সাইফউদ্দিনের বিশ্রাম সঠিক সিদ্ধান্ত!

ছবি: ছবিঃ বিসিবি

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||
বাংলাদেশের দেয়া ৩২৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে জয়ের পথেই ছিল জিম্বাবুয়ে। শেষ ১০ ওভারে তাঁদের দরকার ছিল ১১৫ রান। ৪১-৪৫ ওভার পর্যন্ত বোলিং করে রান আটকে রাখার সঙ্গে ২ উইকেট তুলে নেন মাশরাফি বিন মুর্তজা এবং তাইজুল ইসলাম।
জিততে হলে বাকি ৫ ওভারে জিম্বাবুয়ের দরকার ছিল ৭৭ রান। ডেথ ওভারের সেরা বোলার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন না থাকায় ৪৬-৫০ তম ওভারে বোলিংয়ের জন্য দায়িত্ব দেয়া হয় শফিউল ইসলাম এবং আল আমিন হোসেনকে। তারা এ সময় হাত খুলে রান দেন।

শেষ পর্যন্ত জিম্বাবুয়ে ৪ রানে হারলেও ডেথ ওভারে বাংলাদেশের বোলিং চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমন সময় সাইফউদ্দিনকে মিস করেছেন মাশরাফি। যদিও এই পেস বোলিং অলরাউন্ডারকে একাদশে না রাখা সঠিক ছিল বলেই দাবি ওয়ানডে অধিনায়কের।
এ প্রসঙ্গে মাশরাফি বলেছেন, 'আজকে ও খেলেনি অবশ্যই সে ব্যাক স্ট্রেচ ফ্র্যাকচার থেকে আসছে ওকে প্রেশার দেওয়া রিস্কি। স্ট্রেচ ফ্র্যাকচার এমনিতেই এমন একটা জিনিস যেমন কোন কারণে যদি আবার হয় সেটা কিন্তু এক, দেড়, দুই বছরের জন্য সেটা থেকে যায়। সাইফউদ্দিনকে খুব সাবধানে সামলাতে হবে, আমি মনে করি খুব ভালো সিদ্ধান্ত, ম্যাচটা আমরা যদি হারতাম তাও বলতাম।'
সাকিব আল হাসানের মতো একজন অলরাউন্ডার পেতেও বাংলাদেশের অনেক সময় লেগেছে। তেমনি সাইফউদ্দিনও দেশের ক্রিকেটের সম্পদ বলে মনে করেন মাশরাফি। তাঁর বিশ্বাস বাংলাদেশকে ১০-১১ বছর সার্ভিস দেবেন এই পেস বোলিং অলরাউন্ডার।
মাশরাফির ভাষ্য, 'একজন সাকিব পেতেও আমাদের অনেক সময় লাগছে এবং আমরা পেস বোলিং অলরাউন্ডার, আমার ক্যারিয়ারের শুরু থেকে আমি যতটুকু দেখেছি খুঁজছে, খুঁজছে, খুঁজছে। সাইফউদ্দিন আমার কাছে মনে হয় এই দলের একটা বড় সম্পদ ও সামর্থ্যবান যাকে আমি চিন্তা করি যে ১০-১১ বছর বাংলাদেশের ক্রিকেটে সেবা দিবে।'