তৌহিদ-রাকিুবলদের আন্তর্জাতিক সম্ভাবনার দরজায় তালা

ছবি: ছবি- সংগৃহীত

|| স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ||
গোটা ভারতবর্ষই যেন একইরকম চিন্তায় অভ্যস্ত। সাফল্য এখানকার মানুষকে এমন মোহের জগতে নিয়ে যায় যে বাছ-বিচার এবং আগ-পাশের ভাবনাও দিব্যি ভুলিয়ে দেয়। বাংলাদেশেও চিত্রটা অভিন্ন নয়। এই ধরুন অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী দলের ক্রিকেটারদের নিয়েই যা হচ্ছে। বুঝলাম যে আমজনতার ভাবনায় না হয় আবেগের বাঁধ দেওয়া যায় না।
তাই বলে বিশেষজ্ঞরাও নিজের বিশেষজ্ঞতা ভুলে একদম সাধারণের কাতারে নেমে যাবেন? শুনলাম নির্বাচক প্রধান মিনহাজুল আবেদীনও নাকি এর মধ্যেই বলে ফেলেছেন যে এই বিশ্বজয়ী দলের ৮-৯ জন ক্রিকেটারকে জাতীয় দলে দেখার আশায় তিনি বুক বেঁধে আছেন!

নির্বাচক কিংবা নীতি-নির্ধারকরা এহেন কাণ্ড খুব দ্রুত ঘটিয়ে দিলেও কার্যকারণে একটি বিপত্তি কিন্তু বেঁধেই আছে। অন্তত তিনজন ক্রিকেটারের অদূর ভবিষ্যতে সিনিয়র পর্যায়ে উন্নীত হওয়ার সম্ভাবনার দরজায় যেন তালাই লাগিয়ে দিয়েছে আইসিসি।
পচেফফস্ট্র–মে ৯ ফেব্র“য়ারির ফাইনালের পর ভারতের ক্রিকেটারদের সঙ্গে মারামারিতে জড়িয়ে পড়ার ঘটনায় ম্যাচ রেফারি বাংলাদেশের ব্যাটসম্যান তৌহিদ হƒদয়, অলরাউন্ডার শামীম হোসেন এবং স্পিনার রাকিবুল হাসানকে দিয়েছেন নিষেধাজ্ঞা।
বিভিন্ন মাপের সাসপেনশন পয়েন্ট দেওয়া হয়েছে ওদের। ১০ সাসপেনশন পয়েন্ট হদয়ের, শামীম আর রাকিবুলের ৮ আর ৪ করে। একেকটি সাসপেনশন পয়েন্ট মানেই বড়দের ক্রিকেটে একটি করে ওয়ানডে কিংবা টি-টোয়েন্টি খেলতে না পারা।
ধরুন, হদয়কেই জাতীয় দলে নেওয়া হল দ্রুততম সময়ের মধ্যে। নেওয়ার পর ওকে আগে বসিয়ে রেখে নিষেধাজ্ঞা ভোগ করাতে হবে। এর পরেই আসবে খেলানোর প্রশ্ন। তাও আবার ১০ ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা। শামীম ও রাকিবুলের ক্ষেত্রে যা ৮ ও ৪ ম্যাচের। আগে শাস্তি ভোগ, পরে খেলা। নির্বাচক প্রধানের চিন্তায় এই তিনজন থেকে থাকলে আপাতত কাজটি বেশ মুশকিলেরই হয়ে গেল।