ওয়ার্নার, টেন্ডুলকারদের ছাড়িয়ে গেলেন তামিম-লিটন

ছবি: ছবিঃ সংগৃহীত

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||
২০১৭ সালের জুনের কথা। কার্ডিফে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নিউজিল্যান্ডের করা ২৬৫ রানের জবাবে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছিল লাল-সবুজের জার্সিধারিরা। ৩৩ রানেই সাজঘরে ফিরে যান ৪ বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান।
দলের ত্রাতা হিসেবে সে সময় আবির্ভূত হন সাকিব আল হাসান এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। দুই জনের অবিচ্ছেদ্য ২২৪ রানের জুটিতে ভর করে বাংলাদেশ পেয়েছিল পাঁচ উইকেটের দুর্দান্ত এক জয়। এতদিন ধরে এই জুটিই ছিল বাংলাদেশের হয়ে করা সর্বোচ্চ রানের জুটি।
তিন বছর ঘুরতে না ঘুরতেই সাকিব-রিয়াদের রেকর্ড ভেঙ্গে দিলেন তামিম ইকবাল এবং লিটন দাস মিলে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডেতে শুক্রবার (৬ মার্চ) টপকে গেলেন ২২৪ রানের করা সেই রেকর্ড জুটি।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ম্যাচের শুরু থেকেই আগ্রাসী ভূমিকায় ছিলেন লাল সবুজের এই দুই ওপেনার। রানের তুবড়ি ছুটতে থাকে দু'জনের ব্যাট থেকেই। উইকেটে অবিচল থেকে লিটন দাস তুলে নেন ক্যারিয়ারের তৃতীয় শতক। থেমে থাকেননি তামিমও। লিটনের পথ ধরে তুলে নেন দুর্দান্ত এক শতক।
সেঞ্চুরি করেই হাত খুলে মারা শুরু করেন এই দুই ওপেনার। টপকে যান ২০১৭ সালে করা সাকিব-রিয়াদের রেকর্ড রানের জুটি। সেই সাথে রানের তুবড়ি ছুটিয়ে লিটন নিজের নাম লেখান এক ইনিংসে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হিসেবে।
১৭৬ রানে লিটনের বিদায়ের মাধ্যমে ভাঙ্গে ২৯২ রানের এই জুটি। সেই সঙ্গে একে একে টপকে যান টেন্ডুলকার-গাঙ্গুলি, থারাঙ্গা-দিলশান, ডি কক-আমলার গড়া পাহাড়সম উদ্বোধনী জুটিতে করা রানকে। উঠে আসেন সর্বোচ্চ রান তালিকার তিন নম্বরে।
উদ্বোধনী জুটিতে সর্বকালের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড ধরে রেখেছেন উইন্ডিজ ব্যাটসম্যান জন ক্যাম্পবেল এবং শাই হোপ। ২০১৯ সালে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দুইজনে মিলে গড়েছিলেন ৩৬৫ রানের অতিমানবীয় জুটি।
দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন পাকিস্তানের ইমাম-উল হক এবং ফখর জামানের করা ৩০৪ রানের জুটিটি। ২০১৮ সালে বুলাওয়েতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তাঁরা উদ্বোধনী জুটিতেই এনে দিয়েছিলেন ৩০৪ রান।