উইলিয়ামসকে ফিরিয়ে প্রথম ওয়ানডে উইকেট আফিফের

ছবি: ছবি- সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
বাংলাদেশঃ ৩২২/৩ (৪৩ ওভার) (তামিম ১২৮*, লিটন ১৭৬; মুম্বা ৩/৬৯)
জিম্বাবুয়েঃ ৭৫/৩ (১৪.২ ওভার) (চাকাভা ২২*, মাদেভেরে ০*; মাশরাফি ১/২১, সাইফউদ্দিন ১/২৬)

শন উইলিয়ামসের বিদায়ঃ ২৮ রানে দুই উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়া জিম্বাবুয়েকে এগিয়ে নিচ্ছিলেন অধিনায়ক শন উইলিয়ামস এবং ওপেনার রেগিস চাকাভা। কিন্তু ইনিংসের ১৪তম ওভারে বোলিংয়ে এসে উইলিয়ামস এবং চাকাভার ৪৬ রানের জুটি ভাঙেন তরুণ অলরাউন্ডার আফিফ হোসেন। ৭৪ রানের মাথায় উইলিয়ামসকে (৩০) বোল্ড করে সাজঘরে পাঠান তিনি। এরই সঙ্গে ওয়ানডেতে প্রথম উইকেট পেলেন আফিফ।
সাইফউদ্দিনের প্রথমঃ মাশরাফির পর জিম্বাবুয়ে শিবিরে আঘাত হানেন পেস বোলিং অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। দলীয় ২৮ রানের মাথায় ব্রেন্ডন টেলরকে মোহাম্মদ মিঠুনের হাতে ক্যাচ বানিয়ে আউট করেন তিনি। ফলে দ্রুত ২ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে সফরকারীরা।
শুরুতেই মাশরাফির আঘাতঃ ৩৪২ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুতেই ওপেনার কামুনহুকামউইয়ের উইকেটটি তুলে নেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। উইকেটরক্ষক লিটন দাসের হাতে ক্যাচ বানিয়ে দলীয় ৫ রানের মাথায় তাঁকে সাজঘরে ফেরত পাঠান বাংলাদেশ দলপতি।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান লিটন কুমার দাস। ৮ ছক্কা এবং ১৬ চারের সাহায্যে মাত্র ১৪৩ বলে ১৭৬ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। বাংলাদেশের ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসে যা সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রানের ইনিংস। লিটনের এই ব্যাটিং তাণ্ডবে ৩ উইকেটে ৩২২ রান সংগ্রহ করেছে বাংলাদেশ। ফলে বৃষ্টি আইনে জিম্বাবুয়ের সামনে লক্ষ্য নির্ধারিত হয় ৪৩ ওভারে ৩৪২ রান।
বৃষ্টি বিঘ্নিত এই ম্যাচে লিটন ছাড়াও অবশ্য দারুণ ব্যাটিং করেছেন আরেক ওপেনার তামিম ইকবাল। টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরি করে নিজের সামর্থ্যের প্রমাণ দেন তিনি। এর আগে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ১৫৮ রানের ইনিংস খেলেন তামিম। ২০১৫ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে টানা দুটি সেঞ্চুরি করেন তামিম। এবার আবারো একই কীর্তি গড়েন তিনি।