আর্চারের বদলী সাকিব

ছবি: ছবি- সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে আসন্ন টি-টোয়েন্টি সিরিজ থেকে ছিটকে পড়েছেন জফরা আর্চার। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের প্রথম টেস্ট খেললেও কনুইয়ের ইনজুরিতে বাকি দুই ম্যাচে খেলা হয়নি আর্চারের।
অনুশীলনে পাওয়া সেই চোটই এবার তাঁকে ছিটকে দিল টি-টোয়েন্টি সিরিজ থেকেও। এরই মধ্যে আর্চারের ছিটকে পড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)। আর্চারের পরিবর্তে ইংল্যান্ডের স্কোয়াডে ডাক পেয়েছেন ডানহাতি পেসার সাকিব মাহমুদ।

দক্ষিণ আফ্রিকায় চার ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ৩-১ ব্যবধানে জিতেছে ইংল্যান্ড। শেষ তিন টেস্টে খেলতে না পারলেও দলের সঙ্গে ছিলেন আর্চার। লক্ষ্য ছিল, কনুইয়ের চোট কাটিয়ে সামনের মাসের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে আবার দক্ষিণ আফ্রিকার উড়ে যাওয়ার। কিন্তু ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) নিশ্চিত করেছে, টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে পারবেন না আর্চার, এখন তিনি সেরে ওঠার কাজ করবেন। তার বদলি হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে ডানহাতি পেসার সাকিব মাহমুদের নাম।
কুড়ি ওভারের আগেই তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলবে দক্ষিণ আফ্রিকা-ইংল্যান্ড। এই সিরিজে অবশ্য বিশ্রাম দেওয়া হয়েছিল বার্বাডোসে জন্ম নেওয়া আর্চারকে। ৪, ৭ ও ৯ ফেব্রুয়ারি হবে ওয়ানডে ম্যাচগুলো, আর টি-টোয়েন্টি সিরিজের ম্যাচ যথাক্রমে— ১২, ১৪ ও ১৬ ফেব্রুয়ারি।
কনুইয়ের চোটের কারণে মার্চে শ্রীলঙ্কা সফরও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে আর্চারের। এরই মধ্যে দেশে ফিরে আসা এই তারকা পেসার ব্রিটিশ দৈনিক ডেইলি মেইলে লেখা কলামে টেস্টে ফেরার ইচ্ছা পোষণ করেছেন।
ডেইলি মেইলের কলামে আর্চার লেখেন, ‘আমি কি টেস্ট ক্রিকেট খেলতে চাই? হ্যাঁ, অবশ্যই। আমি বেশ কয়েকটি মাইলফলক স্পর্শ করেছি, যেগুলো অর্জনের ইচ্ছা আমার ছিল। আমি খুব করে টেস্ট ক্রিকেট খেলতে চাই।’
আর্চারের বদলী হিসেবে সুযোগ পাওয়া সাকিব মাহমুদ এখন পর্যন্ত ইংল্যান্ডের হয়ে তিনটি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন। যেখানে ১১.৫০ ইকোনমি এবং ৩৮.৩৩ গড়ে ৩টি উইকেটট শিকার করেন তিনি। প্রথম শ্রেণী ক্রিকেটে ১৬ ম্যাচে তাঁর উইকেট সংখ্যা ৪২টি।