স্মাইলিং ইজ দ্য বেস্ট রিভেঞ্জঃ আকবর

ছবি: ছবিঃ সংগৃহীত

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||
স্মাইলিং ইস দ্য বেস্ট রিভেঞ্জ...(মুচকি হাসি)। বৃহস্পতিবার মিরপুরের একাডমি ছেঁড়ে বাড়ি যাওয়ার আগে আকবর আলী জানিয়ে গেলেন চাপের মাঝেও নিজেকে ঠাণ্ডা রাখার মন্ত্র। ফাইনালে প্রতিপক্ষের বোলার-ফিল্ডারদের স্লেজিংয়ের সামনে মুখে হাসি রেখেই ব্যাটিং করে গেছেন তরুণ এই অধিনায়ক। এ কারণেই ভারতীয় ক্রিকেটারদের ফাঁদে পা নিয়ে দলকে বিশ্বকাপ শিরোপা এনে দিতে সক্ষম হয়েছেন আকবর।
যুব বিশ্বকাপের ফাইনালের আগে বিশ্বমঞ্চে ভারতের বিপক্ষে জয়ের স্বাদ পায়নি বাংলাদেশ। তবে বড় মঞ্চে ভারতের মতো দলকে কিভাবে হারাতে হয় সেটা করে দেখিয়েছেন আকবর-হৃদয়রা। জানিয়েছেন, প্রতিপক্ষে চাপে রাখলে জয়ের সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
১৭৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নামা বাংলাদেশ কোনো উইকেট না হারিয়ে ৫০ রান স্কোরবোর্ডে তুলে। কিন্তু এরপরই খানিকটা খেই হারিয়ে ফেলে দল। ৬৫ রানের মধ্যে ৪ ব্যাটসম্যানের বিদায়ে পরাজয়ের শঙ্কা দেখা দেয় যুবদের শিবিরে। কিন্তু সেখান থেকে ঠাণ্ডা মাথায় খেলে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান আকবর।

৪৩ রানের অপরাজিত ইনিংসটি খেলার সময় ভারতীয় যুব ক্রিকেটারদের স্লেজিংয়ের শিকার হন উইকেটরক্ষক এই ব্যাটসম্যান। কিন্তু ওসবে মন না দিয়ে হাসি মুখে ব্যাটিং চালিয়ে চান আকবর। বাংলাদেশের অধিনায়কের চিন্তা ছিল, মুখে হাসি থাকলে প্রতিপক্ষের ওপর উল্টো প্রভাব পড়বে।
একাডেমি ছেঁড়ে বাড়ি যাওয়ার আগে আকবর বলেন, `ভারতের সঙ্গে আপনি যখনি খেলবেন খালি ৫০ ওভার খেলে বের হয়ে গেলে হবে না। এটা কঠিন। আপনি ওদের চাপে রাখলে জেতার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। আমি একটা জায়গায় পড়েছিলাম যে স্মাইলিং ইজ দ্য বেস্ট রিভেঞ্জ।'
'ওরা যতটা স্লেজ করছিলো, চিন্তা করছিলাম যতটা হাসা যায়, হয়তো তাঁদের ওপর অন্যরকম প্রভাব পড়তে পারে। ওইটাই চেষ্টা ছিল। রাগ সবারই থাকে। মাঠের মধ্যে চেষ্টা থাকে যতটা কম প্রকাশ করা যায়। আমার টিমমেট যারা আছে তারা হয়তো ভালোভাবে বলতে পারবে। আমি চেষ্টা করি সবার সামনে এটা প্রকাশ না করার।' আরও যোগ করেন এই অধিনায়ক।
যুব বিশ্বকাপের শিরোপা জিতে বুধবার বিকেলে দেশে ফিরেছে বাংলাদেশ দল। অনূর্ধ্ব ১৯ দল এমন সাফল্য পাওয়ায় এবার আকবরদের নিয়েই অনূর্ধ্ব-২১ ইউনিট গঠন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
এই ইউনিটকে বিশেষ ট্রেইনিংয়ের মধ্যে রাখা হবে। সেই সঙ্গে প্রতি মাসে এক লক্ষ টাকা বেতন পাবেন বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্যরা। এমনকি দুই বছর পর এই চুক্তি নবায়ন করার পরিকল্পনাও আছে বোর্ডের।
বুধবার বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলেন, `আগামি দুই বছর ওদের আমরা বিশেষ ট্রেইনিংয়ের ব্যবস্থা করে দেব। দুই বছর ওরা এক লক্ষ্য টাকা করে বেতন পাবে, যেটা আগে কখনো হয়নি। এবার দিব। দুই বছর পর চুক্তি নবায়ন করা হবে। যদি দেখি কেউ ভালো করছে না বা বিচ্যুতি ঘটেছে, তাহলে তাকে বাদ দিয়ে দেব। বোর্ড থেকে আমরা এটাই ঠিক করেছি।'