'ইন্টারফিয়ারার'-এর হৃদয়ে এখনো 'ডিক্টেটর'!

ছবি: ছবি- সংগৃহীত

|| স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ||
একজন যদি 'ইন্টারফিয়ারার' বা হস্তক্ষেপকারী হয়ে থাকেন, তাহলে আরেকজন ছিলেন এক কথায় 'ডিক্টেটর' বা একনায়ক। প্রথমজন দল গঠন, একাদশ ঠিক করা থেকে শুরু করে বাংলাদেশ দল টস জিতে কী সিদ্ধান্ত নেবে, সে বিষয়েও আগাম বিশেষজ্ঞ মতামত দিয়ে থাকেন।
আরেকজন শাসন-বারণ আর নিজের মত প্রতিষ্ঠায় ভীষণ একরোখা ছিলেন বলে মন বিষিয়ে উঠেছিল বাংলাদেশের তারকা ক্রিকেটারদেরও। এমনকি একনায়কসুলভ মানসিকতার জন্য খেলোয়াড়রা আড়ালে-আবডালে তাকে 'সাদ্দাম হোসেন' বলেও ডাকতেন।

হস্তক্ষেপ কিংবা একনায়কের মতো দল চালানো, এর কোনোটিই কোনো ক্রিকেট দলের সাফল্যে সহায়ক হওয়ার কথা নয়। অথচ কী আশ্চর্য, 'ইন্টারফিয়ারার' ও 'ডিক্টেটর'-এর যৌথ প্রযোজনাতেই বাংলাদেশ ক্রিকেটে এসেছিল সাফল্যের সোনাঝরা সময়।
বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান আর বাংলাদেশ দলের সাবেক হেড কোচ চন্দিকা হাথুরুসিংহের মধ্যে ছিল এমনই এক অদ্ভুত রসায়ন। যদিও তাদের বিচ্ছেদ হয়ে গেছে বেশ আগেই। তা হলেও হস্তক্ষেপকারীর হৃদয়ে এখনো ঠাঁই নিয়ে আছেন সেই একনায়কই। যিনি নিজের দেশ শ্রীলঙ্কার জাতীয় দলের দায়িত্ব নিতে বাংলাদেশ ছেড়ে গেলেও টিকতে পারেননি সেখানেও।
যুব বিশ্বকাপ জিতে দেশে ফেরা দলের অধিনায়ক আকবর আলীকে নিয়ে বুধবার রাতের সংবাদ সম্মেলনেই নাজমুল জানিয়ে দিলেন, তার হৃদয়ে এখনো বহাল তবিয়তেই টিকে আছেন বাংলাদেশের পর শ্রীলঙ্কারও সাবেক কোচ বনে যাওয়া হাথুরুসিংহে। আকবর আলীরা দেশকে প্রথম বিশ্বকাপ এনে দিয়েছেন।
এবার কি তবে ২০২৩-এ বড়দের বিশ্বকাপ জেতার লক্ষ্যও স্থির করবে বিসিবি? এই প্রশ্নও করা হল নাজমুলকে। তাতেই যেন হাথুরুসিংহের প্রতি পুরনো প্রেম জেগে উঠল নাজমুলের। বললেন, 'লক্ষ্য তো অনেক কিছুই থাকে। কিন্তু বিশ্বকাপের (২০১৯-এর বড়দের বিশ্বকাপ) পর থেকেই দলের ছন্দপতন।
সত্যি বললে, ছন্দপতনের শুরু হাথুরুসিংহে যাওয়ার পর থেকেই।' এরপর স্টিভ রোডস এসেছেন আবার ২০১৯ বিশ্বকাপের পর চাকরিও হারিয়েছেন। এখন রাসেল ডমিঙ্গো আছেন তবু হাথুরুসিংহেকে ভুলতেই পারছেন না নাজমুল। যেন পারলে এখনই ডিক্টেটরকে ধরে-বেঁধে ফিরিয়ে আনেন ইন্টারফিয়ারার বা হস্তক্ষেপকারী!