চট্টগ্রামের নেটে ‘বাংলাদেশের অশ্বিন’

ছবি: ছবি- ক্রিকফ্রেঞ্জি

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||
কেবল রান আপ আর উচ্চতা এক নয়, বোলিং অ্যাকশনেও হুবুহু রবিচন্দ্রন অশ্বিন। প্রথম দেখায় যে কেউ প্রশ্ন করে বসবেন, মিরপুরের একাডেমিতে অশ্বিন কী করছেন! ধন্ধে পড়ে যাওয়ার মতোই অদ্ভুত মিল। ভারতীয় স্পিনারের সঙ্গে অনেক কিছুতে মিল, রবিবার এমন এক বোলারের দেখা মিললো মিরপুরে।
রবিচন্দ্রন অশ্বিনের মতো বোলিং অ্যাকশনের এই স্পিনারের নাম রাসেল আহমেদ। ২৪ বছর বয়সী এই স্পিনার চট্টগ্রামের উদয়চল ক্রিকেট একাডেমির ছাত্র। গত তিনদিন ধরে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের নেটে বোলিং করে যাচ্ছেন তিনি।
২০১১-১২ সাল থেকে অশ্বিনের মতো অ্যাকশনে বোলিং করছেন রাসেল। অশ্বিনকে দেখেই ক্রিকেটে এসেছেন তিনি। ডানহাতি এই স্পিনার খেলেছেন প্রথম বিভাগ ক্রিকেট। প্রিমিয়ার লিগে আবাহনী লিমিটেড এবং প্রাইম দোলেশ্বরের সঙ্গেও থাকার সুযোগ হয়েছে তাঁর।

চট্টগ্রামের পরিচালক জালাল ইউনুসের কথায় নেটে বোলিং করতে এসেছেন রাসেল। প্রথম দুই দিন বোলিং করে গেলেও তৃতীয় দিন এসে নজর কেড়েছেন চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের কোচ পল নিক্সনের। ক্রিকফ্রেঞ্জিকে জানিয়েছেন, নিক্সন প্রশংসা করার পাশাপাশি তাঁকে টিপসও দিয়েছেন।
রাসেল বলেন, ‘অশ্বিনকে আমি অনেক দিন ধরে ফলো করি। তাঁকে দেখেই ক্রিকেট খেলা শুরু করি। ২০১১-১২ সাল থেকে তাঁর মতো অ্যাকশন রেখে বোলিং করার চেষ্টা করছি। শুরুতে কঠিন মনে হচ্ছিলো, কিন্তু এভাবে করতে করতে হয়ে গেছে। জালাল স্যার আমাকে আসতে বলেছিলেন। তিনদিন ধরে চট্টগ্রামের নেটে বোলিং করছি। আজ কোচ অনেক ভালো বলেছেন। সে কিছু টিপস দিয়েছেন।’
‘সোজাসোজি বোলিং করতে বলেছেন। এ ছাড়া সব কিছুই ঠিক লেগেছে তাঁর কাছে। টি-টোয়েন্টির বৈচিত্র্য অনুযায়ী বোলিং করতে বলেছেন। আমি এর আগে আবাহনী এবং প্রাইম দোলেশ্বরে ছিলাম। উদয়চল ক্রিকেট একাডেমি থেকে প্রথম বিভাগ ক্রিকেট খেলেছি।’ রাসেল আরও যোগ করেন।
চট্টগ্রামের কোচ পল নিক্সন মুগ্ধ হয়েছেন রাসেলকে দেখে। ডানহাতি এই অফ স্পিনারকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন ইংলিশ এই কোচ। তবে রাসেলকে আরও অনেক উন্নতি করতে হবে, এখনই তাঁকে দলে নেয়ার বিষয়ে কিছু ভাবছে না চ??্টগ্রাম শিবির।
ক্রিকফ্রেঞ্জিকে নিক্সন বলেন, ‘সে স্বাভাবিক লেংথে বোলিং করে। লম্বা হওয়ায় বাউন্সও পায়। আরেকটু সোজাসোজি বোলিং করলে ওর জন্য ভালো। কিছু টেকনিক্যাল বিষয় নিয়ে কাজ করতে হবে। তার অ্যাকুরেসি অনেক ভালো লেগেছে আমার। ওর আরও উন্নতি করতে হবে। ওর ফিল্ডিং এখনও দেখিনি আমরা। যেটা এই ফরম্যাটে আপনাকে ম্যাচ জেতায়। তবে তাকে দেখে মুগ্ধ হয়েছি।’