promotional_ad

এসে দেখি ক্রিকেট বদলে গেছেঃ আমির

ছবিঃ সংগৃহীত
promotional_ad

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||


২০১০ সাল বদলে দিয়েছিল মোহাম্মদ আমিরের জীবন। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে লর্ডসে স্পট ফিক্সিং কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে সবধরণের ক্রিকেট থেকে পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ হন এই পেসার। সঙ্গে জেল খেটেছেন ৬ মাস। তবে ২০১৬ সালে  নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফেরেন বিপিএল দিয়ে। সেবার চিটাগাং ভাইকিংসের হয়ে খেলার পর সুযোগ পান পাকিস্তানের জাতীয় দলেও। 


২০১৬ বিপিএল দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আবারও পা রাখা আমির ৩ বছর পর এসেছেন বঙ্গবন্ধু বিপিএলে খেলতে। খুলনা টাইগার্সের জার্সিতে খেলছেন এবারের আসরে। বিপিএল চলাকালীন আমির স্মৃতিচারণ করেছেন ক্যারিয়ারের সবথেকে বাজে সময়ের। জানিয়েছেন, নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফিরে দেখেন ক্রিকেট সম্পূর্ণ বদলে গেছে।  


আমির বলেন, `আমি ২০০৯ এ যখন ক্রিকেট শুরু করি তখন এটা সম্পূর্ণ ভিন্ন ছিল। এখনকার দিনের তুলনায় সম্পূর্ণ আলাদা। বোলাররা কন্ডিশন থেকে সুবিধা পেত। এখন ব্যাটসম্যানরা বেশি সুবিধা পায়। এখন বোলারদের জন্য খেলাটা কঠিন হয়ে গেছে। আপনাকে টিকে থাকার লড়াই করতে হবে। এর জন্য উপায় খুজতে হবে আপনাকেই। বোলিংয়ে ভারসাম্য থাকতে হবে। বিশেষ করে সাদা বলের ক্রিকেটে।'



promotional_ad

`নিজের স্টক বলের ওপর শুধু নির্ভর করলে হবে না। বিশেষ করে ওয়ানডেতে। যেখানে এখন ২টি বল ব্যবহৃত হয়। বল পুরনো হয় না, ব্যাটসম্যানদের জন্য বাড়তি সুবিধা। বল রিভার্স সুইং করে না। তাই বোলিংয়ে ভ্যারিয়েশন আনাটা জরুরী। সাদা বলের ক্রিকেট অনেক কঠিন হয়ে গেছে।' দেশের শীর্ষ স্থানীয় পত্রিকাকে দেয়া সাক্ষাতকারে আমির।


আমিরের দাবি ঘরোয়া ক্রিকেটের কাঠামোর কারণেই বাংলাদেশ ফাস্ট বোলার তৈরি করে পারে না। মন্থর উইকেটের কারণে এদেশের পেসাররা নিজেদের অনুপ্রাণিত করতে পারেন না বলে মনে করেন পাকিস্তানের বাঁহাতি পেসার এই পেসার। তাঁর মতে, বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে পেসাররা বোলিং করার পর্যাপ্ত সুযোগ পায় না। 


তাই বাংলাদেশের পেসারদের উন্নতির জন্য উপায় বাতলে দিয়েছেন আমির। তিনি বলেন, 'কিছুদিন আগে আমি এক জনের সঙ্গে এই বিষয়টি নিয়ে কথা বলছিলাম। আমাকে বলা হলো যে, (কন্ডিশনের কারণে) বাংলাদেশে প্রথম শ্রেণির ম্যাচের শুরুর দিন থেকেই হাঁটুর উপরে বল ওঠে না। এর মানে, গতিময় বোলাররা খুব বেশি বল করে না। যদি ফাস্ট বোলাররা লম্বা স্পেলে বল না করে, তাহলে সে ফিটনেস বুঝবে না, উন্নতিও করতে পারবে না।'


'পেসারদের সহায়তা করে এবং ব্যাটসম্যানরা স্বাচ্ছন্দ্যে খেলতে পারে এমন উইকেট বানাতে হবে। উইকেট বানাতে হবে যেন একজন পেসার দিনে ১২ থেকে ১৪ ওভার বোলিং করতে পারে। আমাকে বলা হয়েছে, এখানে ইনিংসের পঞ্চম ওভার থেকে স্পিনাররা আক্রমণে আসে। যদি আপনি পেসারদের বোলিংই না করান, তাহলে তাদের উন্নতি করাবেন কীভাবে?' যোগ করেন বাঁহাতি এই পেসার।



সম্প্রতি সাদা বলের ক্রিকেটে মনোযোগ দিতে লাল বলের ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন আমির। সামনে দুটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। দেশকে সেরাটা দিতে নিজেকে তৈরি করছেন আরও ভালোভাবে। বিপিএলকেও নিজেকে তৈরির মঞ্চ হিসেবে বেঁছে নিয়েছেন এই বাঁহাতি পেসার।



আরো খবর

সম্পাদক এবং প্রকাশক: মোঃ কামাল হোসেন

বাংলাদেশের ক্রিকেট জগতে এক অপার আস্থার নাম ক্রিকফ্রেঞ্জি। সুদীর্ঘ ১০ বছর ধরে ক্রিকেট বিষয়ক সকল সংবাদ পরম দায়িত্ববোধের সঙ্গে প্রকাশ করে আসছে ক্রিকফ্রেঞ্জি। প্রথমে শুধুমাত্র সংবাদ দিয়ে শুরু করলেও বর্তমানে ক্রিকফ্রেঞ্জি একটি পরিপূর্ণ অনলাইন মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম।

মেইল: cricfrenzy@gmail.com
ফোন: +880 1305-271894
ঠিকানা: ২য় তলা , হাউজ ১৮, রোড-২
মোহাম্মাদিয়া হাউজিং সোসাইটি,
মোহাম্মাদপুর, ঢাকা
নিয়োগ ও বিজ্ঞপ্তি
বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ
নিয়ম ও শর্তাবলী
নীতিমালা
© ২০১৪-২০২৪ ক্রিকফ্রেঞ্জি । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
footer ball