নিষেধাজ্ঞা মেনে নিয়ে বিসিবিতে যা বললেন সাকিব

ছবি: ছবি- ক্রিকফ্রেঞ্জি

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||
গত বছর তিনবার ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পেয়েও ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলকে (আইসিসি) কিছু জানাননি সাকিব আল হাসান। এ কারণে সাকিবকে দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আইসিসি। শাস্তি মেনেও নিয়েছেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার। বুধবার রাত ৮.২০ মিনিটে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসেন সাকিব।
সেখানে আইসিসিকে দেয়া কথাগুলো পড়ে শোনান তিনি। এরপর বলেন, 'আমি আমার দায়িত্ব ঠিকভাবে পালন করতে পারিনি। আগের থেকে শক্তভাবে আমি ফিরে আসব। আপনারা ভক্তরা বা বিসিবি সবসময় আমার পাশে ছিলেন। আমার খারাপ সময় গুলোতে বা ভালো সময় গুলোতে ছিলেন। আশা করি এবারও থাকবেন।'

এর আগে আইসিসিকে সাকিব বলেছিলেন, 'যে খেলাকে আমি ভালোবাসি সেই খেলা থেকে নিষিদ্ধ হয়ে খারাপ লাগছে। আমার বিপক্ষে সে অভিযোগ এসেছে সেটা গ্রহণ করে নিচ্ছি। আইসিসির দুর্নীতি দমন ইউনিট সবসময়ই দুর্নীতির বিপক্ষে সোচ্চার। আমি আইসিসিকে এই ব্যাপারে কিছুই জানাইনি।
বেশিরভাগ ক্রিকেটার এবং ভক্তের মতো আমিও চাই ক্রিকেট দুর্নীতি মুক্ত খেলা হোক। আমি আকসুর সঙ্গে কাজ করব। তাদের শিক্ষা বিষয়ক সেমিনারগুলোতে অংশ নেবো। এটা নিশ্চিত করব যে আমি ভুল করেছি সেটা যেন তরুণ ক্রিকেটাররা না করে।'
এই নিষেধাজ্ঞার ফলে আগামী বছর অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠেয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলতে পারবেন না সাকিব। এই নিষেধাজ্ঞা ২৯ অক্টোবর ২০১৯ থেকে শুরু হয়ে ২০২০ সালের ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।
প্রথম এক বছরের নিষেধাজ্ঞা কাটানোর সময়ে কোনো আইন ভঙ্গ করলে পরবর্তী এক বছরের নিষেধাজ্ঞাও বহাল থাকবে। সেক্ষেত্রে দ্বিতীয় বছর ক্রিকেট খেলতে পারলেও আইসিসির দুর্নীতিবিরোধী বিভিন্ন কর্মকান্ডে অংশ নিতে হবে তাকে। এ সময় একই ধরনের ভুল করলে পরের বছরও পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে।