পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাজকোট বিসিবির জন্য উদাহরণ!
ছবি: ছবি- বিসিবি

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||
মাঠ বা ভেন্যুর রক্ষণাবেক্ষণের ক্ষেত্রে বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই) থেকে শিক্ষা নিতে পারে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাজকোটের সৌরাষ্ট্র ক্রিকেট স্টেডিয়াম এটাই প্রমাণ করে, যথাযথ পরিচর্যায় যেকোনো কিছু সঠিক অবস্থায় রাখা সম্ভব।
বিসিবি যেখানে একটি ভেন্যুর রক্ষণাবেক্ষণই সঠিকভাবে পরিচালনা করতে পারে না, সেখানে শহরের বাইরের স্টেডিয়ামের পরিচর্যারও কমতি রাখে না বিসিসিআই।
রাজকোট স্টেডিয়াম দেখলে মনে হয়, পুরো মাঠ সবুজ গালিচায় মোড়ানো। তারা যেভাবে ভেন্যুটিকে পরিষ্কার রেখেছে, নিয়মিতভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা ছাড়া এটা সম্ভব না।
হোম অব ক্রিকেট খ্যাত মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের চেয়ারগুলোও সঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করতে পারে না বিসিবি। সেখানে পরিষ্কার রাখার বিষয়টি হয়তো মাথায়ই থাকে না দেশের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থাটির। ঢাকার বাইরের স্টেডিয়ামগুলোর অবস্থা তো আরও করুণ। কোথাও কোথাও তো স্টেডিয়ামের ভেতরেই হয় সবজি চাষ।
ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা কিংবা সিলেটের মাঠগুলোর সুযোগ সুবিধা কিংবা অবস্থা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে প্রতিনিয়তই। কিন্তু এই ভেন্যুগুলোতে প্রচুর পরিমাণে ম্যাচ আয়োজন হয় বিধায় সঠিকভাবে পরিচর্যা করা সম্ভব হয় না, এমন অজুহাত দেখায় বিসিবি।

অথচ সৌরাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের (এসসিএ) ক্ষেত্রে বিষয়টি তেমন না। অতো জনপ্রিয় না হওয়া সত্ত্বেও মাঠের রক্ষণাবেক্ষণ খুব ভালোভাবেই করে যাচ্ছে তারা। এসসিএ এর সেক্রেটারি হিমাংসু সাহা জানিয়েছেন, বাংলাদেশ-ভারতের ম্যাচ আয়োজন করতে পেরে তারা খুবই রোমাঞ্চিত। বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে তারা মাঠের সবকিছু সঠিকভাবে পরিচর্যা করছে।
‘আইপিএল ম্যাচসহ সব ফরম্যাটের জন্য এই স্টেডিয়ামটি ২০১৩ সাল থেকে কার্যকর। এখানে দুটি টেস্ট ম্যাচ, কিছু ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি ম্যাচ আয়োজিত হয়েছে। রাজকোটে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ খেলতে এসেছে। তাই এখানে অ্যাসোসিয়েশন এবং দর্শকদের মধ্যে রোমাঞ্চ কাজ করছে।’ বলেন তিনি।
স্টেডিয়ামকে কীভাবে এমন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা হয়, এমন প্রশ্নের জবাবে হিমাংসু বলেন, ‘পরিপাটি রাখার জন্য আমাদের কিছু সংস্থা রয়েছে। কিছু স্থায়ী মাঠকর্মী আছে। সব মিলিয়ে ১৫০-২০০ জন মানুষ এখানে কাজ করেন।’
‘মূলত, আমাদের ঘরোয়া মৌসুম দীর্ঘ। এখানে অনেক ঘরোয়া ক্রিকেটের ম্যাচ আয়োজিত হয়। রাজকোটে আমাদের তিন-চারটি মাঠ রয়েছে। মোটামুটি বছরে ২০০ দিনের মতো এই মাঠ ব্যস্ত থাকে। আমাদের অনূর্ধ্ব-১৬ থেকে শুরু করে অনূর্ধ্ব-২৩ পর্যন্ত ছেলে-মেয়েদের সব ফরম্যাটের টুর্নামেন্ট আয়োজিত হয়।’
রাজকোটের এই মাঠে ১২টি উইকেট রয়েছে। ভারতের সবচেয়ে বড় নেট উইকেটের ব্যবস্থা রয়েছে সৌরাষ্ট্র স্টেডিয়ামে। তাদের রয়েছে ২৮টি নেট উইকেট।