জীবন এখানে এমনই ডমিঙ্গো!

ছবি: ছবি- ক্রিকফ্রেঞ্জি

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||
৬ মাস ধরে বাংলাদেশ দলের সঙ্গে আছেন রাসেল ডমিঙ্গো। তবে এই প্রথম নতুন এক অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হলো বাংলাদেশের প্রধান কোচকে। বাংলাদেশের ক্রিকেটের ভিন্ন রকম এক সংস্কৃতি দেখলেন তিনি।
জাতীয় দলের দায়িত্ব কাঁধে নেয়ার পর এখনও তেমন সাফল্য পাননি ডমিঙ্গো। বিশ্বকাপের পর হারিয়ে যাওয়া বাংলাদেশকে ফিরিয়ে আনতে সবাইকে নিয়ে চেষ্টা চালাচ্ছেন তিনি। কিন্তু তার এই চেষ্টা মঙ্গলবার পুরোদমে সফল হয়নি।
জিম্বাবুয়ে সিরিজকে সামনে রেখে মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) থেকে অনুশীলন শুরু করেছে বাংলাদেশ। এদিন ছিল ঐচ্ছিক অনুশীলন। দলকে নিয়ে রুদ্ধধার অনুশীলন করতে চেয়েছিলেন এই দক্ষিণ আফ্রিকান। কিন্তু ডমিঙ্গোর চাওয়া পূরণ হতে দেয়নি বাংলাদেশের ক্রিকেট সংস্কৃতি।

দুপুর দেড়টা বাজে মিরপুরের হোম অফ ক্রিকেটে অনুশীলন শুরু করে বাংলাদেশ দল। হালকা গা গরম শেষে দলকে নিয়ে ইনডোরে চলে যান প্রধান কোচ। যদিও প্রথম দিন অনুশীলনে ছিলেন মাত্র ৮জন ক্রিকেটার। বিসিএলের তৃতীয় রাউন্ড শেষে এদিন বিশ্রামে ছিলেন মুশফিক-সাইফরা।
বেলা ২টা নাগাদ ডমিঙ্গো তার দল নিয়ে ইনডোরে গেলে, মিডিয়ার একজন সেখানে যাওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু সে সময় নিরাপত্তা কর্মীরা তাঁকে আটকানোর চেষ্টা করলে শুরু হয় তর্কবিতর্ক। ৩-৪মিনিট ইনডোরে যাওয়া নিয়ে দুজনের বিতর্কে চললে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) উপর মহলের এক কর্মকর্তা এসে পরিস্থিতি সামাল দেন।
মূলত প্রধান কোচের চাওয়া ছিল বাংলাদেশ দল তাদের মতো এদিন অনুশীলন করবে। কোনো সাংবাদিক বা টিভি মিডিয়া সেটা কভার করতে পারবেন না। কিন্তু শেষ পর্যন্ত চাওয়া পূরণ হয়নি ডমিঙ্গোর।
কয়েকটি টিভি মিডিয়া শেষ পর্যন্ত জাতীয় দলের অনুশীলনের ফুটেজ নিয়েই বাড়ি ফিরে গেছেন। ফটো সাংবাদিকরাও ছবি তুলেছেন। ৩টার দিকে মিরপুরের মূল মাঠে ফিরে খানিকটা বিরক্তির সঙ্গেই লিটন দাসকে নিয়ে দুই স্লিপ সহ অনুশীলন করেছেন ডমিঙ্গো।
ছায়া ব্যাটিংয়ের সময় ডমিঙ্গোকে বল ছুঁড়ছিলেন মারিও ভিল্লাভারায়ন। যিনি এই সিরিজের পর আইপিএলে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের সঙ্গে যোগ দেবেন। অনুশীলন শেষে খানিকটা বিরক্তি নিয়েই গাড়িতে করে হোটেলে ফিরে যান বাংলাদেশের প্রধান কোচ।