সাকিবকে আইনি নোটিশ পাঠাচ্ছে বিসিবি

ছবি: ছবিঃ বিসিবি

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
গত ২২ অক্টোবর টেলিকম প্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হওয়ার চুক্তি করেন সাকিব আল হাসান। রবি যখন বাংলাদেশ জাতীয় দলের স্পন্সর ছিল তখন থেকেই গ্রামীণফোন, রবি, এয়ারটেল, বাংলালিংক- এমন টেলিকম প্রতিষ্ঠানের সাথে ক্রিকেটারদের চুক্তি করায় বিসিবি থেকে এক ধরনের নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছিল। সেই নিয়ম না মানায় সাকিবের প্রতি বৈধভাবে মামলা করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন একটি জাতীয় দৈনিককে দেয়া সাক্ষাৎকারে এমনটা জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, 'আমরা বৈধভাবে মামলা যাচ্ছি। কাউকে ছাড় দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আমরা ক্ষতিপূরণ দাবি করব এখন। সেটি প্রতিষ্ঠানের কাছেও দাবি করব, দাবি করব খেলোয়াড়ের কাছেও। আমরা কি ছেড়ে দেব নাকি? আমি বলে দিয়েছি, গ্রামীণফোনকে আইনি নোটিশ পাঠাও। বড় অঙ্কের ক্ষতিপূরণ চাও। বলেছি, চিঠি পাঠাও সাকিবকেও।
আমাদের ব্যাখ্যা চাই। সে (সাকিব) আইন ভঙ্গ করে গেল কেন? এখন সে যদি দেখাতে পারে যে আইন ভঙ্গ করেনি, ওকে তো বলার সুযোগ দিতে হবে। আমাদের কাছে ব্যাপারটিকে মনে হয়েছে, ‘বোর্ডের কোনো নিয়ম-কানুন মানি না।’ এ রকম হলে কঠোর ব্যবস্থা নেবই।
ক্রিকেটারদের স্বার্থ রক্ষায় ১১ দফা দাবি জানানোর পরদিনই গ্রামীণফোনের সঙ্গে চুক্তিতে যান সাকিব। দাবি না মানা পর্যন্ত ক্রিকেটে ফেরেননি জাতীয় দল এবং ঘরোয়া লিগের ক্রিকেটাররা। এসব ঘটনার মধ্যে সাকিবের এই চুক্তিতে চটেছেন পাপন।
তিনি আরও বলেন, 'এই চুক্তি কোনোভাবেই করতে পারে না। কেন পারে না, চুক্তিতে সব লেখা আছে। লিখিতভাবে ওদের বলে দেওয়া আছে। রবি আমাদের টাইটেল স্পন্সর হলো। গ্রামীণ বিডই করল না। না করে এক-দুই কোটি দিয়ে খেলোয়াড়দের নিয়ে ফেলল। এতে শেষ পর্যন্ত কী হলো? তিন বছরে বোর্ডের ৯০ কোটি টাকা লস হলো। খেলোয়াড় লাভবান হলো।
কিন্তু বোর্ডের তো ১২টা বেজে গেল। এটি তো হতে পারে না। তাই লিখিতভাবে ওদের জানিয়ে রাখা আছে। এমনকি আমার জানা মতে মন্ত্রণালয় থেকেও ওদের বলা আছে যে না জানিয়ে টেলকোর সঙ্গে চুক্তি করা যাবে না। আমাদের সঙ্গে চুক্তি তো আছেই। তারপরও আমাদের না জানিয়ে কী করে চুক্তি করে? টাইমিংটা দেখুন। খেলা বন্ধ করে চুক্তি! এগুলো তো ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ।'