ছয় ছক্কার পরিকল্পনায় ছিলেন না শানাকা

ছবি: ছবিঃ তানভিন তামিম, ক্রিকফ্রেঞ্জি

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||
কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের ইনিংসের ১৯তম ওভারের খেলা চলছিল। স্ট্রাইকে থাকা ব্যাটসম্যান দাশুন শাকানা মুস্তাফিজুর রহমানের প্রথম বলটি ছিল ডট। কিন্তু এরপরের চার বলে মুস্তাফিজকে পাত্তাই দিলেন না কুমিল্লা দলপতি। চার বলে হাঁকালেন ৪ ছক্কা।
চতুর্থ বলটি নো বল হওয়ায় ফ্রি হিটেও বল মাঠের বাইরে পাঠান এই লঙ্কান। ডানহাতি এই ব্যাটসম্যানের সামনে সুযোগ ছিল পরের দুই বলে আরও ২টি ছক্কা হাঁকানোর। কিন্তু সেই সুযোগ লুফে নিতে পারেননি শানাকা।
ওভারে ২৬ রান নিয়ে হাফ সেঞ্চুরি পূরণ করা শানাকা শেষ ওভারে জুনায়েদ খানের ওভারে নেন ২৩ রান। শেষ ১২ বলে ৪৯ রান স্কোরবোর্ডে যোগ করে দলকে এনে দেন বড় সংগ্রহ। ১৮ ওভারে ৭ উইকেটে ১২৪ রান থাকলেও ২০ ওভারে তা গিয়ে দাঁড়ায় ১৭৩ এ।

৩১ বলে ৭৫ রানের ইনিংস খেলা শানাকার এই ইনিংসটি ম্যাচের মোড় পাল্টে দেয়। ১৪০ এর আশায় থাকা দলটি ১৭৩ এর পুঁজি পেয়ে এদিন রংপুরকে হারিয়ে ১০৫ রানে। বিশাল জয়ের পর ম্যাচ সেরার পুরস্কারটাও যায় শানাকার ঝুরিতে।
অধিনায়কের এমন ইনিংসের সুবাদে জয় দিয়ে আসর শুরু করলো কুমিল্লা। তবে মুস্তাফিজের ওভারে ৪ ছক্কা হাঁকানো এই লঙ্কানের পরিকল্পনায় ছিল না ছয় ছক্কা। মুস্তাফিজকে এক নম্বর বোলার হিসেবে আখ্যায়িত করে ক্রিকফ্রেঞ্জিকে সেই ওভারে নিজের পরিকল্পনার কথা জানান এই লঙ্কান।
সংবাদ সম্মেলন থেকে বের হয়ে শানাকা বলেন, `মুস্তাফিজ নাম্বার ওয়ান বোলার বাংলাদেশের। আমি শুধু তার বাজে বল গুলার অপেক্ষায় ছিলাম। ছয় ছক্কা হাঁকানোর কোন পরিকল্পনা ছিল না তখন। শুধু নিজের খেলাটা খেলছিলাম।'
`আমি সেট হওয়ার জন্য ১০-১২ বল নিয়েছি। এরপর শুধু টাইমিংয়ের ওপর খেলেছি। আমি ছক্কা গুলো হাঁকাতে উপভোগ করছিলাম। আমি মুস্তাফিজকে এর আগে ৩-৪ বার খেলেছিলাম। ওর পরিকল্পনা সম্পর্কে ধারণা ছিল আমার।'
ছক্কা হাঁকানোর জন্য পাওয়ার হিটিং নয় টেকনিকে বেশি বিশ্বাসী শাকানা। সংবাদ সম্মেলনে শানাকা বলেন, `না আসলে। আমি ছক্কা হাঁকানো নিয়ে বাড়তি অনুশীলন করি না। আমি নিজের টেকনিক নিয়ে কাজ করি বেশি। শুরুতে টেকনিক এতো ভালো ছিল না। ধীরে ধীরে নিজের খেলার জন্য যে টেকনিক প্রয়োজন সেটাকে আয়ত্ত করেছি।'