মালিক-রাসেলদের ছাত্র আফিফ

ছবি: ছবিঃ সংগৃহীত

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||
বয়স মাত্র ২০ বছর। ইতোমধ্যে আফিফ হোসেন ড্রেসিং রুম শেয়ার করেছেন ডেভিড ওয়ার্নার, শোয়েব মালিক, আন্দ্রে রাসেলদের মতো ক্রিকেটারদের সঙ্গে। বছরের শুরুতে বিপিএলে সিলেট সিক্সার্সে ওয়ার্নারকে পেয়েছিলেন অল্প সময়ের জন্য। কাজ করেছিলেন নিজের ব্যাসিক এবং উইকেটের মাঝে রানিং নিয়ে।
এবার বছরের শেষে এসে রাজশাহী রয়্যালসে পেয়েছেন টি-টোয়েন্টি স্পেশালিষ্টদের পেয়েছেন আফিফ। যে কারণে নতুন কিছু শেখার সুযোগ হাতছাড়া করছেন না এই অলরাউন্ডার। মালিক, রাসেলদের থেকেও দীক্ষা নিচ্ছেন আফিফ।
স্পিনের বিপক্ষে অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান পাকিস্তানের শোয়েব মালিক। তার থেকে স্পিনের বিপক্ষে ব্যাটিংটা ঝালাই করে নিচ্ছেন আফিফ। আর পাওয়ার হিটিংয়ের জন্য দলের অধিনায়ক আন্দ্রে রাসেল কিছু টেকনিক দেখিয়ে দিয়েছেন তাকে।

আফিফ বলেন, `এই বিপিএলে অভিজ্ঞ অনেক ক্রিকেটার আছে আমাদের দলে। মালিক ভাই, রবি বোপারা স্পিন অনেক ভালো খেলে। ওদের থেকে চেষ্টা করছি স্পিন কীভাবে ভালো খেলা যায় এটা শেখার জন্য। আর রাসেলের কিছু টেকনিক দেখছি। ও কীভাবে অনুশীলন করে, পাওয়ার হিটিং এর জন্য- এসব।'
কুমিল্লার বিপক্ষে এর আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি হাঁকানোর সুযোগ ছিল আফিফের। ৫ ওভার বাকি থাকতে ৭২ রানে প্যাভিলিয়নে ফিরেছিলেন এই তরুণ। আবারও এই কুমিল্লার বিপক্ষেই বড় ইনিংস খেলার সুযোগ হাতছাড়া করেছেন এই অলরাউন্ডার।
৪৩ রানে উইকেট ছুঁড়ে দেন আফিফ। সংবাদ সম্মেলনে জানালেন, ইনিংস লম্বা করার সুযোগ অবশ্যই ছিল। আফিফ আরও বলেন, `ইনিংসটা অবশ্যই লম্বা করার সুযোগ ছিল। আমি প্রথম থেকে ব্যাটিং করেছি। ওই সময়ে এরকম একটা শট খেলা উচিত হয়নি। এটা ভুল বলতে গেলে। আর সোজা খেলা যেত, অবশ্যই যেত। যাবে না কেন।'
এদিকে বিপিএল এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজের ভূমিকা নিয়ে খোলাসা করেন আফিফ। জানান দুই জায়গায় দুই পরিস্থিতিতে ব্যাটিং করে থাকেন তিনি। তবে বিপিএলে নিজেকে মেলে ধরার সুযোগটা বেশি পাচ্ছেন এই অলরাউন্ডার।
আফিফ আরও যোগ করেন, `আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আমি যে অবস্থায় ব্যাটিং করি আর এই বিপিএলে আমি যে অবস্থায় ব্যাটিং করছি- পুরাটা ভিন্ন অবস্থা থাকে। ওখানে আমার অনেক লোয়ার অর্ডারে ব্যাটিং করা হয়। ওখানে আমার কাজ ভিন্ন থাকে। আর এখানে আমি টপ অর্ডারে ব্যাটিং করছি। এখানে পাওয়ার প্লে ব্যবহারের সুযোগ থাকছে। এখানে আমার জন্য আরও সহজ হচ্ছে ব্যাপারটা।'