তামিমের পাশে, তামিমকে ছাড়িয়ে মুমিনুল
ছবি: ছবিঃ ক্রিকফ্রেঞ্জি

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||
ডাগ আউটে আয়েশ করে বসে খেলা দেখছিলেন রাসেল ডমিঙ্গো। ইনিংসের ৮৪তম ওভারে জিম্বাবুয়ের পেসার ডোনাল্ড তিরিপানোকে কভার অঞ্চল দিয়ে খেললেন মুমিনুল হক। বল সীমানায় পৌঁছাতেই হেলমেট খুলে ব্যাট উঁচিয়ে উপরে তাকালেন টেস্ট অধিনায়ক। ডমিঙ্গো দুই হাত ওপরে তুলে হাত তালি দিচ্ছেন।
১৪ ইনিংস পর তিন অংকের ঘরে পৌঁছানো মুমিনুল ওপরের দিকে তাকাতে যেন স্বস্তি নেমে এলো ড্রেসিং রুমে থাকা সবার মাঝে। সেই সঙ্গে লঙ্গার ভার্সনে বাংলাদেশ টেস্ট দলপতি নাম লেখালেন তামিম ইকবালের পাশে। ৯টি সেঞ্চুরি মালিক দুজনই।

এই দুজন বাদে টেস্টে বাংলাদেশের পক্ষে তিন অংকের ঘরে এতোবার কেউ পৌঁছাতে পারেননি। যদিও তামিমের চেয়ে ৪১ ইনিংস কম খেলেছেন মুমিনুল।। ৬ সেঞ্চুরির মালিক মুশফিকুর রহিম আছেন এরপর।
২০১৮ সালের নভেম্বর শেষবার তিন অংকের ঘরে পৌঁছিয়েছিলেন মুমিনুল হক। মাঝে ছিল মাত্র একটি হাফ সেঞ্চুরি। সর্বোচ্চ ৫২ রানের ইনিংস। ১৫ মাস পর টেস্টে সেঞ্চুরি হাঁকানো মুমিনুল ওয়াদা পূরণ করেছেন।
টেস্ট শুরুর আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে টেস্ট অধিনায়ক বলেছিলেন, খুব শিগগিরই যে কেউ ১০০, ২০০ কিংবা ৩০০ রানের ইনিংস খেলবেন। গত বছরের শুরুতে নিউজিল্যান্ড সফরে প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি করেছিলেন তামিম ইকবাল। দ্বিতীয় ইনিংসে সেঞ্চুরি করেন মাহমুদউল্লাহ ও সৌম্য সরকার।
এরপর খেলা পাঁচ টেস্টের ১০ ইনিংসে তিন অঙ্ক ছুঁতে পারেননি বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যান। এই সময়ে ফিফটি এসেছে মাত্র ৬টি। সম্ভাবনা জাগিয়েও কেউ বড় করতে পারেননি ইনিংস। সর্বোচ্চ ইনিংস ৭৪, যৌথভাবে তামিম ও মুশফিকুর রহিমের।
মুমিনুল বলেছিলেন, `কথাই দিলাম, দলের মধ্যে বড় একটা ১০০ (আসছে)। ১০০ নয়, ২০০-৩০০, ৩০০-ই ধরি, চাইলে বড়ই চাইব। এরকম বড় ইনিংস খেলতে পারবে, যে কেউ খেলবে।'