বিধ্বংসী শান্তে শীর্ষস্থানে খুলনা
ছবি: ছবিঃ ক্রিকফ্রেঞ্জি

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) নাজমুল হোসেন শান্তর বিধ্বংসী সেঞ্চুরিতে ঢাকা প্লাটুনকে আট উইকেটে হারিয়েছে খুলনা টাইগার্স। খুলনার বিপক্ষে চার উইকেটে ২০৫ রান করে ঢাকা প্লাটুন। মুমিনুল হকের ৯১ ও মেহেদী হাসানের ৬৮* রানের সুবাদে এমন সংগ্রহ করে ঢাকা। জবাবে শান্তর সেঞ্চুরি ও টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানদের নৈপুণ্যে দারুণ এক জয় পায় খুলনা। এই জয়ে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে থেকে গ্রুপ পর্ব শেষ করল খুলনা।
এটাই বিপিএল ইতিহাসের সেরা রান তাড়া করার ঘটনা। এরআগে ২০১৩ সালে মিরপুরে রংপুর রাইডার্সের করা ১৯৭ রান অতিক্রম করে সিলেট রয়্যালস। এতোদিন ওটাই ছিল সেরা রান তাড়া করার ঘটনা।
বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই আগ্রাসী খেলতে থাকেন খুলনার ওপেনার মেহেদী হাসান মিরাজ। আরেক ওপেনার শান্তকে সঙ্গে নিয়ে পাওয়ার প্লে'তে ৬০ রান তোলেন তিনি।
পাওয়ার প্লে'র পরের ওভারে মেহেদী হাসানের বলে বোল্ড হন মিরাজ। ফেরার আগে করেন ২৫ বলে সাতটি চার ও একটি ছক্কায় ৪৫ রান। উদ্বোধনী জুটিতে খুলনা তুলেছে ৭০ রান।
২৭ বলে হাফ সেঞ্চুরির দেখা পান নাজমুল হোসেন শান্ত। হাফ সেঞ্চুরি করে রাইলি রুশোকে সঙ্গে নিয়ে দ্রুতগতিতে দলের রান বাড়াতে থাকেন তিনি।

যদিও বেশীক্ষণ টিকতে পারেননি রুশো। ১৭ বলে ২৩ রান করে সাদাব খানকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে বিদায় নেন তিনি। দেখেশুনে খেলতে থাকা শান্ত মাত্র ৫১ বলে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে তাঁর প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নেন। এবারের বিপিএলে এবারই প্রথম কোনো বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান সেঞ্চুরির দেখা পেল। একইসাথে চলতি আসরের তৃতীয় সেঞ্চুরি এটি।
বিপিএলের ইতিহাসে পঞ্চম বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান হিসেবে সেঞ্চুরি পেয়েছেন শান্ত। এর আগে সেঞ্চুরি করেন শাহরিয়ার নাফিস, মোহাম্মদ আশরাফুল, সাব্বির রহমান ও তামিম ইকবাল।
বিপিএল ইতিহাসে ১৬তম ব্যাটসম্যান হিসেবে সেঞ্চুরি পেয়েছেন শান্ত। তাঁর এই সেঞ্চুরি বিপিএল ইতিহাসের ২১তম সেঞ্চুরি। শেষ পর্যন্ত ১১৫ রানে অপরাজিত ছিলেন শান্ত। ইনিংসে ছিল আটটি চার ও সাতটি ছয়ের মার।
এর আগে শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ইনিংসের সূচনা ভালো করতে পারেননি ঢাকার ওপেনার তামিম ইকবাল (১)। ফ্রাইলিঙ্কের প্রথম ওভারে রাইলি রুশোকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি।
নিজের দ্বিতীয় ওভারে এনামুল হক বিজয়কে (১০) ফেরান ফ্রাইলিঙ্ক। উইকেটের পেছনে মুশফিকুর রহিমকে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন এনামুল। জাকের আলীও (১৪) সুবিধা করতে পারেননি। শফিউল ইসলামের বলে কট এন্ড বল হয়ে বিদায় নেন তিনি।
ওপেনার হিসেবে নামা মুমিনুল ও পাচ নম্বরে নামা মেহেদী- দলের বিপর্যয় দারুণভাবে সামলে নেয়। দুজনই হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন। হাফ সেঞ্চুরি পাওয়ার পর আরো আগ্রাসী খেলতে থাকেন মুমিনুল।
সেঞ্চুরির দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গিয়েও কাঙ্ক্ষিত সেঞ্চুরি পাননি তিনি। সাতটি চার ও চারটি ছয়ে ৫৯ বলে ৯১ রান করে মোহাম্মদ আমিরের বলে বিদায় নেন তিনি।
মেহেদীর সঙ্গে তাঁর জুটিতে ওঠে ১৫৩ রান! মেহেদীর ৬৮* রানের ইনিংসটি এসেছে ৩৬ বলে, তিনটি চার ও পাঁচটি ছয়ের মারে।
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
ঢাকা প্লাটুনঃ ২০৫/৪ (২০ ওভার)
(মুমিনুল ৯১, মেহেদী ৬৮*; ফ্রাইলিঙ্ক ২/৩৫)
খুলনা টাইগার্সঃ ২০৭/২ (১৮.১ ওভার)
(শান্ত ১১৫*, মিরাজ ৪৫; সাদাব ১/৩২)